পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
দারোগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

তাহা ক্রমে সুযোগমত তাহার নিকট হইতে বাহির করিয়া লইতে হইবে। পরিচারিকা আমার কথা শুনিয়া কহিল, সে অনায়াসেই তাহা জানিয়া লইতে পারিবে।

 ইহার পনের দিবস পরেই আমার সহিত যখন তাহার সাক্ষাৎ হইল, তখন সে আমাকে কহিল, আপনি আমাকে যাহা জানিয়া লইতে বলিয়াছিলেন, তাহার সমস্তই আমি জানিতে পারিয়াছি। তাহার কথা শুনিয়া আমি তাহাকে কহিলাম, কি জানিতে পারিয়াছ তাহা আনুপূর্ব্বিক আমাকে বল। পরিচারিকা কহিল, আমি যেরূপে এ সমস্ত বিষয় রাজচন্দ্রের স্ত্রীর নিকট হইতে জানিতে পারিয়াছি, তাহা বলিবার কিছুমাত্র প্রয়োজন নাই, কিন্তু যাহা জানিতে পারিয়াছি তাহা বলিতেছি। রসিক যে ঘরে বাস করিত, সেই ঘর ও রাজচন্দ্রের স্ত্রীর ঘর আলাহিদা বাটীতে হইলেও প্রায় এক বলিলেও হয়। রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রী অতিশয় সাধ্বী, কিন্তু রসিক সদা সর্ব্বদা তাহাকে দেখিতে পাইত ও তাহাকে বিপথগামিনী করিবার নিমিত্ত সাধ্যমত চেষ্টা করিতে কিছুমাত্র ত্রুটী করিত না। রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রী উহার কথায়, উহার ভাবভঙ্গিতে ও উহার নির্ল্লজ্জ ইঙ্গিতে নিতান্তই অস্থির হইয়া পড়িয়াছিলেন, তথাপি তিনি তাহার দিকে কিছুমাত্র লক্ষ্য না করিয়া নিজ গৃহকার্য্য লইয়াই ব্যস্ত থাকিতেন। রসিক ঐরূপে অত্যাচার করিয়াই যে কেবল নিবৃত্ত থাকিত তাহা নহে, তাহার বন্ধুবান্ধবের মধ্যে যাহারা তাহার নিকট আগমন করিত, ও যাহাদিগের চরিত্র রসিকের চরিত্রের ন্যায় ছিল, তাহাদিগের নিকট রসিক সময়ে সময়ে বলিত, রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রী তাহার উপপত্নী। এই রূপ ভয়ানক অপবাদের কথা রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রী স্বকর্ণে শ্রবণ