পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিষম বুদ্ধি।
৪৫

করিয়াও প্রথমত তিনি তাহার দিকে লক্ষ্য করেন নাই, ইহার পর আরও দুই তিনবার ঐকথা উহার বন্ধুগণের নিকট বিবৃত করিতে শ্রবণ করিয়া তিনি ক্রোধে একেবারে অধৈর্য্য হইয়া পড়েন, ও স্বহস্তে ইহার প্রতিশোধ লইতে মনস্থ করিয়া, কোন কথা তাহার স্বামীকে না বলিয়া তিনি মনে মনে স্থির করেন যে, উহার জীবন স্বহস্তে গ্রহণ করিয়া দারুণ অপমানের প্রতিশোধ প্রদান করিবেন। মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া এক দিবস বৈকালে তিনি রসিককে তাহার ঘরে দেখিতে পাইয়া তাহাকে কহিলেন, “তুমি এত দিবস পর্য্যন্ত যে ইচ্ছা করিয়া আসিতেছ, আজ আমি তোমার সেই ইচ্ছা পূর্ণ করিতে মনস্থ করিয়াছি। আজ রাত্রিতে আমার স্বামী আমার গৃহে আসিবেন না, বাড়ীর চাকর চাকরাণী প্রভৃতি সকলকে আমি সন্ধ্যার পরেই বিদায় করিয়া দিব। বাড়ীর দরজা খোলা থাকিবে। সেই সময় তুমি আমার ঘরে আসিও, সমস্ত রাত্রি থাকিয়া ভোরে চলিয়া যাইও।” বলা বাহুল্য, তাহার এই প্রস্তাবে রসিক যেন হস্তে স্বর্গ পাইল, ভাল মন্দ কোন কথা না ভাবিয়াই সন্ধ্যার সময়েই সে রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রীর ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইল। ইহার পূর্ব্বেই রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রী, তাহার চাকর চাকরাণী প্রভৃতি সকলকে বিদায় করিয়া দিয়াছিলেন। রসিক আসিবামাত্র তিনি তাহাকে বিশেষ সমাদরে রাজচন্দ্র দাসের বিছানার উপর লইয়া গিয়া বসাইলেন ও তাহাকে সেই পালঙ্কের উপর শয়ন করিতে কহিলেন। রসিক আহলাদে উম্মত্ত প্রায় হইয়া আপনার হিতাহিত জ্ঞান হারাইয়া সেই পালঙ্কের উপর শয়ন করিলেন। রাজচন্দ্রের স্ত্রী পূর্ব্ব হইতে বৃহৎ ও তীক্ষ্ণমুখ একটা পেরেক