পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারােগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

আর কালবিলম্ব করিতে সাহস করিলাম না। শবদাহের ঘাটে গমন করিবার নিমিত্ত তৎক্ষণাৎ একখানি গাড়ী আনিতে পাঠাইলাম। রাজচন্দ্রকেও সেই প্রহরীর নিকট অল্প সময়ের নিমিত্ত রাখিয়া আমি বাহিরে গমন করিবার উপযোগী কাপড় পরিধান করিয়া, পুনরায় সেইস্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। একজন প্রহরী আমার নিমিত্ত একখানি ভাড়াটিয়া গাড়ীও সেই স্থানে অনিয়া উপস্থিত করিল। আমি রাজচন্দ্র দাসকে সঙ্গে লইয়া সেই গাড়ীতে আরোহণ করিলাম। কলিকাতায় শবদাহ করিবার সর্ব্বপ্রধান ঘাট নিমতলা, সুতরাং সেইস্থানেই আমরা গমন করিলাম। সেই স্থানের সব-রেজিষ্ট্রারের নিকট হইতে অবগত হইলাম, সন্ধ্যার পর হইতে ঐ প্রকারের কোনরূপ মৃতদেহ দাহ করিবার মানসে সেইস্থানে আনীত হয় নাই, বা রসিক নামক কোন ব্যক্তির মৃতদেহ সেই রাত্রিতে দাহ করাও হয় নাই।

 নিমতলাঘাটে এই সংবাদ অবগত হইয়া পরিশেষে মনে করিলাম, এখন কাশীমিত্রের ঘাটে গিয়া অনুসন্ধান করা আবশ্যক। মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া ঐ গাড়ীতেই কাশীমিত্রের ঘাট অভিমুখে গমন করিলাম। যাইবার সময় নিমতলার ঘাটে সেই কর্ম্মচারীকে বলিয়া গেলাম যে, ইহার পরও যদি ঐরূপের কোন মৃতদেহ সেইস্থানে কেহ আনয়ন করে, তবে হঠাৎ যেন ভস্মীভূত করা না হয় এবং ঐ মৃতদেহ ঐ স্থানে রাখিয়া তৎক্ষণাৎই যেন পুলিসে সংবাদ পাঠান হয়। সব-রেজিষ্ট্রারবাবু আমার প্রস্তাবে সম্মত হইলেন, আমরাও কাশীমিত্রের ঘাট-অভিমুখে যাত্রা করিলাম।

 আমরা যখন কাশীমিত্রের ঘাটে গিয়া উপস্থিত হইলাম,