না। তোমরা আমার পশ্চাৎ রক্ষা করিবে। গাজী রহ্মান শিবিরের তত্ত্বাবধানে থাকিবে, সৈন্যদিগের শৃঙ্খলার প্রতি দৃষ্টি রাখিবে—আমি চলিলাম। আজ হানিফার অস্ত্র, আর এজিদের সৈন্য, এই দুইয়ে একত্র করিয়া দেখিব—বেশী বল কাহার।”
হানিফা ঐ কথা বলিয়াই অশ্বারোহণ করিলেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে যাইয়া বলিলেন, “বীরবর! তোমার বীরত্বে আমি সন্তুষ্ট হইয়াছি। কিন্তু তোমার জীবনের সকল সাধ মিটিল—ইহাই আক্ষেপ!”
বল্লকীয়া বলিল, “মহাশয়! আর একটি সাধের কথা বাকী রাখিলেন কেন?
“আর কি সাধ?”
“হানিফার মস্তকচ্ছেদন। দোহাই আপনার, আপনি ফিরিয়া যাউন। কেন আপনি আপনার সঙ্গী ভ্রাতৃগণের মত অসময়ে জগৎ ছাড়িবেন? আপনি ফিরিয়া যাউন। বল্লকীয়ার হস্তে রক্ষা নাই। আমি হানিফার শোণিতপিপাসু! আপনি ফিরিয়া যাউন!”
“তোমার সাধ মিটিবে। আমারই নাম মোহাম্মদ হানিফা।”
“সে কি কথা? এত সৈন্য থাকিতে মোহাম্মদ হানিফা সমরক্ষেত্রে? ইহা বিশ্বাস্য নহে। আচ্ছা, যদি তাই হয় তবে এই লও আঘাত।”
সে আঘাত কে দেখিল? পরে যাহা ঘটিল, তাহাতে এজিদের প্রাণে আঘাত লাগিল। বল্লকীয়ার শরীরের দক্ষিণভাগ দক্ষিণ হস্তসহ এক দিকে পড়িল—বাম ঊরু, বাম হস্ত, বাম চক্ষু, বাম কর্ণ লইয়া অপরার্দ্ধ ভাগ অন্য দিকে পড়িল।
এজিদ অলীদকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ওহে! বলিতে পার এ সৈন্যটির নাম কি?”
অলীদ মনোযোগের সহিত দেখিয়া বলিল, “মহারাজ! ইনিই মোহাম্মদ হানিফা।”
এজিদ চমকাইয়া উঠিলেন, কিন্তু সাহসে নির্ভর করিয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিলেন, “সৈন্যগণ। অসি নিস্কোষিত কর, বর্শা উত্তোলন কর, যদি দামেস্কের