পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS O दौव्रबलबू श्iलथोंडा এ ক্ষেত্রে ও তাই আমি এই যুদ্ধ সম্বন্ধে আমার মত নয়, অমত প্ৰকাশ করতে সাহসী হচ্ছি, কেননা, ‘যুদ্ধ করো'- এ কথা যদি পুরুষে জোর করে বলতে পারে, তা হলে ‘যুদ্ধ কোরো না- এ কথা জোর করে বলতে স্ত্রীলোকে কেন না পারবে ? আমরা কাপুরুষ না হলেও না-পুরুষ তো বটেই। যুদ্ধ যে কস্মিনকালে কোনো দেশে স্ত্রীলোকের অভিপ্রেত হতে পারে না, এ বিষয়ে বেশি কথা বলা বৃথা । যুদ্ধ-জিনিসটি চোখে না দেখলেও ব্যাপারখানা যে কী, তা অনুমান করা কঠিন নয়। বঙ্গভাষার মহাকাব্যে যুদ্ধের যে বর্ণনা পড়া যায় আসল ঘটনা অবশ্য তার অনুরূপ নয়। ইউরোপে লক্ষ লক্ষ লোক মিলে আজ যে খেলা খেলছে সে আর-যাই হােক ছেলেখেলা নয়। সূৰ্যগ্ৰহণ-ভূমিকম্প-ঝড় জল-অমৃত্যুৎপাতের একত্ৰ-আবির্ভাবে পৃথিবীর যেরকম অবস্থা হয়,এই যুদ্ধে ইউরোপের তদ্রুপ অবস্থা হয়েছে। এই মহাপ্ৰলয়গ্ৰস্ত কোটি-কোটি নরনারীর মৃত্যুযন্ত্রণার ও প্রাণভয়ের আর্তনাদ আমাদের কানে অতি শীঘ্ৰ ও অতি সহজে পৌছয় ; সম্ভবত তা তোমাদের শ্রুতিগোচরই হয় না। অপর কোনো কারণ না থাকলেও এই এক কারণে মানুষের হাতে-গড়া এই মহামারী-ব্যাপার। আমাদের BLT BBBDB DYYS SDBB DD KBDYSS DLBDSDD LD DBBBD BDDBSDDBDB কখনোই পক্ষপাতী হতে পারে না। আমরা নবজীবনের সৃষ্টি করি, সুতরাং সেই জীবন রক্ষা করাই আমাদের মতে মানবের সর্বপ্ৰধান ধর্ম এবং তার ধ্বংস করা মহাপাপ । তার পর, এই মহাপাপের সৃষ্টি করে পুরুষে, আর তার পুরো শাস্তি ভোগ করি আমরা। অতএব যুদ্ধ-ব্যাপারটি আমাদের কী প্ৰকৃতি, কী স্বাৰ্থ, উভয়েরই সম্পূর্ণ বিরোধী। তোমরা হয়তো বলবে যে, যুদ্ধের প্রতি স্ত্রীজাতির এই সহজ বিদ্বেষের মূলে কোনোরূপ যুক্তিসংগত কারণ নেই। সেই কারণে পুরুষে যুদ্ধ সম্বন্ধে স্ত্রীলোকের মতামত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতে বাধ্য। পৃথিবীর বড়ো বড়ো জিনিসের ঔচিত্যানুচিত কেবলমাত্র হৃদয় দিয়ে যাচাই করে নেওয়া যায় না। এ-সব ঘটনার সার্থকতা বোঝবার জন্য বিদ্যা চাই, বুদ্ধি চাই। বিদ্যা যে আমাদের নেই, সে তো তোমাদের গুণে, কিন্তু সেইজন্যে বুদ্ধি যে আমাদের মোটেই নেই। এ কথা আমরা স্বীকার করতে পারি নে। কারণ, ও ধারণাটি তোমাদের প্রিয় হলেও সত্য নয়। সুতরাং যুদ্ধ করা সংগত কি অসংগত- তা আমরা "আমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধির সাহায্যে বিচার করতে বাধ্য। যুদ্ধের সকল সাজসজা সকল রঙ-চঙ ছাড়িয়ে দেখলে দেখা যায় যে ও-ব্যাপারটি হত্যা ও আত্মহত্যা ব্যতাত আর-কিছুই নয়। অথচ এটি প্ৰত্যক্ষ সত্য যে মানব‘জীবনের উদ্দেশ্য যাই হোক, পরকে মারা কিংবা নিজে মাৱা সে উদ্দেশ্য নয়।