পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারীর পত্ৰ Y SV কাৰ্যের ধর্মাধর্ম তার কারণের উপর নির্ভর করে । সভ্যজাতির মতে আত্মরক্ষার জন্য ষে যুদ্ধ, একমাত্র তাই ধৰ্ম- বাদবাকি সকল কারণেই তা অধৰ্ম। এ মতের প্রতিবাদ করা অসম্ভব হলেও পরীক্ষা করা আবশ্যক। কেননা, কথাটা শুনতে যত সহজ আসলে তত নয়। এই দেখ-না, ইউরোপে কোনো জাতিই এই যুদ্ধের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিতে চান না এবং পরস্পর পরস্পরকে অধৰ্মযুদ্ধ করবার দোষে দোষী করছেন ; অথচ এরা সকলেই সভ্য, সকলেই বিদ্বান ও সকলেই বুদ্ধিমান। এই মতভেদের কারণ কি এই নয় যে, আত্মরক্ষা-শব্দের অর্থটি তেমন সুনির্দিষ্ট নয়। ‘আত্মা’-শব্দের অর্থ কে কী বোঝেন, আত্মজ্ঞানের পরিসরটি কার কত বিস্তৃত— তার দ্বারাই তার আত্মরক্ষার্থ যুদ্ধক্ষেত্রের প্রসারও নির্ণীত হয়। পরদ্রব্যে যে মানুষের আত্মজ্ঞান জন্মাতে পারে তার প্রমাণ পৃথিবীতে বহু ব্যক্তি এবং বহু জাতি নিত্যই দিয়ে থাকেন। সুতরাং কোন পক্ষ যে শুদ্ধ আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করছেন আর কোন পক্ষ যে শুদ্ধ পরদ্রোহিতার জন্য যুদ্ধ করছেন, নিরপেক্ষ দর্শকের পক্ষে তা বলা কঠিন। আত্মরক্ষা-শব্দের অবশ্য একটা জানা অর্থ আছে ; সে হচ্ছে আক্রমণকারীর হাত থেকে নিজের প্রাণ ও নিজের ধন রক্ষা করা ; এবং সে ধনও বর্তমান ধন, ভূত কিংবা ভবিষ্যৎ নয়। কেননা, গত ধন পুনরুদ্ধার কিংবা অনাগত ধন আত্মসাৎ করবার জন্য পরকে আক্রমণ করা দরকার । পৃথিবীর সকল জাতিই যদি উক্ত সহজ ও সংকীর্ণ অর্থে আত্মরক্ষা ব্যতীত অপরকোনো কারণে যুদ্ধ করতে গররাজি হন, তা হলে যুদ্ধ কালই বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, কেউ যদি আক্রমণ না করে তো আর-কাউকেও আত্মরক্ষা করতে হবে না। যুদ্ধ থেকে নিরস্ত হওয়াই যদি পুরুষজাতির মনোগত অভিপ্ৰায় হয়, তা হলে নিরস্ত্র হওয়াই LBDB DDuBD BDBDD BB SS DDDBDL DBBB SDDD BDYJBDB BBDSBD ইত্যাদি সভ্যতার সর্বপ্ৰধান অঙ্গ হয়ে থাকবে, ততদিন আত্মরক্ষা করা যে যুদ্ধের একমাত্র কিংবা প্ৰধান কর্তব্য এ কথা বলা চলবে, কিন্তু মানা চলবে না । আসল কথা, যুদ্ধের দ্বারা আত্মরক্ষা করা দুর্বল জাতির পক্ষে অসম্ভব এবং প্রবল জাতির পক্ষে অনাবশ্যক। দুর্বলের পক্ষে ও-উপায়ে আত্মরক্ষা করবার চেষ্টা করার অর্থ আত্মহত্যা করা। হাতে-হাতে প্ৰমাণ- বেলজিঅম। যুদ্ধ আমাদের মতে একমাত্র সেই ক্ষেত্রে ধর্ম যে-ক্ষেত্রে প্রবলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ-স্বরূপে, দুর্বল এই উপায়ে আত্মরক্ষা নয়, আত্মবিসর্জন করে। উদাহরণবেলজিঅম। r