পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8V বীরবলের হালখাতা DBBBD KDSKBBB KSLDD DBDD gBDBB DDDDSDD L DBDBDL গেলে দুনিয়ার জ্ঞানের হিসেবটা আগাগোড়া গরমিল হয়ে যাবে। অতএব যতদিন প্ৰাণের বিলয় না হয়, ততদিন একটা প্ৰলয়ের সম্ভাবনা থেকে যাবে। বিশ্বের সম্বন্ধে যা সত্য, সমাজের সম্বন্ধে ও তাই সত্য ; কেননা, যাকে আমরা মানবসমাজ বলি, সে তো জীবজগতের একটি অংশমাত্র এবং জীবজগৎ এই জড় জগতের একটি ক্ষুদ্ৰাদপিক্ষুদ্র অঙ্গমাত্র। সুতরাং একাগ্রামনে মৃত্যুর চর্চা করাতেই মানুষে তার সামাজিক বুদ্ধির পরিচয় দেয়। হত্যা করবার সপক্ষে কত হিতকর এবং অখণ্ডনীয় যুক্তি আছে, তার পরিচয় বর্তমান জার্মানির সামরিক সাহিত্যে পাওয়া যায়। সে দেশে যদি কেউ বলেন। যে, অহিংসা পরম ধর্ম, তা হলে তার কথা সভ্যতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহস্বরূপে গণ্য হবে । অপর পক্ষে, এ দেশে যদি কেউ বলেন ‘স্বহিংসা পরম অধৰ্ম’ তা হলে তঁর কথাও সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্ৰোহস্বরূপে গণ্য হবে। বলা বাহুল্য যে, আমাদের দেহের মতো আমাদের মনের মধ্যেও প্ৰাণ আছে। কারণ দেহ-মন একই সত্তার এপিঠ আর ওপিঠ। সৃষ্টিকে যদি কেউ উলটে ফেলতে পারেন, তা হলে দেখতে পাবেন যে, তখন মন হবে বহির্জগৎ আর দেহ হবে অন্তর্জগৎ । বিশ্বটাকে উলটো করে পড়বার চেষ্টা যে অতিবুদ্ধিমান লোকে নিত্যই করে থাকে, তার প্রমাণ দেশী ও বিদেশী দর্শনে নিত্যই পাওয়া যায়। সে যাই হোক, প্ৰাণ যে মানুষের অন্তরে আছে শুধু তাই নয়, ও-বস্তু অন্য কোথায়ও নেই; বাহিরে যা আছে, সে শুধু প্ৰাণের লক্ষণা এবং ব্যঞ্জনা । যে বস্তুর প্রাণ আছে, তা মৃত্যুর অধীন। সুতরাং মনোজগতেও আমরা হত্যা এবং আত্মহত্যা দুইই করতে পারি এবং করেও থাকি । মনোজগতে মারবার যন্ত্রও কথা, আর বঁাঁচবার মন্ত্রও কথা । দেশকলপাত্ৰভেদে কেউ-বা কথার ব্রুপোর কাঠি কেউ-বা তার সোনার কাঠি ব্যবহারের পক্ষপাতী । এ রাজ্যেও জীবনের স্বপক্ষে কিছু বলবার নেই, কারণ এখানেও যত সুযুক্তি সব মরণকে বরণ করেছে। সত্য কথা বলতে গেলে, প্ৰাণের বিরুদ্ধে মানুষের ঢের নালিশ আছে। প্রথমত, প্ৰাণের ধর্মই হচ্ছে জগতের শাস্তি ভঙ্গ করা। পঞ্চ প্ৰাণ পঞ্চভূতের সঙ্গে অবিশ্রান্ত লড়াই করে এ পৃথিবীতে গাছপালা ফুলফল জীবজন্তু প্ৰভৃতি যা-কিছু সৃষ্টি করেছে, সে সবই পরিবর্তনশীল ; প্রতি মুহুর্তেই সে-সকলের ভিতরকার দুয়েরই কিছু-না-কিছু বদল হচ্ছে। যার ভিতর স্থিতি নেই তার ভিতর উন্নতি থাকতে পারে, কিন্তু শান্তিঃনেই। দ্বিতীয়ত, এ পৃথিবীতে প্ৰাণ যে শুধু প্ৰক্ষিপ্ত তাই নয়, তা, ঈষৎ ক্ষিপ্তও বটে। জড়বস্তু যেভাবে জড় জগতের নিয়ম মেনে চলে, প্ৰাণ প্ৰাণীর হাতে-গড়া বাগ সেভাবে মানে না। প্ৰাণ নিত্য নূতন আকারে দেখা দেয়, প্ৰাণোৱ