পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rsise bbምእ যার চক্ষুষ পরিচয় আছে তিনিই জানেন। ঐ এক উদাহরণ থেকেই অনুমান, এমন-কি প্ৰমাণ পৰ্যন্ত, করা যায় যে, জয়দেবেব বসন্তবণনা কাল্পনিক — অর্থাৎ সাদাভাষায় যাকে বলে অলীক। যার প্রথম কথাই মিথ্যে, তার কোনো কথায় বিশ্বাস করা যায় না ; অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, এই কবি বর্ণিত বসন্ত আগাগোড়া भन्म-?|7ा । জয়দেব যখন নিজের চোখে দেখে বৰ্ণনা করেন নি, তখন তিনি অবশ্য র্তার পূৰ্ববতী কবিদের বই থেকে বসন্থের উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন ; এবং কবিSBBBBDDS DBDBDDD DBSD BB BBSSDDBD Sgi DBBDBD BDD DBD BB DD BD যে, বসন্তঋতু একটা কবি প্ৰসিদ্ধিমাত্র ; ও বস্তুর বাস্তবিক কোনো অস্তিত্ব নেই। রমণীর পদতাড়নার অপেক্ষা না রেখে অশোক যে ফুল ফোটায়, তার গায়ে যে আলতার রঙ দেখা দেয়, এবং ললনাদের মুখমন্যাসিক্ত না হলেও বকুলফুলের মুখে যে মদের গন্ধ পাওয়া যায়- এ কথা আমরা সকলেই জানি। এ দুটি কবিপ্ৰসিদ্ধির মূলে আছে মানুষের ঔচিত্য-জ্ঞান। প্ৰকৃতির যথার্থ কাৰ্যকারণের সন্ধান পেলেই বৈজ্ঞানিক কৃতার্থ হন ; কিন্তু কবি কল্পনা করেন। তাই, যা ১ ওয়া উচিত ছিল। কবির উক্তি হচ্ছে প্ৰকৃতির যুক্তিব্য প্ৰতিবাদ । কবি চান। সুন্দর, প্ৰকৃতি দেন তার বদলে সত্য । একজন ইংরেজ কবি বলেছেন যে, সত্য ও সুন্দর একই বস্তু- কিন্তু সে শুধু বৈজ্ঞানিকদের মুখ বন্ধ করবার জন্য । তার মনের কথা এই যে, যা সত্য তা অবশ্য সুন্দব নয়, কিন্তু যা সুন্দর তা অবশ্যই সত্য- অর্থাৎ তার সত্য হওয়া উচিত ছিল। তাই আমার মনে হয় যে, পৃথিবীতে বসন্তঋতু থাকা উচিত— এই ধারণাবশত সে কালের কবির কল্পনাবলে উক্ত ঋতুর সৃষ্টি করেছেন । বসন্তের সকল উপাদানই তঁরা মন অঙ্কে সংগ্ৰহ করে প্রকৃতির গায়ে তা বসিয়ে দিয়েছেন । 8 আমার এ অনুমানের স্পষ্ট প্রমাণ সংস্কৃতকাব্যে পাওয়া যায়, কেননা, পুরাকালে কবিরা সকলেই স্পষ্টবাদী ছিলেন। সে কালে তাদের বিশ্বাস ছিল যে, সকল সত্যই বক্তব্য- সে সত্য মনেরই হোক আর দেহেরই হোক। অবশ্য এ কালের রুচির সঙ্গে সে কালের রুচির কোনো মিল নেই; সে কালে সুরুচির পরিচয় ছিল কথা ভালো করে বলায়, এ কালে ও-গুণের পরিচয় চুপ করে থাকায়। নীরবতা ষে কবির ধর্ম, এ জ্ঞান সে কালে জন্মে নি। সুতরাং দেখা যাক, তাদের কাব্য থেকে বসন্তের জন্মকথা উদ্ধার করা যায় কি না ।