পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হালখাতা ܢ তৈরি ভাষা ব্যবহার করি। ভাষা-জিনিসটে কোনো-একটি বিশেষ ব্যক্তির মনগড়া নয়, যুগযুগান্তর ধরে একটি জাতির হাতে-গড়া। কেবলমাত্ৰ মনোমত কথা বেছে নেবার, এবং ব্যাকরণের নিয়মরক্ষা করে সেই বাছাই কথাগুলিকে নিজের পছন্দমত পাশাপাশি সাজিয়ে রাখবার স্বাধীনতাই আমাদের আছে। আমাদের মধ্যে র্যারা জহুরি, তারা এই চলতি কথার মধ্যেই রত্ন আবিষ্কার করেন, এবং শিল্পগুণে গ্রথিত করে দিব্য হার রচনা করেন। নিজের রচনাশক্তিব দারিদ্রোর চেহারাই আমরা মাতৃভাষার মুখে দেখতে পাই, এবং রাগ করে সেই আয়নাখানিকে নষ্ট করতে উদ্যত হই ও পূর্বপুরুষদের সংস্কৃত দর্পণের সাহায্যে মুখরক্ষা করবার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠি । একরকম কঁাচ আছে, যাতে মুখ মন্ত দেখায়, কিন্তু সেইসঙ্গে চেহারা অপবিচিত বিকটাকার ধারণ করে। আমাদের নিজেকে বড়ো দেখাতে গিয়ে যে আমরা কিস্তৃতকিমাকার রূপ ধারণ করি, তাতে আমাদের কোনো লজাবোধ হয় না। এখানে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে, প্ৰচলিত ভাষা কাকে বলে। তার উত্তরে আমি বলি, যে ভাষা আমাদের সুপরিচিত, সম্পূর্ণ DDBS gDD D DBDB DDBD DBDBB BB BDBDBSS BD g BDD BBS EY সংস্কৃতও নয়, কিংবা উভয়ে মিলিত কোনোরূপ খিচুড়িও নয়। যে সংস্কৃত শব্দ প্রকৃত কিংবা বিকৃত -রূপে বাংলা কথার সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে, সে শব্দকে আমি বাংলা বলেই জানি এবং মানি। কিন্তু কেবলমাত্র নূতনত্বের লোভে নতুন করে যে-সকল সংস্কৃত শব্দকে কোনো লেখক জোর করে বাংলাভাষার ভিতর প্রবেশ করিয়েছেন, অথচ খাপ খাওয়াতে পারেন নি, সেই-সকল শব্দকে ছুতে আমি ভয় পাই। এবং যে-সকল সংস্কৃত শব্দ স্পষ্টত ভুল অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই-সকল শব্দ যাতে ঠিক অর্থে ব্যবহৃত হয়, সে বিষয়ে আমি লেখকদের সতর্ক হতে বলি। নইলে বঙ্গভাষার বনলতা যে সংস্কৃতভাষার উদ্যােনলতাকে তিরস্কৃত করবে, এমন দুরাশা আমার মনে স্থান পায় না। শব্দকল্পদ্রুম থেকে আপনা হতে খসে যা আমাদেব কোলে এসে পড়েছে, তা মুখে তুলে নেবার পক্ষে আমার কোনো আপত্তি নেই। তলার কুড়োও, কিন্তু সেইসঙ্গে গাছের ও পেড়ো না । তাতে যে পরিমাণ পরিশ্রম হবে, তার অনুৰূপ ফললাভ হবে না । শুধু গাছ থেকে পাড়া নয়, একেবারে তার আগ ডাল থেকে পাড়া গুটিকতক শব্দের পরিচয় আমি সম্প্রতি বইয়ের মলাটে পেয়েছি। এবং সে সম্বন্ধে আমার দু-একটি কথা DDBD DBLLSS S SLBBDBBDDS BBDBS DD Sg BD BBDD DS DBBDS তার পরিবর্তে সংস্কৃত শব্দ সম্বন্ধে ‘অধিকন্তু ন দোষায়’;- এই উদ্ভট বচন অনুসারে কাৰ্যানুবতী হয়ে থাকেন, তারাও একটা গণ্ডির ভিতর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহসী হন না । এমন সাহিত্য-বীর বোধ হয়। বাংলাদেশে খুব কম আছে, যারা বঙ্গ রমণীর মাথায়