পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“যৌবনে দাও রাজটিকা’ WVC পাছে লোকে ভুল বোঝেন বলে এখানে আমি একটি কথা বলে রাখতে চাই । কেউ মনে করবেন না যে, আমি কাউকে সংস্কৃতকাব্য বয়কট করতে বলছি কিংবা নীতি এবং রুচির দোহাই দিয়ে সে কাব্যের সংশোধিত সংস্করণ প্ৰকাশ করবার পরামর্শ দিচ্ছি। আমার মতে যা সত্য তা গোপন করা সুনীতি নয় এবং তা প্ৰকাশ করাও দুনীতি নয়। সংস্কৃতকাব্যে যে যৌবনধর্মের বর্ণনা আছে তা যে সামান্য মানবধর্মএ হচ্ছে অতি স্পষ্ট সত্য ; এবং মানবজীবনের উপর তার প্রভাব যে অতি প্ৰবল - তাও অস্বীকার করবার জো নেই। তবে এই একদেশদর্শিতা ও অত্যুক্তি — ভাষায় যাকে বলে একরোখ্যামি ও বাড়াবাড়ি - তাই হচ্ছে সংস্কৃতকাব্যের প্রধান দোষ। যৌবনের স্কুল-শরীরকে অতি আশকার দিলে তা উত্তরোত্তর স্থূল হতে স্থূলতার হয়ে ওঠে, এবং সেইসঙ্গে তার সূক্ষ্মী শরীরটি সুন্ম হতে এত সুন্নতম হয়ে ওঠে যে, তা খুজে পাওয়াই ভাৱ হয়। সংস্কৃতসাহিত্যের অবনতির সময় কাব্যে রক্তমাংসের পরিমাণ এত বেড়ে গিয়েছিল যে, তার ভিতর আত্মার পরিচয় দিতে হলে সেই রক্তমাংসের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা করা ছাড়া আর আমাদের উপায় নেই। দেহকে অতটা প্ৰাধান্য দিলে মনপদার্থটি বিগড়ে যায় ; তার ফলে দেহ ও মন পৃথক হয়ে যায় এবং উভয়ের মধ্যে আত্মীয় তার পরিবর্তে জ্ঞাতিশত্রু তা জন্মায়! সম্ভবত বৌদ্ধধর্মের নিরামিষের প্রতিবাদস্বরূপ হিন্দু কবিরা তাদের কাব্যে এতটা আমিষের আমদানি করেছিলেন। কিন্তু যে কারণেই হোক প্ৰাচীন ভারতবর্যের চিন্তার রাজ্যে দেহমােনর পরস্পরের যে বিচ্ছেদ ঘটেছিল, তার প্রমাণপ্ৰাচীন সমাজের এক দিকে বিলাসী অপর দিকে সন্ন্যাসী, এক দিকে পত্তন অপর দিকে বন, এক দিকে রঙ্গালয় অপর দিকে হিমালয় ; এককথায় এক দিকে কামশাস্ত্র অপর দিকে মোক্ষশাস্ত্ৰ। মাঝামাঝি আর-কিছু জীবনে থাকতে পারত। কিন্তু সাহিত্যে নেই। এবং এ দুই বিরুদ্ধ-মনোভাবের পরস্পরমিলনের যে কোনো পন্থা ছিল না, সে কথা ভর্তৃহরি স্পষ্টাক্ষরে বলেছেন 'qका ऊर्ष दृश्नाह्रौं दा झै दा' এই হচ্ছে প্ৰাচীনযুগের শেষকথা। যারা দরী-প্ৰাণ তঁদের পক্ষে যৌবনের নিন্দ করা যেমন স্বাভাবিক, র্যারা সুন্দরী-প্ৰাণ তঁদের পক্ষেও তেমনি স্বাভাবিক। যতির মুখের যৌবন-নিন্দ অপেক্ষা কবির মুখের যৌবন-নিন্দার, আমার বিশ্বাস, অধিক ঝাঁঝ আছে। LDB BBBDSDD DBBY DBDS DDDB DB BDBDECD BDD BB BDDDDDLS D BDB BD BBBSDBDBBD BB DBD DBDDS DDD BB SDD