পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিমধ্যে সম্পাদকমহাশয়ের মধ্যে মধ্যে লেখকদের ‘ইতিমধ্যে একটা কিছু লিখে দিতে আদেশ করেন। যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে, কী লিখব ?- তার উত্তরে বলেন, যাহোকএকটা-কিছু লেখো। কী যে লেখো তাতে কিছু আসে-যায় না- কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, লেখাটা 'ইতিমধ্যে’ হওয়া চাই। এ স্থলে ইতিমধ্যেৱ অর্থ হচ্ছে আগামী সংখ্যার কাগজ বেরবার পূর্বে। সম্পাদক মহাশয়েরা যখন আমাদের এইভাবে সাহিত্যের মাসকাবার তৈরি করতে আদেশ দেন, তখন তঁরা ভুলে যান যে, সাহিত্যে যারা পাকা, অঙ্কে তারা স্বভাবতই কঁচা । দিন গুণে কাজ করবার প্রবৃত্তিটি আমরা ইংরেজের কাছে শিখেছি। কোন দিনে কোন ক্ষণে কোন কাৰ্য আরম্ভ করতে হবে, সে বিষয়ে এ দেশের খুব বাধাৰ্বিাধি নিয়ম ছিল ; কিন্তু আৱদ্ধ কর্ম কখন যে শেষ করতে হবে, সে সম্বন্ধে কোনোই নিয়ম ছিল না। সেকালে কোনো জিনিস যে তােমাদি হত, তার প্রমাণ সংস্কৃত ব্যবহার-শাস্ত্ৰে পাওয়া যায় না। সেই কারণেই বোধ হয়, বহু মনোভাব ও আচারব্যবহার, যা বহুকাল পূর্বে তামাদি হওয়া উচিত ছিল, হিন্দুসমাজের উপর আজও তাদের দাবি পুরোমাত্রায় রয়েছে। সে যাই হোক, কাজের ওজনের সঙ্গে সময়ের মাপের যে একটি সম্বন্ধ থাকা উচিত- এ জ্ঞান আমাদের ছিল না । ‘কালোহয়ং নিরবধি”- এ কথা সত্য হলেও সেই কালকে মানুষের কর্মজীবনের উপযোগী করে নিতে হলে তার যে ঘর কেটে নেওয়া আবশ্যক - এই সহজ সত্যটি আমরা আবিষ্কার করতে পারি নি। একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর একটি বিশেষ কাজ শেষ করতে হলে প্ৰথমে কোথায় দাড়ি টানতে হবে, সেটি জানা চাই ; তার পরে কোথায় কমা ও কোথায় সেমিকোলন দিতে হবে, তার ও হিসেব থাকা চাই। এককথায়, সময় পদার্থটিকে punctuate করতে না শিখলে punctual হওয়া যায় না । সুতরাং আমরাও যে ইংরেজদের মতো সময়কে টুকরো করে নিতে শিখছি, তাতে কাজের বিশেষ সুবিধে হবে ; কিন্তু সাহিত্যের সুবিধে হবে কি না, সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ সময়ের মূল্যের জ্ঞান বড়ো বেশি বেড়ে গেলে সেই সময়ে যা করা যায় তার মূল্যের জ্ঞান, DS DDLLDD DBBLD BD KBDSS DBBD DBB BD DBB BDS DBBBD চরিত্র গঠিত হয় কর্মের ভিতর, আর মন গঠিত হয় অবসরের ভিতর। অর্থাৎ পেশী BBDB BDSDD BB DBDDBD KEEB Du D DDDBDSDB DBBD BDD BDBDLBL BDB EL D KKS SDDDS D DDSDDDSS DBBDDSDB DD DBB