মন। সুতরাং, তোমার চঞ্চল মন, যাহা সর্ব্বদা পরিভ্রমণ করিয়া থাকে, তাহাকে সংযত কর, বহু কল্যাণ হইবে। সংযত মনই সুখ আনয়ন করে। পাপ ও পুণ্য সমস্তই তোমার নিজকৃত। অন্য কেহ তোমাকে পবিত্র করিতে পারিবে না।
বুদ্ধ বলেন, মনকে নিষ্কলুষ করিতে হইলে (১) প্রাণীহত্যা করিও না, (২) যাহা তোমাকে দেওয়া হয় নাই, তাহা তুমি গ্রহণ করিও না, (৩) ব্যভিচার করিও না, (৪) মিথ্যা কহিও না, (৫) সুরাপান করিও না; এবং (১) তোমার দৃষ্টি সাধু কর (২) তোমার সঙ্কল্প সাধু কর (৩) তোমার বাক্য সাধু কর (৪) তোমার ব্যবহার সাধু কর (৫) তোমার জীবিকা অর্জ্জন সাধু কর (৬) তোমার সর্ব্বচেষ্টা সাধু কর (৭) তোমার চিন্তা সাধু কর (৮) সাধুধ্যানে তোমার চিত্ত সমাহিত কর।
নির্ব্বাণপথের যাত্রীকে বুদ্ধ বলিতেছেন—
(১) তুমি যে পুণ্য লাভ করিয়াছ তাহা রক্ষা করিবার চেষ্টা কর।
(২) নব নব পুণ্যলাভের চেষ্টা কর।
(৩) পূর্ব্বের সঞ্চিত পাপ অবিলম্বে ত্যাগ কর।
(৪) নূতন পাপ তোমাকে আক্রমণ না করে,তজ্জন্য সতর্ক হও।
উপরিউক্ত প্রথম পাঁচটি নৈতিক নিষেধকে আনুষ্ঠানিক বৌদ্ধগণ “পঞ্চশীল” বলেন। তাঁহারা “পঞ্চশীল”, “অষ্টশীল” বা “দশশীল” গ্রহণ করিয়া থাকেন। শীলকে তাঁহারা নির্ব্বাণলাভের পাথেয় বলিয়া জানেন। তাহাঁরা শীলকে “মহামঙ্গল”, “কুশল” প্রভৃতি নাম দিয়াছেন।
মানুষের হৃদয়ে যে পাপ, যে চঞ্চলতা জমিয়া উঠিয়া তাহাকে