পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১৪৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

ইন্দ্রিয়ের লালসা মনের প্রজ্ঞা হরণ করে। বুদ্ধদেব মানুষের এই অবস্থাকেই অজ্ঞানতার অবস্থা বলিয়াছেন।

 এই অবিদ্যার বশে মানুষ ‘অহং’কেই সত্য বলিয়া মনে করে; চিরসত্য, চিরমঙ্গলকে বিস্মৃত হইয়া যায়। এই অস্থায়ী অহং এবং স্থায়ী সত্য এই দুইয়ের প্রভেদ সুস্পষ্ট বুঝিতে হইবে। সাধক যে সত্যকে লাভ করিতে চান, সেই সত্য অবিনশ্বর, দেহের ন্যায় ইহার জন্ম-মৃত্যু আদি-অন্ত নাই। তিনি যখন তাঁহার ভিতরের সত্তাকে ক্ষুদ্র অহংজ্ঞান হইতে বিমুক্ত করেন, তখন ইহা স্বচ্ছ হীরকখণ্ডের ন্যায় সত্যের বিমল আলোকে উদ্ভাসিত হইয়া উঠে; তিনি তখন প্রত্যেক পদার্থের ভিতরে সত্যকেই প্রত্যক্ষ করেন। বৃহৎ সত্যের সহিত সাধকের এই মিলনই মুক্তি বা নির্ব্বাণ। বৌদ্ধসাধনা যে উপায়ে এই অহংকে বিলোপ করিতে বলে, তাহা একমাত্র “নেতি নেতি” নহে; সাধক এক দিক দিয়া আপনাকে সঙ্কুচিত করিবেন, আবার অন্যদিক দিয়া আপনাকে সর্ব্বভূতের মধ্যে প্রসারিত করিয়া দিবেন।

 ভগবান্‌ বুদ্ধদেব সমগ্র মানবজাতিকে সম্বোধন করিয়া কহিয়াছেন, তোমরা

 ১। বধ করিও না।

 ২। অপহরণ করিও না।

 ৩। ব্যভিচার করিও না।

 ৪। মিথ্যা কহিও না।

 ৫। সুরাপান করিও না।

স্থূল দৃষ্টিতে এই পাঁচটি শীল সাধারণ নৈতিক নিষেধ বলিয়া

১১২