পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১৬২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বৌদ্ধ সাধকের আদর্শ

এইজন্য অবিদ্যা হইতে কার্য্য কারণ পরম্পরায় কিরূপে জীবের উদ্ভব হইল ইহারা প্রজ্ঞাদ্বারা তাহারই উপলব্ধি করিয়া নির্ব্বাণ লাভ করিয়া থাকেন। ইহারা “প্রত্যেক বুদ্ধ” নামে আখ্যাত হইয়া থাকেন।

 অপর শ্রেণীর সাধকগণ “বুদ্ধত্ব” ও “সর্ব্বজ্ঞত্ব” লাভের জন্য পূর্ব্বপূর্ব্ব বুদ্ধদের ন্যায় নির্ব্বাণসাধনায় প্রবৃত্ত হইয়া থাকেন। বিশ্বপ্লাবিনী করুণার প্রেরণায় ইহারা বিশ্ববাসী দেবমানবের সুখকল্যাণ কামনায় নির্ব্বাণসাধনা করিয়া থাকেন। ইহারা “বোধিসত্ত্ব-মহাসত্ত্ব” আখ্যা প্রাপ্ত হইয়া থাকেন।

 উল্লিখিত তিন শ্রেণীর সাধকই নির্ব্বাণ সাধনায় নিরত হইলেও শ্রাবক ও প্রত্যেক বুদ্ধদের সাধনার সহিত বোধিসত্ত্বদের সাধনার আকাশ পাতাল প্রভেদ লক্ষিত হইয়া থাকে। বোধিসত্ত্ব কখনো সংসারের কলকোলাহল হইতে দূরে নিভৃত শৈলগুহায় প্রবেশ করিয়া দেহের নশ্বরতাধ্যান করেন না, আপনার সুখ ও আপনার কল্যাণের জন্য তিনি বিন্দুমাত্র উৎকণ্ঠিত নহেন; অবিমিশ্র শান্তির লোভে তিনি নির্জ্জনতার সন্ধান না করিয়া, সর্ব্বজীবের নির্ব্বাণসাধনার নিমিত্ত সংসারের কোলাহলের মধ্যেই প্রবেশ করেন। যাহারা অবিদ্যার বশে পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণ করিয়া দুঃখ ভোগ করিতেছে, তিনি তাঁহার সমগ্র শক্তি তাহাদের হিতার্থে উৎসর্গ করেন, তাহাদের নিকটে নির্ব্বাণের অমৃতময়ী বাণী প্রচার করিয়া থাকেন।

 আপনার হিতার্থে আপনার দুঃখ নিবৃত্তির নিমিত্ত শ্রাবক ও প্রত্যেক বুদ্ধগণ কঠিন সাধনায় প্রবৃত্ত হন। তাঁহাদের সাধনা

 
১২৯