পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/২৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

বুদ্ধের জীবন ও বাণী

কেহ দরিদ্র এইরূপ অর্থগত বৈষম্য তাহাদের মধ্যে দেখা যাইত না। তাহাদের গ্রাসাচ্ছাদন অল্পায়াসে চলিয়া যাইত—চোর ডাকাতের উপদ্রব ছিল না—আপনাদের পল্লী মধ্যে তাহারা পূর্ণ স্বাধীনতা সম্ভোগ করিত। পল্লীবাসীদের মধ্যে যেমন কেহ প্রবল ভূস্বামী ছিল না, তেমনি নিরন্ন পথের ভিখারীও দেখা যাইত না।

 পল্লীবাসীদের সাধারণ সুখস্বাচ্ছন্দ্যের কোন অভাব ছিল না। তাহাদের দিনগুলি একরূপ অনায়াসেই শান্তিতে কাটিয়া যাইত। কেবল যে বৎসর অনাবৃষ্টি হেতু শস্য নষ্ট হইয়া যাইত সেই বৎসর গৃহে গৃহে হাহাকার ধ্বনি শোনা যাইত। বৌদ্ধধর্ম্ম-গ্রন্থে এরূপ দুর্ভিক্ষের বিবরণ পাওয়া যায়।

 পল্লীবাসীদের বাসগৃহগুলি কাছাকাছি সন্নিবিষ্ট ছিল। বিচ্ছিন্ন গৃহের উল্লেখ কোথায়ও দৃষ্ট হয় না। দুইখানি গৃহের মধ্যে একটি অপ্রশস্ত রাস্তামাত্রের ব্যবধান থাকিত।

 প্রত্যেক গৃহস্থই কতগুলি গোমহিষাদি পশু রাখিত। এই সকল পশুর জন্য পল্লীবাসীদের সাধারণ একখানি চারণভূমি থাকিত। শস্যক্ষেত্রের ফসল যখন উঠিয়া যাইত, তখন পল্লীবাসীদের গৃহপালিত পশুগুলি ঐ ক্ষেত্রেই চরিয়া বেড়াইত; কিন্তু ক্ষেত্রে ফসল থাকিলে তাহাদের পক্ষ হইতে একব্যক্তি পশুগুলির তত্ত্বাবধানের জন্য নির্ব্বাচিত হইত। সাধারণতঃ বিশ্বাসী ও সুযোগ্য ব্যক্তি উপর এই কার্য্যের ভার অর্পিত। এইরূপ বর্ণিত আছে যে, পশুরক্ষক তাহার প্রতিপালিত পশুর আকৃতি গাত্রের বিশেষ বিশেষ চিহ্ন বলিয়া দিতে পারিত। পশুদের গাত্র হইতে মশক মক্ষিকা প্রভৃতি