পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৯৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।



বুদ্ধের জীবন ও বাণী

পরিব্রাজকরূপে বিরাট ধর্ম্মক্ষেত্রে আমি একান্ন বৎসরকাল বিহরণ করিয়াছি। আষ্টাঙ্গিক আর্য্যমার্গ ব্যতীত সদ্‌ধর্ম্মসাধনের আমি দ্বিতীয় কোনো পন্থা জানি না।

 সুভদ্র বিস্ময়াভিভূত হইয়া উত্তর করিলেন—প্রভো, আপনার শ্রীমুখের বাণী অতীব মধুর। আপনার প্রসাদে আজ সত্য বিচিত্ররূপে আমার নিকট প্রকাশিত হইল। পথভ্রান্ত পথ পাইল, যাহা প্রচ্ছন্ন ছিল তাহা প্রকাশিত হইল, আলোকের আবির্ভাবে অন্ধকার অন্তর্হিত হইল। প্রভো, আমাকে আপনার জীবিতকালেই শিষ্যরূপে গ্রহণ করিয়া কৃতার্থ করুন। বুদ্ধের আদেশক্রমে সুভদ্র সংঘে প্রবেশাধিকার লাভ করিলেন।

 অতঃপর বুদ্ধ আনন্দকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—ভাই আনন্দ, আমার মৃত্যুর পরে তোমাদের কেহ চালক রহিলেন না, এমন চিন্তা যেন কদাচ তোমাদের মনে স্থান পায় না। আমি তোমাদিগকে যে সকল সত্য শিক্ষাদান করিয়াছি, সেই সকল সত্য এবং সংঘের নিয়মাবলীই তোমাদের পরিচালক হইবে।

 আনন্দ, এতকাল সংঘের ভ্রাতৃগণ পরম্পর বন্ধু বলিয়া সম্বোধন করিয়াছেন; কিন্তু এখন হইতে যেন বয়ঃকনিষ্ঠ নবীন ভিক্ষুরা প্রাচীন ভিক্ষুদিগকে “ভন্তে বা আয়স্মা” অর্থাৎ মাননীয় বা পূজনীয় বলিয়া সম্বোধন করেন। বয়োজ্যেষ্ঠ ভিক্ষুর নব্য ভিক্ষুদিগকে নাম বা গোত্র উল্লেখ করিয়া “আবুসো” অর্থাৎ বন্ধু বলিয়া সম্বোধন করিবেন।

 অনন্তর তিনি ভিক্ষুমণ্ডলীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—ভিক্ষুগণ, আমার প্রচারিত ধর্ম্মের কোনো বিষয়ে যদি আপনাদের মনে

৬৬