পাতা:বুয়র ইতিহাস - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
বুয়রদিগের উৎপত্তি।

সমুদ্রগর্ভে তাঁহার সমাধিমন্দির স্থাপিত করেন। এই সঙ্গে সঙ্গে, পঞ্চম কাফির-যুদ্ধও শেষ হইয়া যায়।

 এই ঘটনার পর, মৎস্য নদী হইতে কাই (kei) নদী পর্যন্ত, ইংরাজ গভর্ণমেণ্টের অধিকারভুক্ত হওয়ায়, কাইসকামা (keiskama) নদীর দক্ষিণ তীরে ও কাই নদীর ধারে, দুইটী সেনানিবাস স্থাপিত হয়। ঐ দুই স্থান, ফোর্ট উইলসারী (Fort Wilshire) ও ফোর্ট বুফোর্ট (Fort Beaufort) নামে অভিহিত। অসভ্য জাতির অত্যাচারে, সেই সময় ইংরাজ শাসনকর্ত্তা এইরূপ প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, ঐ প্রদেশে ইংরাজ অধিকার আর অধিক বিস্তৃত করা হইবে না।

 ১৮১৯ খৃষ্টাব্দে, দক্ষিণ আফ্রিকায় যে জনসংখ্যা গৃহীত হয়, তাহাতে জানিতে পারা যায় যে, সেই সময়ে, সেই প্রদেশে কেবলমাত্র ৪২০০০ সহস্র শ্বেতকায় বা বুয়রদিগের অধিক হইয়াছে। এই অবস্থা দৃষ্টে, ইংরাজ গভর্ণমেণ্ট সেই প্রদেশে শ্বেতাঙ্গদিগের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া, নিজ ব্যয়ে ইংলণ্ড হইতে প্রায় ৫০০০ সহস্র শোক, ১৮২১ খৃষ্টাব্দের মে মাসের মধ্যে, সেইস্থানে আনিয়া স্থাপিত করেন। বুসমেন ও মৎস্য নদীর মধ্যস্থিত, এবং জুয়ার বার্গ (Zuarberg) ও সমুদ্রের মধ্যবর্ত্তী, ভূভাগ সকল ইহাদিগের বাসস্থান রূপে পরিগণিত হয়।

 যে সকল ইংরাজ সেই স্থানের অধিবাসী হইলেন, প্রথম ২।৪ বৎসর নানারূপ কষ্ট ও অসুবিধা ভোগ করিয়া, পরিশেষে তাঁহারা সুখস্বচ্ছন্দে সেই সকল প্রদেশে বাস করিতে লাগিলেন।