পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A eyW বৃহৎ বঙ্গ আছে শ্ৰীপৰ্ব্বতে ইহার সঙ্গে মাখবেন্দ্ৰ পুব্লীর সাক্ষ: 1 2 ) } এই মাধবেন্দ্ৰ পুরাই বঙ্গদেশে প্রথম কৃষ্ণপ্রেমের সূত্রপাত করিয়াছিলেন। নানাকারণে মনে হয় পুৰী বাঙ্গালী ছিলেন। ইনি অযাচক-বৃত্তি সন্ন্যাসী ছিলেন, কেহ কিছু স্বেচ্ছাধ দিলে খাইতেন—নতুবা উপবাসী থাকিতেন। চৈতন্যচরিতামৃতে লিখিত আছে, ইনি একদা বৃন্দাবনে যাইয়া গোবৰ্দ্ধন-পৰ্ব্বতদর্শনে কৃষ্ণলীলা স্মরণ করিয়া তথায় বসিয়া ধ্যান কবিতেছিলেন। তিন দিন কিছু খাওয়া হয় নাই, তথাপি দৈহিক কোন কষ্ট হয় নাই, শতদলের মত মুখখানি প্রেমে ঢলঢল করিতেছে। সায়াহ্নে কৃষ্ণবর্ণ পরম সুন্দর একটি কিশোর বাসস্ বালক এক ভাড় দৃদ্ধ মাথায় করিয়া তঁহার নিকট আসিয়া বলিল, “আপনি এই দুগ্ধ পান কৰিয়া তুঙ্গু হউন। সম্মুখে ঐ ঝাবনার জল— উহাতে ভাণ্ডটি পবিধার কবিয়া রাখিয়া দিবেন,-আমি খানিক পরে আসিযা লই) যাইব ।” মাধবেন্দ্ৰ বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “কে তোমাকে এই দুধ দিয়া পাঠাইয়াছে ?” বালক বলিল, “ব্ৰজমাযের তোমাব উপবাসের কথা জানেন, তাহারাই আমাকে পাঠাইবা দি যাছেন। তাহারা বলিলেন, এখানে যত সাধুসন্ন্যাসী আসেন, র্তাহারা সকলেই তাহদের কাছে আহাৰ্য্য ভিক্ষা করেন, কেহ। যব, ছাতু, দুগ্ধ, রুটি, কেহ বা ফল-মূল ভিক্ষা কবেন, কিন্তু তুমি তাঁহাদের কাছে কিছুই চাও নাই। তাহারাই আমাকে তোমার নিকট পঠাইয়াছেন । যিনি কাহারও কাছে কিছু চান না, আমিই তঁহার খাবার যোগাইয়া থাকি।” এই বলিয়া বালক চলিয়া গেল, তাহার পরমসুন্দৰ মুখশ্ৰী, উজ্জ্বল কৃষ্ণবর্ণ এবং সুন্দব রূপ সন্ন্যাসীব মন মুগ্ধ করিল। মাধব সেই দুগ্ধ পান কবিলেন, তাত অমৃতের ন্যায় সুস্বাদু, ভাংগুটি ধুইয়া মুছিযা একধারে বাখিয়া দিয়া সন্ন্যাসী পুনরাব্য তপস্যায় বসিলেন । কৃষ্ণের করুণা-স্মরণে তাহাব চক্ষু হইতে অবিবল ধাবায় জল পড়িতে লাগিল । শেষরাত্রে তন্দ্রার অবস্থায্য ধ্যানের বশে তিনি দেখিতে পাইলেন, সেই তরুণবয়স্ক বালক তাহাব ফাছে দাড়াইয়া, বড় মধুর তাহার মূৰ্ত্তি, কিন্তু বড় বিসঃ ! গদগদ কণ্ঠে বালক যেন বলিতেছে, “মাধব ! আমি বহুদিন যাবৎ তোমার অপেক্ষা কবিয়া আছি, মৃত্তিকার নীচে শাতাতপে আমার বড় কষ্ট ভোগ করিতে হইতেছে। তুমি আমাকে উদ্ধাব করিবে, এই প্ৰত্যাশায় আমি কত বর্ষ কাটাইয়া ਜਿਬ- ਭ?ਠ ਜ ਠs 0. ਚ qL0OBBSiBuu S LqBuBuuYuL TuDuuDuBBBu uDLD S BgS BD BBSBBBO করিয়া বালক অন্তহিত হইল। তখন গোবৰ্দ্ধনের শৃঙ্গে রাঙ্গা মাণিকোব মত সুৰ্য্যকিরণের প্রথম ঝলক ঝিকিমিকি করিতেছিল—সন্ন্যাসী সাশ্রনেত্ৰে বৃন্দাবনের পল্লীতে ছুটলেন। বহু লোক কোদাল ও শাবল লইয়া তাহার পিছনে পিছনে গোবৰ্দ্ধন পাহাড়ে ছুটিল। নির্দিষ্ট স্থান খুড়িয়া তাহারা এক বিশাল প্রস্তরমূৰ্ত্তি পাইলেন, এই গোপালমূৰ্ত্তি মাধবাচাৰ্য বৃন্দাবনে প্রতিষ্ঠা করিলেন, তিনি বাঙ্গালী পুরোহিত আনিয়া সেই মূৰ্ত্তিয় পূজার ব্যবস্থা কবিলেন। তিনি আবার স্বপ্ন দেখিলেন যেন সেই বালক তাহাকে পুনরায় বলিলেন---“মাধব ! বহুদিন ভূনিমে থাকিয়া আমার শরীরের তাপ দূর হয় নাই-উড়িষ্যাভে খুব উৎকৃষ্ট চন্দন আছে, তুমি যদি भाथ बडच शूी।