পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৩

গৌরাঙ্গ ও তঁাহার পরিকরবর্গ Ayè নিকট পাঠ সমাপন করিয়া ইনি শান্তিপুরেই উপনিবিষ্ট হন। ইনি যেরূপ পণ্ডিত ছিলেন তেমনি ধনশালী হইয়াছিলেন। শান্তিপুরে ইহার রাজপ্রাসাদেয় ন্যায় অট্টালিকার নাম ছিল “উপকারিকা।” মুসলমান হরিদাসেব সঙ্গে ইহার একান্ত অন্তরঙ্গতা ছিল ; ইহার দুই স্ত্রী সীতা ও শ্ৰী বৈষ্ণব-সমাজে সুবিদিত। সন্ন্যাস-গ্রহণের পর চৈতন্য একবার শান্তিপুরে ইহার বাড়ীতে যাইয়া “উপকারিকায়,” দশদিন আতিথ্য স্বীকার করিয়াছিলেন,-যখন তিনি শান্তিপুর ছাড়িয়া চলিয়া যান, তখন বৃদ্ধ অদ্বৈতাচাৰ্য্য বালকের ন্যায় চীৎকার কবিয়া কঁাদিয়াছিলেন। চৈতন্য বলিয়াছিলেন, “তুমি নিজেই যদি এরূপ ব্যাকুল হও, তবে আমার বৃদ্ধ মাতাকে কে প্ৰবোধ দিবে ?” কথিত আছে একদা জ্ঞানেব দিকে বেশী ঝোক দেওয়াতে ভক্তিবাদীরা পুৰীতে চৈতন্যের নিকট ইহার কুৎসা করিয়াছিলেন। চৈতন্য চিঠি লিখিয়া উত্তর আনাইযা দেখাইলেন-ইনি যে প্রেমিক সেই প্রেমিকই রহিয়াছেন, শুষ্ক জ্ঞানবাদ গ্ৰহণ করেন নাই। অদ্বৈতের টোলে বঙ্গদেশ ছাড়াও ভারতের নানাস্থল হইতে ছাত্ৰ পড়িতে আসিত । প্রেমবিলাসে লিখিত আছে, তাহার প্রোেমর ধৰ্ম্মেৰ মৰ্ম্ম বুঝিতে না পারিয়া তঁহার এক মহারাষ্ট্রীয় শিষ্য র্তাহাকে ত্যাগ কৱিযা যান। “অদ্বৈতাচাৰ্য্য” তাহাব উপাধি,--নাম ছিল-কমলাকব ভট্টাচাৰ্য্য। শান্তিপুবে অদ্বৈতের বংশধরেরা এখনও বাস কবিতছেন । ১৪৩৪ খৃঃ অব্দে ইহার জন্ম এবং প্ৰেমবিলাসের মতে ১৫৩৯ খৃঃ অব্দে ইহার शृङ्) } ঈশান নাগরকৃত অদ্বৈত-প্ৰকাশে ইহার शूङ् >«tz8 यू: ज्ञ८१ ঘটিয়াছিল বলি, লিখিত আছে । চৈতন্যের সহচর। অদ্বৈত ও নিত্যানন্দ ছাড অবও কয়েকজন প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে আমবা অল্পসংখ্যক কয়েকজনেব উল্লেখ করিব-শ্ৰীখণ্ডের নবহবি সরকার, শ্ৰীবাস, রূপ, সনাতন, রঘুনাথ দাস, হরিদাস, প্রতাপরুদ্র, দ্ৰ"ত 'দেব সাব্বভৌম, বাসু ঘোষ, লোকনাথ, শিবানন্দ সেন, গোবিন্দ, রামানন্দ বাষ এবং উদ্ধারণ দত্ত । নৱহুনির সনাত্মক-চাৰু শ্ৰীখণ্ড গ্রামেব পন্থদাসবংশীয়। পন্থদাস বল্লালসেনের প্রধান সেনাপতি ছিলেন, ইহায় আদি নিবাস ছিল সপ্ত গ্রামেব নিকটবৰ্ত্তী বালিনছি। গ্রামে ; উত্তরকালে ইহারা শ্ৰীখণ্ড, মৌডেশ্বব ও অপরাপব গ্রামে আসিয়া বাস করেন । ইহাদের এক প্ৰধান শাখা-নীলাম্বর, দিগম্বর ও বিষ্ণুদাস ফৌজদার অনুমান ১৩২৫ খৃষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গেব এক বিস্তৃত স্থানের অধিকার পাইয়া ঢাকা জেলার সুয়াপুর গ্রামে বাস কবেন। অধ্যাপক ডাঃ তামোনাশ দাশগুপ্ত এই বংশের বংশধর । নরহরির পিতার নাম নারায়ণ, এবং তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মুকুন্দ হুসেন সাহার গৃহচিকিৎসক ছিলেন । নরহরি ১৪৭৪ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চৈতন্যদেবের গণ্ডীতে পা দিবার পূৰ্ব্বে রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদ লিখিয়া কবিযশ প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন-তাহার একটি পদ এইৰূপ-“আঙ্গিনায় রহিল আমার এই হিয়ার হেম হার। পিয়া যেন গলায় পরয়ে একবার | ব্রোপিণু মল্লিকা নিজকরে, গাঁথিয়া ফুলের মালা পরাইও তারে - । এ বনে আসিতে তারে কইও ! নরহরি ক’র এই কাম, সে সময়ে কাণে শুনাও কৃষ্ণনাম।” ইহা দশম দশা অর্থাৎ অন্তিম অবস্থায় নবহfর সরকার ।