পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S বৃহৎ বঙ্গ রাধার উক্তি। চৈতন্যের প্রতি অনুরাগ হওয়ার পরে, তিনি আর রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদ রচনা কবেন নাই, সমস্ত পদই গৌরাঙ্গ-বিষয়ে রচনা করিয়াছেন। এই সকল পদে গৌরাঙ্গকে কৃষ্ণরূপে বৰ্ণনা করিয়া সহচরদিগকে গোপী বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়াছেন ; এই গোপীভাবের ভজনা চৈতন্যভাগবতকার বৃন্দাবন দাসের ভাল লাগে নাই-সে কথা তিনি নরহরির নাম উল্লেখ না কবি যা ইঙ্গিতে জানাইয়াছেন । কিন্তু নরহবি আর একটি কাজ করিয়াছেন, যাহা গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজে একটি নূতন অধ্যান্য উন্মুক্ত কবিয়া দিল—ইনি শাস্ত্ৰবিধিমতে চৈতন্যপূজাব মন্ত্র রচনা করিয়াছেন—সেই বিধি সমস্ত গৌডীয় বৈষ্ণব-সমাজে প্ৰচলিত হইয়াছে। নবহারিরচিত গৌরাঙ্গলীলাব বহু পদ আছে--তন্মধ্যে জগবন্ধু ভদ্র মহাশয় তাহার গৌরলীলাতরঙ্গিণীতে প্ৰায় একশত গান উদ্ধৃত করিয়াছেন। নবহারির বংশধবেবী শ্ৰীখণ্ডে “বৈষ্ণব গোসাই” বলিয়া পরিচিত, তঁাতাদেব ব্ৰাহ্মণাদি শ্রেণীব মধ্যে বহু শিষ্য আছে। নবহারি ১৫৪১ খৃষ্টাব্দে স্বগগত হন । চৈতন্য নবাহবিকে এত ভালবাসিতেন যে দাক্ষিণাত্যে ভ্ৰমণ-সময়ে প্ৰলাপেব মধ্যে পৰ্য্যন্ত র্তাহাব নাম উল্লেখ করিবাছিলেন । “কখন বলেন এস প্ৰাণ নবহারি । হবিনাম শুনি তোরে আলিঙ্গন করি।” নবাহবি-কৃত অনেক সংস্কৃত পুস্তক আছে। শ্ৰীবাসন চৈতন্য হইতে অন্ততঃ ৪০ বৎসবের বড় ছিলেন, ইহাব মাতা মালিনী দেবী শচীর বন্ধু ছিলেন। ইহাবা শ্ৰীহট্টবাসী ছিলেন, অদ্বৈত এবং শ্ৰীবাস একত্ৰ হইয়া মাতৃভূমি পরিত্যাগপূর্বক গঙ্গাতীবে বাস স্থাপন কবিয়াছিলেন । শ্ৰীবাসেব আরও তিন ভ্ৰাতা ছিলেন, শ্ৰীনিধি ( শ্ৰীকণ্ঠ ), শ্ৰীরাম এবং শ্ৰীপতি । এই ব্ৰাহ্মণপরিবার সঙ্গতিপন্ন ছিলেন । সেকালে ব্রাহ্মণেবা সেলাই কাপড়-- অর্থাং জামা প্রভৃতি প্ৰাযই ব্যবহার করিতেন না, কিন্তু সে সময়েও শ্ৰীবাসের বাড়ীতে একজন মুসলমান দবজি বারমাস নিযুক্ত ছিল। ১৭ বৎসব বয়স পৰ্য্যন্ত শ্ৰীবাস উদ্দামপ্রকৃতি ছিলেন- বঁ৷ ”ঙ্গে BBB BBB BBB BTOkuD DBB KKK BBBDBBBBB S BB BDBBS SKY DBDS KBBD স্বপ্নে দেখা দিয়া বলিলেন, “শ্ৰীবাস, তুমি কি করিতেছ ? তোমার আয়ু আর একবৎসব মাত্র আছে।” প্রাতে ঘুম ভাঙ্গিনা গেল, শ্ৰীবাস দেখিলেন স্বপ্নে দৃষ্ট োই সন্ন্যাসী দাড়াইঘা আছেন এবং তিনিও তাঁহাকে সেই সতর্কতাসূচক উপদেশ দিয়া চলি, । গেলেন । তদবধি শ্ৰীবাসের সমস্ত আনন্দ ও উচ্ছঙ্খলতার অবসান হইল। এমন সময়ে তিনি পথে এক টুকরা কাগজ কুডইয়া পাইলেন, তাহাতে বৃহন্নারদীয়পুরাণোক্ত এই শ্লোকটি লিখিত ছিল— “হিরোনাম হরেন্দাম হরেনৈিমৰ কেবলম। কলে। নাস্তোব নাস্ত্যেব নাস্তোব গতিরন্যথা৷” জলে নিমজ্জিত ব্যক্তি যেরূপ একটি তৃণ পাইলেও তাহা আঁকড়াইয়া ধরে, তিনি ঐ শ্লোকটি সেই ভাবে গ্ৰহণ কবিলেন এবং নিরন্তর নাম জপ করিতে লাগিলেন, তাহাতে ক্রমশঃ তাহার মনে আধ্যাত্মিক শক্তির সঞ্চার হইল। তাহাব কণ্ঠ অতি মিষ্ট ছিল, যখন রাস্তাপ দাড়াইয তিনি ভক্তিব আবেগে নাম কীৰ্ত্তন করিতেন, তখন তথায় ভিড় জমিয়া যাইত । দেবানন্দ পণ্ডিতেব বাড়ী বোজ শাস্ত্ৰপাঠ ও ব্যাখ্যা হইত, শ্ৰীবাস ভুক্তির উচ্ছাসে চীৎকার Àf