পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌরাঙ্গ ও তঁহার পরিকরবর্গ ԳՀ@ চৈতন্তের পরিকরদের মধ্যে অত্যন্ত অন্তরঙ্গ ছিলেন, রামানন্দ দুৱাৰয় । ইনি উড়িষ্যার মহারাজ প্ৰতাপরুদ্রের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন এবং ইহার উপাধি ছিল ‘রাজা” । ইহার পিতার নাম ভবানন্দ রায় এবং চারি ভ্রাতার নাম গোপীনাথ পট্টনায়ক, কলানিধি, সুধানিধি এবং বাণীনাথ । ইহাদের বাড়ী ছিল মধ্যভারতে বিদ্যানগরে ৷ ইনি “জগন্নাথ বল্লভ” নামক সুপ্ৰসিদ্ধ সংস্কৃত নাটকের লেখক । যে কয়েকখানি পুস্তকের শ্লোক চৈতন্যদেব দিনরাত গান করিতেন-তন্মধ্যে “রায়ের নাটকগীতি” একখানি । গোদাবরীতীরে চৈতন্য ইহাকে দেখিয়া আলিঙ্গনপূর্বক আশ্রপাত করিতেছিলেন, তাহ দেখিয়া তথাকার ব্ৰাহ্মণমণ্ডলী বিস্মিত হইযা বলিতেছিলেন, “এই না ব্ৰাহ্মণ তেজে দেখি সুৰ্য্যসম । শূদ্রে আলিঙ্গিয়া কেন করেন ক্ৰন্দন।” বিদ্যানগবে মহাপ্ৰভুর সঙ্গে রামানন্দের দশদিনব্যাপক যে কথাবার্তা হয়, তাহাতে গোড়ীয় বৈষ্ণবধৰ্ম্মের সার কথা বিবৃত হইয়াছিল। চৈতন্যের অনুজ্ঞাক্ৰমে রামানন্দ বৈষ্ণবধৰ্ম্মের মূল কথাগুলি ব্যাখ্যা করেন। প্রথমতঃ সাধ্যা ভক্তি, বিষ্ণুপুরাণের তৃতীয় খণ্ডের অষ্টম অধ্যায়ের ৮ম শ্লোক এই ব্যাখ্যার প্রমাণ। সাধকের এতদপেক্ষা উন্নত পথ গীতার নবম অধ্যায়ের ১৭শ শ্লোকোব প্ৰমাণ-দ্বারা দৃঢ়ীকৃত হইয়াছিল। তৎপরের অবস্থায় প্রমাণ শ্ৰীমদ্ভাগবতের ১৩শ স্কন্ধ, ৩২শ শ্লোক এবং গীতার ১৮শ অধ্যায়ের ১৭শ শ্লোক, তদপেক্ষ উৎকৃষ্ট অবস্থা গীতাব ১৭শ অধ্যায়ের ১৫শ শ্লোক-দ্বারা - প্ৰমাণিত। তৎপরের অবস্থা ভক্তিযোগের শ্রেষ্ঠত্ব শ্ৰীমদ্ভাগবতের ১০ম স্কন্ধের ১৫শ অধ্যায়ের তৃতীয় শ্লোকে প্রমাণিত এই অবস্থায় গৌড়ীয় বৈষ্ণবধৰ্ম্মের মূলভিত্তি পঞ্চতত্ত্বের কথা-প্ৰথম দাস্ত (প্রমাণ শ্ৰীমদ্ভাগবতের তৃতীয় অধ্যায়ের ১৩শ শ্লোক ) । তৎপরে সখ্য ( ভাগবতের ১০ম স্কন্ধের ১২শ অধ্যায়ের দ্বিতীয় শ্লোক ), ইহার পর বাৎসল্য ( ভাঃ ১০ম স্কন্ধ, ১৮শ অঃ, ৩৭শ শ্লোক ) । তৎপরে গোপীদের মাধুৰ্য্য ( গোবিন্দ-লীলামৃত, ১০ম অধ্যায়, ৮ম শ্লোক এবং ভাঃ ১০ম স্কন্ধ, ৩৭শ অঃ, ¢ 8* 6संक এবং ভাঃ ৩৭শ অঃ, ১৯শ শ্লোক এবং ৪০শ অধ্যায়ের ২০শ শ্লোক । রামানন্দকে প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করিয়া চৈতন্যদেব সর্বশাস্ত্ৰ মন্থনপূর্বক অবশেষে স্বয়ং রাধিকার মহাভাব প্ৰমাণ করিবার জন্য ভাগবতের ১০ম স্কন্ধের ২৫শ অঃ, ৯ম শ্লোক এবং ১১শ স্কন্ধের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩৪শ শ্লোক স্বয়ং ব্যাখ্যা করিলেন। চৈতন্য-চরিতামৃতকার লিখিয়াছেন, কোন ব্যক্তি একটা হারানো পয়সা খুজিতে যাইয়া যেরূপ মাটি খুঁড়িয়া হীরামুক্তার ভাণ্ডার আবিষ্কার করে, চৈতন্যের সঙ্গে সাধারণ ভক্তির সম্বন্ধে আলাপ করিতে যাইয়া রামানন্দ সেইরূপ “রাগানুগা”র উত্তঙ্গ শিখরে আরোহণ করিয়াছিলেন। রামানন্দ সেদিন চৈতন্যকে সাক্ষাৎ ভগবানের প্ৰেমাবতার বলিয়া গ্ৰহণ করিলেন । এই সময়ে তিনি যে কবিতাটি রচনা করিয়াছিলেন তাহা বৈষ্ণবজগতে সুবিদিত “পহিলহি। রাগ নয়নভঙ্গে ভেলা । অনুদিন বাড়ল অবধি না গেল। না সে রমণ না হাম রমণী, এ সখি সে সব প্ৰেম কাহিনী, কানু ঠাম কহিবি বিছরিব জানি। না খোজল দূতি, না খুজিল আনি, দুইক মিলন মাঝাহি পাৰ্ছ বাণ। অবসই বিরাগ তুহু ভেল দৃতি ; সুপুরুষ প্ৰেম ঐছন রীতি।” এই কয়েকটি পরিকর ছাড়া কৰ্ম্মকান্দন গোবিন্দদাসন, যিনি মহাপ্রভুর সঙ্গে 可可ta阿甜谓上