পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WRO বৃহৎ ৰঙ্গ সামসুদিনের পুত্ৰ পাণ্ডুয়ায় ও তিনি স্বয়ং একডাল দুৰ্গে সৈন্য-সামন্ত লইয়া আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। এই যুদ্ধে সামসুদিনের পুত্র বন্দী হন, কিন্তু সম্রাট ཤཞི་ཀར་དག་ན་ কিছুতেই বঙ্গেশ্বররের একডাল দুর্গ জয় করিতে সমর্থ হন নাই। পৰ্য্যন্ত সুবর্ণগ্রামে রাজত্ব অনেক যুদ্ধ-বিগ্রহের পর সামসুদ্দিন সম্রাটুকে কিছু অর্থ ও সামান্য గా উপঢৌকন দিয়া সন্ধি করেন, তাহার পুত্র মুক্তি পাইয়াছিলেন। »vev : देशांद्भ পরে ফিরোজসাহ বঙ্গেশ্বরের স্বাধীনতা স্বীকার করিয়াছিলেন । সামসুদিন ১৬ বৎসর ৫ মাস রাজ্য সুশাসন করিয়া ১৩৫৮ খৃষ্টাব্দে প্ৰাণত্যাগ করেন । , সামসুদিনের জ্যেষ্ঠ পুত্র সেকেন্দর সিংহাসনে আরোহণ করিয়া দিল্লীতে একটা বড় রকমের ভেট পাঠাইলেন। কিন্তু ফিরোজ সাহ এই সূত্রে বাঙ্গলা দেশটা সরকারের অধীন কুরিবার চেষ্টা পাইলেন। তিনি বঙ্গাভিমুখে রওনা হইয়া —န်...မ်း၊ "* সেকেন্দর সাহকে বুলিয়া পাঠাইলেন, তিনি তাহার ভেট পাইয়া খুলী হইয়াছেন, কিন্তু বাঙ্গলা দেশটা তাহার সাম্রাজ্যভুক্ত এই কথাটা স্বীকার করিলে তিনি খুন্সী হইয়া সন্ধি করিতে পারেন। বঙ্গেশ্বর স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে স্বীকৃত হইলেন, পরন্তু আরও পাঁচটি হাতী ও মূল্যবান উপহার পাঠাইয়া সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হইতে ইচ্ছা প্ৰকাশ করিলেন । যুদ্ধের উদেযাগ দেখিয়া সেকেন্দর একডাল দুর্গে আশ্ৰয় লইলেন। তথায় তঁহাকে পরাস্ত করা অসম্ভব দেখিযা সম্রাট ৪৮টি হাতী ও কতক উপহার আর বাৎসরিক কিছু কর দিতে সম্মত করাইয়া সেকেন্দারের সঙ্গে সন্ধি করিয়া ফেলিলেন। এই সময় হইতে র্তাহার রাজত্বের প্রায় শেষ পৰ্যন্ত তিনি শুস্তিতে কাটাইয়ুছিলেন, শেষকালে তাহার দুই স্ত্রীকে লইয়া কিছু গোলযোগ উপস্থিত হইল। প্রথমার গর্ভে ১৭টি সন্তান জন্মে। দ্বিতীয়ার মাত্র একটি পুত্ৰ হুইয়াছিল। এই পুত্রের নাম গয়েসউর্দিন। টনি সৰ্ব্বজনপ্রিয় ও পিতার আদরেব ছিলেন। একদা প্ৰথম রাজ্ঞী রাজাকে অনেক শপথ করাইয়া একটি গুপ্ত ষড়যন্ত্রের কথা তাহাকে বলিতে চাহিলেন, রাজা তাহাকে অভয়ার্শদিয়া সেই কথা তাহাকে জানাইতে আদেশ করিলেন। আশ্বাস পাইয়া রাজ্ঞী। তঁহার নিকট জ্যেষ্ঠপুত্ৰ গয়েসউদ্দিন সম্বন্ধে কতকগুলি কথা ব্যক্ত করিলেন-গয়েসউদ্দিন তাহাকে হত্যা করিয়া রাজ্য দখল করিতে উদ্যত ইত্যাদি। রাজা বলিলেন, “দুর্মুখি, তোমার সপত্নীর একটি মাত্র পুত্র, তাহাও তোমার সহ্য হইতেছে না।--তুমি আমার নিকট হইতে চলিয় স্থাও।” গয়োসউদ্দিন ভাবে-প্রকারে বিমাতার ষড়যন্ত্র টের পাইয়াছিলেন। রাজপ্রাসাদে এ অবস্থায় থাকা আর নিরাপদ নহে মনে করিয়া সোণারাগায়ে যাইয়া বিদ্রোহী হইলেন ; সেকেন্দর তঁহার বিরুদ্ধে রওনা হইলেন। যুদ্ধকালে গয়েসউদ্দিন তঁহার সৈন্যদিগকে রাজার জীবন সম্বন্ধে বিশেষ সতর্কতার উপদেশ দেওয়া সত্ত্বেও সেকেন্দর সাহ যুদ্ধক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে আহত হইলেন। গায়েসউদ্দিন পিতার চরণধারণপূর্বক বারংবার ক্ষমা