পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যের তিরোধান ও বৈষ্ণব সমাজ Գ8ֆ একশ্রেণীর বৈষ্ণবদেব মধ্যে লব্ধপ্রতিষ্ঠ, তাহার পুস্তকেও এ সম্বন্ধে সামান্য কযেকটি কথা আছে। যে কারণেই হউক, এই নীরবতা দুঃসহ শোকজ্ঞাপক । ভগবান ধুতি চাদর পরিষা বাঙ্গালী সাজিয়া বাঙ্গালীর মধ্যে লীলা করিয়া গিযাছেন, এত বড় গৌরবে এদেশের লোকেরা গৌরবান্বিত ছিল, চৈতন্যের তিরোধানে সেই জাতীয় গৌরব-কিরীটি শিরশ্চিত হইল ; জাহাজ ডুবিয়া ভাঙ্গিয়া চুরিয়া গেলে যেরূপ তাহার ভগ্ন অংশগুলি অর্ণবে ইতস্ততঃ দৃষ্ট হয়-এই মহাবিপদের দিনে বৈষ্ণব-সমাজ তেমনই বিচ্ছিন্ন ও ছত্রভঙ্গ হইয়া পড়িল । গঙ্গাতীবে যে মহাকীর্তনেব দল মন্দিরা, কবিতাল, ডম্বফ ও মৃদঙ্গনিনাদে আকাশ দিবারাত্ৰ প্ৰতিশদিত করিত, হঠাৎ সেই আনন্দোৎসব থামিয়া গেল। অদ্বৈত, নিত্যানন্দ, শ্ৰীবাস ও নবহারি ধীরে ধীরে শোকসন্তপ্ত হইয়া অব্যক্ত দুঃখে মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন । শচী গঙ্গাহার পুত্রেব সন্ন্যাসের পর প্রতিবৎসর প্রাণের নিমাইয়েব সংবাদ পাইতেন,-শেষবাব চৈতন্য পুবী হইতে জগদানন্দকে পাঠাইয়াছিলেন, তাহাতে বলিযা দিযাছিলেন, “মা, আমি তোমার বৃদ্ধ ব্যযসে সেবা করিতে পারি নাই। আমার ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম কিছুই হইল না,-আমি পাগল হইয়া কৰ্ত্তব্যে অবহেলা করিয়াছি, আমি তোমার চিরমেহের ছেলে, আমাৰ শত অপবাধও তোমাব নিকট মাৰ্জনীয়-মা, তোমার স্নেহের নিমাইকে মাপ করিও ।” একবার শান্তিপুরে শোকাকুলা মাকে সাত্মনা দিয়া চৈতন্য বলিয়াছিলেন, “মা, আমি তোমারই রান্নাঘরে ও শ্ৰীবাসের আঙ্গিনায় অশরীরিভাবে সৰ্ব্বদা থাকিব; তুমি যেদিন কোন ভাল জিনিষ রান্না করিবে,—জানিও, আমার আত্মা তোমার ঘরে সেই সময়ে বিবাজ কবিবে, আমার দেহ অন্যত্ৰ থাকিলেও প্ৰাণ-মন নদীয়ায় তোমার ঘরে থাকিবে ।” এই সকল সংবাদ পাইয়া শচীরা শতধাবিদীর্ণ হৃদয়ের জ্বালা কথঞ্চিৎ জুড়াইত; কিন্তু আজ তিনি কি করিবেন ? চিববিশ্বস্ত ভূত্য ঈশান আজ তাহাকে কি বলিয়া সাস্তুনা দিবেন ? চির-ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও কঠোর নিয়মপালনে কঙ্কালসার তম্বঙ্গী বিষ্ণুপ্রিয়ার দশা কি হইল, জানা নাই। নিত্যানন্দ দাস খেতুরীর মহােৎসব এবং গৌরাঙ্গ-বিগহপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে সেই বিষন্ন, ভগবৎপরায়ণার অপূৰ্ব্ব সাধবীমূৰ্ত্তি আভাসে দেখাইয়াছিলেন, তারপর তৎসম্বন্ধে কোন লেখক কিছু বলেন নাই। এদিকে বৃন্দাবন নূতন নগর হইয়া সমৃদ্ধ হইয়া উঠিয়াছে।। চৈতন্য র্তাহার প্রিয় ভক্ত দিগকে সেখানে পাঠাইয়া তীর্থগুলির উদ্ধার করার পর সমস্ত ভারতবর্ষের চক্ষু বৃন্দাবনের দিকে পড়িয়াছিল। দলে দলে তীর্থদর্শনকারীরা তথায় ভিড় করিয়াছিল। লোকনাথ, রঘুনাথ দাস, রূপ, সনাতন, রঘুনাথ ভট্ট, জীব গোস্বামী, কৃষ্ণদাস কবিরাজ প্রভৃতি বরেণ্য সাধুগণের অলৌকিক ভক্তি-দর্শনে সমস্ত আৰ্য্যাবৰ্ত্ত বৈষ্ণবধৰ্ম্মের অনুরাগী হইয়াছিল,-তথায় শত শত মঠ মন্দির উখিত হইল। গ্রাউজ সাহেবের মথুরার ইতিহাস ও নাভাজি-কৃত ভক্তমালে তথাকার সমৃদ্ধি ও ভক্তিধৰ্ম্মের সাফল্যের কথা বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ আছে। যে সনাতনের ভক্তিদর্শনে সম্রাট আকবর বিস্মিত হইয়াছিলেন, রাজা মানসিংহ শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়া বিষয়বিরাগীর নির্দেশানুসারে ১৫১২ খৃষ্টাব্দে 5sty NSD(f):f(aq o दर्षद-नभाCऊ: অবস্থা ।