পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ3N» বৃহৎ বঙ্গ বলিয়াছে। আমরা দীনহীন কৃষ্ণকৃপাপিপাসু, তোমার মত পণ্ডিতের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে নামিবার সামৰ্থ্য আমাদের নাই।” স্পন্ধিত পণ্ডিত বলিলেন, “সে হইলে ছাড়িব না। তর্কে না পাের, আমাকে জয়পত্র লিখিয়া দাও।” সদাশয়তার আতিশয্যে এবং বৈষ্ণবোচিত বিনয় ও দৈন্যের বশবৰ্ত্তী হইয়া তাহারা উহাকে জয়পত্র লিখিয়া দিলেন, কারণ বৈষ্ণবের নীতি “অমানিনা মানদেন কীৰ্ত্তনীয়ঃ সদা হরিঃ ” এই জয়পত্র হাতে করিয়া রূপ সরস্বতী মনে করিলেন--তিনি ভারতের বিদ্যারাজ্যের একচ্ছত্র সম্রাট। কিন্তু কে যেন বলিল, বৃন্দাবনেই এই দুই ভ্রাতার এক পাণ্ডিত্যাভিমানী ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ আছেন, তিনিও বড় কম নহেন ৷ রূপনাবায়ণ অমনি যাইয়া জীবগোস্বামীর কুটিরে উপস্থিত। র্তাহার পিতৃব্যদ্বয়েব স্বাক্ষরিত জয়পত্র দেখিয়া যুবক জীবগোস্বামী অতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেন এবং তখনই সরস্বতীর সঙ্গে বিচারে প্রবৃত্ত হইলেন। পাঁচদিন পৰ্য্যন্ত বিচারে সমকক্ষত চলিল, কিন্তু ষষ্ঠ দিনে জীবের নিকট রূপনারায়ণ পরাস্ত হইলেন,- সপ্তম দিনে উপনিষৎ এবং অদ্বৈতবাদের বিচার সমাধার পর জীব গোস্বামী ভক্তিশাস্ত্রের ব্যাখ্যা আরম্ভ করিলেন। রূপনারায়ণের নিকট ইহা সম্পূর্ণ নূতন । সপ্তমদিনেব ব্যাখ্যায় পাথব গালিয়া জল হইয়া গেল-অহঙ্কাব ও দৰ্প বসাতলে গেল । অনুশোচনায দগ্ধ হইয়া ৰূপনারায়ণ রূপ-সনাতনের নিকট যাইয়া তাহার আকৃত্ৰিম দৈন্য ও অনুতাপ জ্ঞাপন করিলেন এবং বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলেন । তাবপর তিনি বঙ্গদেশে ফিরিয়া আসিয! কলিকাতার নিকটবৰ্ত্তী পক্কপল্লীব বাজা নৃসিংহেব সভাপণ্ডিত হইলেন এবং বৈষ্ণবশাস্ত্ৰ চৰ্চা করিতে লাগিলেন। রূপনাবায়ণ সঙ্গীত-শাস্ত্ৰেও কৃতী ছিলেন, রাজসভায় তাহারও আলোচনা চলিল । এদিকে জীবকে ৰূপ গোস্বামী বলিলেন, “তোমাব বিচাবিজয়ের প্রবৃত্তি এখনও দূর হয় নাই-তুমি বৃন্দাবনে বাস করিবার যোগ্য নাও ; সৰ্ব্বতোভাবে অহঙ্কার বিলুপ্ত না হইলে বৃন্দাবনবাসের যোগ্যতা হয় না, তুমি বৃন্দাবনের সীমানাব মধ্যে থাকিতে পরিবে না।” পিতৃব্যের আজ্ঞা শিবোধাৰ্য্য করিয়া জীব বৃন্দাবন ছাড়িয়া যমুনা-তীরে এক কুটিরে বাস কমিয়া প্ৰায়শ্চিত্তস্বরূপ মৌনত্ৰত অবলম্বন করিয়া এক বৎসর কাটাইলেন। একদিন সনাতন রূপকে বলিলেন, “বলতে ভাই, বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রধান গুণ কি ? রূপ বলিলেন, “জীবে দয়া।” সনাতন বলিলেন, “তবে তুমি জীবের প্রতি এত নিষ্ঠুর কেন ?” জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার ইঙ্গিত বুঝিতে পারিয়া রূপ জীব গোস্বামীকে বৃন্দাবনে ফিরিয়া আসিতে অনুমতি দিলেন। ১৫৭৩ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আকবর রূপ ও সনাতনের সঙ্গে দেখা করিয়াছিলেন। গ্ৰাউজ সাহেব লিখিয়াছেন, এই দর্শনের ফলে সম্রাট এতই প্রীত হইয়াছিলেন যে, সমস্ত হিন্দুরাজাদিগকে বৃন্দাবনে বড় বড় মন্দির-নিৰ্ম্মাণের অনুমতি দিয়াছিলেন । স্বযং চৈতন্তের বহু গুণকীৰ্ত্তন শুনিয়া তিনি চৈতন্যসম্বন্ধে একটা হিন্দী কবিতা রচনা করিয়াছিলেন, তাহা জগদ্বন্ধু ভদ্র মহাশয়ের ‘গৌরলীলা-তরঙ্গিণী’তে দ্রষ্টব্য। কথিত আছে। অদ্বৈত সৰ্ব্বপ্রথম মদনমোহন বিগ্ৰহ আবিষ্কাব করেন, তিনি উহা মথুবা চৌবে নামক এক ব্ৰাহ্মণকে প্ৰদান করেন, উক্ত চৌবে উহা সনাতনকে দিয়াছিলেন। রামদাস কাপুরী নামক একজন ক্ষেত্রী নদীতে র্তাহার 颈外一环可f5〔{可7丐1