পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনিবাস, নরোত্তম ও শ্যামানন্দ Գ8Տ নরোত্তমকে গৌডে পাঠাইবার ব্যবস্থা করা হইল। কিন্তু তরুণ নবোৰ্ত্তম সমাটের ফঁাদে পা দিলেন না । উৰ্দ্ধ হইতে সেই বাণী যে তিনি সর্বদা শুনিতেছিলেন । তাবপব সিদ্ধার্থ যাহা করিয়াছিলেন, বঘুনাথ দাস যাহা করিয়াছিলেন, 4প-সনাতনের জীবনে যে বিবাগ দেখা BuBD SBBB BBBDBBD BBB DB BBBDSBBBB KDDBBS DDBB S SSBBBB জাগিয়া দেখিল—-পিঞ্চব খালি, পাখা উডিয়া গিয়াছে। উদ্ধশ্বাসে ছুটিয়া বালক পলাইতেছেন, সংসাবকে বিভীষিকা ভাবিধি-বিলাসকে নরকের বগুৱা মনে কবিয়া বিশ্ব-হিতের আচবানে সে কি উন্ম দুভাবে ভুটিয়াছেন । ক্ষুদ্র গিাবিনন্দী স্কোপ শৈলাখণ্ড ভাসাইয়া লইয়া যায়, TuuBBS SDBD SDBDBBBDB BBDBDBBB KDDD BDBB BSBBSSS BBB BB BBB BBB BBBB অজ্ঞাত পথ ভাঙ্গিয়া বালক কাশীর নিকট বাজঘাটে উপস্তিত হইলেন—তখন তঁাহার সুন্দব মুখ শুকাইয়া গিয়াছে । দুই দিনেৰ উপবাসী, পদ্ম প্ৰাভ মুখখানি মান, ভ্ৰমণে অনভ্যস্ত দুইটি পদতল কণ্টকবিদ্ধ হইয়া ক্ষতবিক্ষত হইয়াছে। এক সূক্ষতলে পড়িয়া তিনি আর উঠিতে পারিলেন ?'-আবার সুস্পষ্ট স্বরা শুনিলেন, “তুমি আমার জন্য এত সচিয়াছ, তরুণ জীবনে সমস্ত সুখ ে গাগোৰ আশা বিসৰ্জন দি যা আসিয়াছ, আমি তোমাকে ছাড়িব না, উঠ খাও।” তাহাব ত এটা ভাঙ্গিয়া গেল, তখনই কোন ব্যক্তি দয়াপববশি হইয়া তাহাকে এক বাটী দুগ্ধ দিয়া গল । তিনি উহা পান করিয়া ক্ষুধাতৃষ্ণা দূর করিলেন এবং তৃপ্ত হইলেন। বৃন্দাবনের নিকট কয়েক জন তীর্থগামী সঙ্গী জুটিল । চৈতন্যের কথা বলিতে গেলে বালকের প্ৰেমে কণ্ঠ বোধ হয়, আনন্দা শ্রণিতে গা ও প্লাবিত হয়। সঙ্গীদেবও চোখ হইতে জল পড়ে এবং ঘনঘন বোমাঞ্চ হয়--তাহারা ভাবিল, “এ দেববালক কে ?” বৃন্দাবনে আসিযা সম্পূর্ণ রিক্তহস্ত, নিঃসঙ্গ বালক পথে পথে ঘুরিযা বেড়ান, অল্পাহারে শরীর কাশ, কিন্তু কোন স্বাধীন নৃপতি যদি কারাগার হহঁতে মুক্তি পান, স্থাত-পায়েম লৌহশূঙ্খল ভাঙ্গিয়া ফেলেন, তবে তাস্থার সেই মুক্তিব আনন্দই যেরূপ সকল জালা জুডাইয়া দেয়— নরোত্তমেরও সেইরূপ হইল। তাহাব মুখ অলৌকিক প্ৰফুল্লতায় উজ্জল। এই অবস্থায় সুপ্ৰসিদ্ধ লোকনাথ গোস্বামীর আশ্রমে ; শেষরাত্রে ঢুকিয়া নিত্য নিত্য তাহার আবর্জনা মুক্ত করিয়া ঝাঁট দিয পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করিয়া আসেন। সেই অদ্ভুতকৰ্ম্ম, বিষয়নি:স্পৃহ, সম্পূর্ণ অনাসক্ত, অপ্ৰতিগ্ৰাহী সন্ন্যাসী দেখিলেন, কে যেন তাহার আশ্রম ও আঙ্গিন ফিটফাট করিয়া রাখিয়াছে। একদিন, দুইদিন, তিনদিন তিনি বিস্ময়সহকাবে এই অদ্ভুত কাণ্ড প্ৰত্যক্ষ করি যা এক রাত্রি জাগিয়া বহিলেন-চোরকে ধরিবার জন্য । হঠাৎ সেই জ্যোৎস্নাপুলকিত নিশীথে তিনি দেখিতে পাইলেন, দেবতার মত সুন্দর এক কুমার বঁাটা হন্তে আঙ্গিনায় দাড়াইধা । তাহার চক্ষু দুটি পদ্মদলের মত জলে ছলছল করিতেছে, কখনও বঁটি দিতেছেন এবং কখনও বা ঝাটাটি বুকে রাখিয়া অজস্ৰ চক্ষুজলে গণ্ড প্লাবিত করিতেছেন। লোকনাপ। পরম স্নেহভরে পিছন দিক্‌ হইতে র্তাহাকে জড়াইয়া ধরিয়া বলিলেন—“চোর } তুমি কে ? আমি তোমাকে ছাড়িয়া দিব না।” লজ্জিত ও বিস্মিত বালক লজ্জাবতী তরুণীর