পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৭

শ্ৰীনিবাস, নরোত্তম ও শ্যামানন্দ Գ@@, ব্যাখ্যা করুন, দেখি আপনি কত বড় পণ্ডিত !” এই বলিয়া তিনি বেদী ছাড়িয়া উঠিলেন, আকুষ্ঠিতভাবে শ্ৰীনিবাস তাহাতে আসীন হইয়া ব্যাখ্যা করিতে লাগিলেন। সে কি কণ্ঠ, সে কি অদ্ভুত পাণ্ডিত্য । তাহার হৃদয়ের ব্যথা অসীম ভক্তিতে যেন উছলিয়া উঠিতেছে। সেই ব্যাখ্যা যেন নৈবেণ্ঠের মত, অশ্রুর ডালির মত র্তাহার প্রাণের দেবতাকে উৎসর্গ কৰিতেছেন, যেন সপ্ত তন্ত্রী বীণা নারদের অঙ্গুলীম্পর্শে বাজিতেছে। রাজা ও অপরাপর শ্রোতৃবর্গ মুগ্ধ হইয়া গেলেন, এমন কি ব্যাসাচাৰ্য্যও বুঝিলেন যে সত্য সত্যই সেদিন বনবিষ্ণুপুবের বাজ্যোব প্রকৃত গুৰু আসিযাছেন। পর দিন শাস্ত্ৰ শীঘ্ৰ যার যার কাজ সারিয়া শত শত লোক আবাব শ্ৰীনিবাসের ব্যাখ্যা শুনিতে বাজবাড়ীতে ভিড কবিল, বিপুল হরিধ্বনিব সঙ্গে শ্ৰীনিবাস ভাগবতেব ডুবি খুলিলেন । সেদিনের ব্যাখ্যায় পাষাণ গালিয়া SDBBS S SDDBB S S Kgg BB BBg SKKYSKBBBBDS BB BBB BBB BBB ODDSSYJJBDBYSSSS BYS HDi LBDBSBDD KK KOOK BBSJB Y DDBBDBB KBBD KESDS S 0BBDBS বাজবাডীর এক বিশিষ্ট প্রকোষ্টে তাহাব স্থান করিযী দি যা নানারূপ উপাদেয় ভোজ্যের ব্যবস্থা করিলেন । কিন্ত শ্ৰীনিবাস নিজে ভাতেভাত রাধিয়া এক বেলা মাত্ৰ আহার করিলেন। সেই সন্ধাকালে বাজা তাঙ্গ কে নিভৃতে জিজ্ঞাসা কবিলেন, “ব্ৰাহ্মণ। আপনি কে ? কেন আসিযাছেন ? শুনিয়াছি কোন বিপদে পড়িয়া, আপনি এ রাজ্যে আসিয়াছেন, আমার দ্বােব। যদি আপনাব কোন সাহায্য হয় তবে অকুষ্ঠিতচিত্তে আমায় বলুন |” শ্ৰীনিবাসের বুকেব। ব্যথা উথলিয়া উঠিল। তিনি গদগদকণ্ঠে সকল কথা বলিলেন । উপসংহাবে বলিলেন, “গোস্বামিগণের এই অমূল্য রত্নভাণ্ডার আমাৰ হাতে ন্যস্ত ছিল, এগুলি না। উদ্ধার করিতে পারিলে আমার মৃত্যুই শ্ৰেয়ঃ, আমার সঙ্গী এক রাজকুমার ও অপর এক তরুণ সাধু শোক পন্বিত হইয়া বঙ্গদেশে চলিয়া গিয়াছেন।” তখন বাজা ভুলািষ্ঠত হইযা পড়িলেন, বলিলেন,-“আমার মত নরপিশাচ আর নাই, আপনাবা যে দস্যকে খ,জিতেছেন, আমিই সেই দম্মা—আমার মত অপরাধী এত বড় রাজ্যে দ্বিতীয় নাই। আপনার সেই গ্রন্থগুলি যেমন ছিল তেমনই আছে, আপনি আশ্বাস্ত হউন । আমার রাজ্যের নরহত্যাকারীর যে সাজা তাহাই আমাকে দিন।” এই বলিয়া নতজানু হইয়া রাজা সাশ্রনেত্ৰে শ্ৰীনিবাসের পায়ে পড়িলেন, তাহার রাজবেশ ধূলায় লুষ্ঠিত হইল। সমসাময়িক প্ৰেমবিলাসে বর্ণিত এই ঘটনা আমরা লিপিবদ্ধ করিলাম। ভক্তিরত্নাকর ইহার প্রায় এক শতাব্দী পরের লেখা ! তাহার কাহিনীও প্ৰায় এইরূপ ; দুই একটি জায়গায় সামান্য প্ৰভেদ দৃষ্ট হয়। ভক্তিরত্নাকরের সময়ে শ্ৰীনিবাস দেবতাস্থানীয় হইয়া উঠিয়াছেন; তিনি যেদিন প্ৰথম বীরহাম্বিরের রাজসভায় প্ৰবেশ করেন-সেই দিন র্তাহার উজ্জলচ্ছটিামণ্ডিত স্বৰ্গীয় রূপ দেখিয়া সকলে দাড়াইয়া তাহার সংবৰ্দ্ধনা করিয়াছিলেন। বাজা তাহাকে বসিতে অনুরোধ করিলেও তিনি বলিয়াছিলেন, “যে পৰ্যন্ত ভাগবত-পাঠ শেষ না হইবে, তাবৎ বসিয়া শোনা আমার রীতি নহে।” ইহা ছাড়া প্ৰেমবিলাসের মতে রাজসভায় রাস-পঞ্চাধ্যায় প্রথম দিন পঠিত হইতেছিল, কিন্তু ভক্তি-রত্নাকরের श्!क्षि८११ अठूटा४ ।