পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার বিদ্রোহিগণ ۹۱ سا বাঙ্গলার রাকা শশাঙ্ক কনোজাধিপ রাজ্যবৰ্দ্ধনকে প্রতারণা করিয়া হত্যা করিয়াছিলেনএই দুর্নােম আছে। প্রাচ্য ভারতের সঙ্গে ইন্দ্ৰপ্ৰস্থ ও তৎসন্নিহিত প্রদেশগুলির সংঘর্ষ নূতন নহে। বাঙ্গলাদেশ শ্ৰীকৃষ্ণকে স্বীকার করে নাই, রৈবতকে যাইয়া তাহার সঙ্গে যুদ্ধ করিয়াছিল। বৃহত্তর বাঙ্গলার জরাসন্ধের ভয়ে তিনি স্বদেশত্যাগী হইয়া সমুদ্রের তীবে রাজধানী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । বাঙ্গালাব বাজকীয় রক্তে দিল্লীর বিদ্বেষ নিহিত ছিল। পাঠানদের সময়ে যে স্বাধীনতা তাহদের লুপ্ত হয় নাই, এবার মোগলদের সাম্রাজ্য-বুদ্ধির আওতায় তাহা বিলুপ্ত হইবার সম্ভাবনা হইল । এই বিদ্রোহীদের প্রথম নাম করিব-ইশা খাঁ মসনদ আলিব । অযোধ্যাতে বাইশ ওয়ার পরগনায় ভগীবথ নামক এক ক্ষত্ৰিয় রাজা ছিলেন । ইনি দিল্লীশ্বরের সামন্ত রাজা এবং অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন । ভগীরথ বঙ্গদেশে তীর্থদর্শনে আসিয়া সুলতান গিয়াসুদিনের সঙ্গে প্রতিসুত্রে আবদ্ধ হন এবং অবশেষে সুলতানের মন্ত্রিত্ব গ্ৰহণ করিয়া বঙ্গদেশে থাকিয়া যান। ভগীরথের বংশে কালিদাস জন্মগ্রহণ করেন ; ইনি অতি পণ্ডিত, নিষ্ঠাবান ও প্রিয়দর্শন পুরুষ ছিলেন। কথিত আছে প্ৰত্যহই ইনি একটি ছোট সোণায় হাতী নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহা ভাগ করিয়া ব্ৰাহ্মণদিগকে দান BBBBBDBDBSS BBDDT SDD SDBDDBB KYuBS DBD DDD SDDD SS S BDBD BBDBDD মতে সুলতান জালালউদিনের তৃতীয় কন্যা মমিনা খাতুন,—কাহারও মতে হুসেন সাহের এক কন্যা-কালিদাসের গঙ্গাস্নাত সুন্দর গৌর বাপু ও সুদৰ্শন মুখচোখ দেখিয়া যাচিয়া তাহাকে পতিত্বে বরণ কবেন। নিষ্ঠাবান হিন্দু কালিদাস সুলতানের কন্যার কাছে যে উত্তর লিখেন, তাহাতে অনেক সত্যুপদেশ ছিল— এবং তাহার শেষ কথা ছিল-কুমারীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান। ক্রুদ্ধ * অবমানিত হইয়া রাজকুমারী কৌশলক্রমে তঁহাকে গোমাংস খাওয়াইয়া তীহার জাতি নষ্ট করেন। অনন্যোপায় হইয়া কালিদাস গজদানী ইসলামধৰ্ম্ম গ্রহণপূর্বক মমিনা খাতুনকে বিবাহ করিতে স্বীকৃত হন। ইহার মুসলমানী নাম হইল-সোলেমান খা । কয়েকজন মুসলমান পল্লীগীতিকার এই ভালবাসার ব্যাপার বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।--কিন্তু অপর কয়েকজন ঐতিহাসিকের মতে মুসলমান মমিনগণের জ্ঞানগর্ভ উপদেশে তিনি স্বতঃপ্ৰবৃত্ত হইয়া ইসলামধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছিলেন। দেওয়ান পরিবারের ইতিহাসে এই সকল কথা লিপিবদ্ধ আছে। আইন-ই- আকবরীর মতে সোলেমানের দুই পুত্র ইসমাইল ও ইশা খা,-সোলেমান তাজ খাঁ এবং সালিম খ্যা কর্তৃক নিহত হওয়ার পর—দাসবৎ পারস্তাদেশে প্রেরিত হন। র্তাহারা তাহদের এক খুল্লতাতকর্তৃক পুনরায় বঙ্গদেশে আনীত হইয়া ক্রমে ক্ৰমে ভাটী অঞ্চলের অধিপতি হন। ইশা খাঁ তরুণ যৌবনে ত্রিপুরেশ্বর অমর মাণিক্যের সেনাপতিগণের তালিকাভুক্ত হইয়া শ্ৰীহট্টের (তরপের) রাজা ফতে খ্যার বিরুদ্ধে যুবরাজ রাজ্যধরের সঙ্গে অভিযান করেন। ত্রিপুরেশ্বরকে সহায়তা করিয়া ইনি মোগল সেনাপতি সাহবাজ খাকে পরাস্ত করেন। তখন ত্রিপুরায় সরাইল পরগনার মালিক হইয়া ইনি অমর মাণিক্যেব্য রাজীকে মাতৃসম্বোধন