পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दछडान्न दि6लाष्ट्रिीय Գֆֆ করিয়াছেন। পূৰ্ত্তবিভাগের প্রধান অধ্যক্ষ ছিলেন জগৎসহায় দত্ত। প্রতাপাদিত্যের বহু কামান ও গোলার নিদর্শন এখনও যশোরে দৃষ্ট হয় ; চব্বিশ পরগনার অধিকাংশ এবং সমুদ্রতীরবর্তী সুন্দরবনের সমৃদ্ধিশালী বহু নগর ও পল্লী এবং পূর্ববঙ্গের কতকাংশ লইয়া প্রতাপাদিত্যের রাজ্য বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল। তঁহার সৈন্যদের মধ্যে অসন্তুষ্ট ও পরাজিত পাঠান সৈন্য, পর্তুগীজ ও পার্বত্য ত্রিপুরার কুকী সৈন্য বিস্তর ছিল ; বাঙ্গালী রায়বেশে ও ঢালী সৈন্যগণ অতীব দুৰ্দ্ধৰ্ষ ছিল । কতলু খাঁর পুত্র জমাল খাঁ তাহার অন্যতম সেনাপতি ছিলেন । মানসিংহের সময়ে হিন্দু রাজার অমায়িক ব্যবহারে প্রতাপাদিত্য কিছুকাল পোষ মানিয়া ছিলেন। কিন্তু তিনি ইসলাম খাঁর শাসনকালে পুনঃ পুনঃ তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করিতে লাগিলেন। মূল কথা তঁহার একান্ত অন্তরঙ্গ বন্ধু শঙ্কর চক্ৰবৰ্ত্তী এবং মহাবলশালী সূৰ্য্যকান্ত গুহ (সূৰ্য্যকান্তে মহাশূরে। গুহকুলন্ত ভূষণম) এই দুইজনে মিলিয়া পাঠানাধিকারের পরে দেশে হিন্দুরাজত্ব ফিরাইয়া আনিতে ষড়যন্ত্র করিতেছিলেন। র্তাহার সৈন্যবল এবং প্ৰতাপ ছিল— এবং তিনি নিজে যেরূপ বীরবিক্রম ছিলেন, তাহাতে এইরূপ আশা করা অসম্ভব ছিল না । কমল ( সম্ভবতঃ কামাল ) নামক এক বিশ্বস্ত অতি দুৰ্দান্ত রণদক্ষ খোজা র্তাহার এই আশার এক প্ৰধান অবলম্বন ছিলেন ; কিন্তু তাহার চরিত্র বিশ্লেষণ করিলে এবং তৎসঙ্গে বাঙ্গালী চরিত্রের কতকগুলি লক্ষণ মিলাইয়া দেখিলে কেন যে তিনি হারিয়া গেলেন তাহা বুঝা যাইবে1 তিনি তান্ত্রিকভাবে শক্তির উপাসনা করিতেন, এজন্য মদ্যপায়ী ছিলেন । তাহার ক্ৰোধ হইলে দিগ্বিদিক জ্ঞান থাকিত না । তিনি খুল্লতাত বসন্ত রায়কে হত্যা করেন। যে ভাবে এই হত্যাকাণ্ড সম্পাদিত হয়, তাহাতে র্তাহার খুব দোষ দেওয়া যায় না। বসন্ত রায়ের পুত্ৰ গোবিন্দ প্ৰথমতঃ তাহার প্রতি তীর বর্ষণ করে এবং তিনি তৎক্ষণাৎ খড়গাঘাতে তাহাকে নিহত করেন। শ্ৰাদ্ধকাৰ্য্যে উপবিষ্ট বসন্ত রায় ভৃত্যকে “গঙ্গাজল” আনিতে বলেন ; প্ৰতাপ বুঝিলেন, পুত্রহত্যার প্রতিশোধাৰ্থ বসন্ত রায় তঁাহাব প্ৰসিদ্ধ ‘গঙ্গাজল’ নামক খড়গ আনিতে আদেশ করিলেন। তখনই পিতা হইতে অধিক স্নেহে যিনি তঁহাকে লালনপালন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করিয়াছেন, তঁাহাকে নিৰ্ম্মমভাবে বধ করিলেন ( ১৫৯৫ খৃঃ) । ক্রোধের সময়ে তাহার হিতাহিত জ্ঞান থাকিত না ! তাহার সন্তোবিবাহিত জামাতা বাকলার অধিপতি তরুণবয়স্ক রামচন্দ্ৰকে তিনি হত্যা করিবার আদেশ দি যাছিলেন। রামচন্দ্রের সঙ্গে ‘রামাই ঢঙ্গী” নামক এক ভঁাড় আসিয়াছিল। বিবাহ-উৎসবে সে তাহার ভাড়ামী দেখাইয়া খুব ‘বাহবা’ পাইয়াছিল। কিন্তু সে স্ত্রীলোকের বেশে আন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়া রমণীমহলে ভাড়ামী করিতে থাকে। কিন্তু অবিলম্বে তাহার রমণীর ছদ্মবেশ ধরা পড়ে এবং মহারাণী শরৎকুমারী একথা প্রতাপাদিত্যকে জানান। ক্ৰোধে আত্মহারা হইয়া প্রতাপাদিত্য রামাই ঢঙ্গী এবং তৎসঙ্গে জামাইকে কাটিয়া ফেলিতে হুকুম দেন। হয়ত মুহূৰ্ত্ত পরে ক্রোধ থামিয়া যাইত এবং জামাইকে তিনি बनg झांgव द डे ।।७