পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

각 বিদ্রোহিগণ be দরিয়া আর ধৈৰ্য্যধারণ করিতে পারিল না, সে কঁাদিয়া ফেলিল এবং বলিল, “আমাদের কপাল ভাঙ্গিয়াছে, রাজকুমারি, শোণিতান্দ্রি পতাকাসহ দেওয়ানের ঘোড়া ফিরিয়া আসিয়াছে, আপনার পালঙ্কে শয্যার দিন ফুৱাইয়াছে-এখন ধরাশয্যা গ্ৰহণ করিতে হইৰে, LgD DDBD BDt DBBO DBYS BBDB DBBBD DBBDDSB DDDB TDDiL g rBB ফেলুন-হীরার হার আর কণ্ঠে শোভা পায় না ; এখন মুখের হাসি ফুৱাইবে, রাজকুমারি । আপনার যৌবনের আশা এখন প্ৰাতে ফোটাফুল যেমন সন্ধ্যায় ঝরিয়া পড়ে, তেমনই অল্প সময়ের মধ্যে ফুৱাইল । সংবাদ আসিয়াছে, তরুণ দেওয়ান এখন কেল্লা তেজপুরের দুৰ্গে বন্দী * ক্ষণকাল সখিনার মুখে বৈশাখী মেঘের সমস্ত আঁধার কেহ ঢালিয়া দিল । তখন রাজমাতা ফিরোজা বিবি এবং অন্তঃপুরের নারীগণ ক্ৰন্দনশব্দে জঙ্গলবাড়ীর রাজপ্রাসাদ মুখরিত করিতেছিলেন। কিন্তু সখিনা কঁদিলেন না, তিনি দরিয়াকে বলিলেন, “যোদ্ধার সাজ লইয়া আইস। তাহার একটা ঘোড়া আমাকে দাও, আমি পুরুষবেশ ধৰিয়া যুদ্ধে যাইৰ । আমার সৈন্যদলকে বলিও আমি দেওয়ান সাহেবের সম্পর্কে ভ্ৰাতা ।” এই তরুণ বীরবেশধারী নেতার পশ্চাৎ জঙ্গলবাড়ীর অবশিষ্ট সৈন্য চলিল। দেওয়ানের প্রিয় ঘোড়া ‘দুলালে’র পিঠে চড়িয়া সখিনা সৈন্যসহ দ্রুতগতিতে চলিলেন, এক দিনের পথ আধা ঘণ্টায় গেলেন, কারণ তিনি সমস্ত মনের আগ্রহ সহ সৈন্য পরিচালনা করিয়াছিলেন । কেল্লা তেজপুরের মাঠে মোগল সৈন্তের সঙ্গে তিন দিন ব্যাপী তাহার যুদ্ধ চলিয়াছিল। এই তিন দিন তিনি লৌহবৰ্ম্ম পরিধান করিয়া অভুক্ত, অস্নাত, দিন রাত “দুলালে’র পিঠে যুদ্ধ করিয়াছিলেন। “পিতাই আমার শত্রু” ইহা বলিয়া তিনি তৃতীয় দিবসে কেল্লা তাজপুরের রাজপ্রাসাদে, আগুন জ্বালাইয়া দিলেন। বৃহৎ সংগৃহৎ অট্টালিকা সশব্দে পুড়িয়া যাইতে লাগিল। সেই অমোঘ। বীরত্বের নিকট তৃতীয় দিবস অপরাহুে মোগল সৈন্য পরাজিত হইল। তখনও তিনি অদম্য উৎসাহে ঘোড়ার পিঠ হইতে সৈন্যদিগকে উৎসাহ দিয়া যুদ্ধ করিতেছিলেন। আমি এই স্থানে পুনরায় মূলের গদ্যানুবাদ দিতেছি “সেই মুহুর্তে তাজপুরের দুর্গ হইতে একটি সৈন্য উপস্থিত হইল। সে তরুণ বীরবেশী সখিনাকে অভিবাদন করিয়া বলিল, “আপনি মহাবীর হানিফ হইতেও বড় যোদ্ধা । আমি জঙ্গলবাড়ীর সংবাদ লইয়া আসিয়াছি। মোগলের জঙ্গলবাড়ীর প্রাসাদ ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে। এই দুৰ্ভাগ্য রাজধানীর পক্ষে আপনি কে যুদ্ধ করিতেছেন, তাহা LBDBD EB DDSS SDBDBDD D iB Su L DBBDB LLLDDS DD GBLBBBB সঙ্গে যে সৰ্ত্তে সন্ধি করিয়াছেন, তাহা এই দলিলে আছে। তিনি আমাকে জানাইতে বলিয়াছেন-তিনি সখিনাকে তালাক দিয়াছেন—তাহারই জন্য সোণার জঙ্গলবাড়ী আজ অরণ্যে পরিণত হইয়াছে। সৰ্ত্তে আরও আরও যে প্রস্তাৰ আছে, তাহাতেও তিনি এই সপ্তাহেই সন্মত হইবেন । সুতরাং যুদ্ধ শেষ হইয়াছে।” এই বলিয়া সে ফিরোজ সাহায় স্বাক্ষয়যুক্ত তালাকনামা সখিনার হাতে দিল।