পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b/o V বৃহৎ বঙ্গ এক মুহুৰ্ত্ত সখিনা সেই দলিলটির প্রতি চাহিয়া দেখিলেন। তারপর সর্পদষ্ট মানুষ যেরূপ ঢলিয়া পড়ে, তেমনই ভাবে ঘোড়ার পিঠ হইতে ঢলিয়া পড়িলেন । তাহার মাথার সোণার মুকুট ভাঙ্গিয়া গেল-তিনি ভূতলে পড়িয়া গেলেন। তাহার পার্থে দাড়াইয়া "দুলাল”। ঘোড়াটা অশ্রপাত করিতে লাগিল। চারিদিক হইতে সৈন্যেরা আৰ্ত্তনাদ করিয়া কঁাদিয়া উঠিল। একমুহূৰ্ত্ত পূর্বে যিনি সদৰ্পে ঘোড়ার পৃষ্ঠে বসিয়া ছিলেন, এখন তিনি ভুলুষ্ঠিতা। জঙ্গলবাড়ীর সহর আজ প্রকৃতই তিমিয়াচ্ছন্ন হইল। তঁহার সুদীর্ঘ কুন্তলরাজি এলাইয়া পড়িল । তাহার দেহ হইতে পুরুষের ছদ্মবেশ খসিয়া পড়িল। তাজপুর কেল্লায় এই সংবাদ তড়িদবেগে রাষ্ট্র হইল ; সেনাপতি ও সৈন্যেরা রাজীকে চিনিতে পারিল । ওমর খাঁ ফিরোজ খাকে সঙ্গে করিয়া আনিয়া দেখাইলেন-পূৰ্ণচন্দ্ৰ মাটিতে পড়িয়া মান হইয়া গিয়াছে। তারপর ওমর খাঁ ও ফিরোজ খ্যার অনুতাপ ও ২২ জন লোকের দ্বারা খাত সমাধিতে শবের শেষকাৰ্য্য-সম্পাদনের বিবরণী আছে । যে রমণী স্বামীর ভালবাসার জন্য মোগলের শত শত গুলি সহ কারিয়া যুদ্ধ করিয়াছিলেন, সেই সাক্ষাৎ শক্তিরূপিণী মহিলা একটা সাংঘাতিক গুলি সহ করিতে পারেন নাই,-তাহা অবিশ্বাসী নিৰ্ম্মম স্বামীর স্বাক্ষরিত তালাকনাম। আজও কেল্লা তাজপুরের মাঠ পড়িয়া আছে, সেখানে সাধবীর মাথার সিন্দুরের ন্যায় উজ্জল-সখিনার স্মৃতি হয়ত এখন সেই দেশের আকাশে বাতাসে মিশিয়া গিয়াছে। এই কাহিনীর ভিত্তি যে ইতিহাসমূলক তাহা বিশ্বাস করায় বাধা নাই । সব দিক দিয়া দেখিলে এই সকল পল্লীগানের কথা কতটা বিশ্বাসযোগ্য তাহ অবশ্য বলা যায় না। তবে বহু বাঙ্গালী নারী যে যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব দেখাইয়াছেন, তাহার নিদর্শন আছে। “চৌধুরীর লড়াই” নামক পল্লীগীতির ভিত্তি ঐতিহাসিক, তাহাতে কয়েকটি মুসলমান রমণীর অসাধারণ রুণাপাণ্ডিত্যের কথা বর্ণিত আছে। “মাণিক তারা” নামক গীতিকায়ও সেইরূপ ৰীরিত্বেও দৃষ্টান্ত আছে ; পাঠান-রাজত্বকালে সে স্ত্রীপুরুষ সকলেরই দেহে বল এবং হৃদয়ে সাহস ছিল। তাহার পরিচয় পাওয়া যায়-সেই সাহস ও বল লুপ্ত করিবার জন্য ব্যাপকভাবে মোগলশক্তি কন্যার মত আসিয়া পড়িয়াছিল, তাহার পূর্ব আভাস হৃদয়ঙ্গম করিয়া মোগলশক্তির বিরুদ্ধে দেশের লোকেরা দাড়াইয়াছিল। মোগল রাজনৈতিকগণ ক্ৰমাগত ভেদনীতি অবলম্বন করিয়া প্ৰতিপক্ষদিগকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করিয়া শেষে বিধবন্ত করিয়াছিলেন। ‘ভূঞা রাজারা” যদি একত্র হইতে পারিতেন, তবে মানসিংহ কিংবা ইসলাম খাঁ এদেশে কিছুই করিতে পারিতেন না ! যে একটি জিনিষের অভাবে তাহদের শৌৰ্য্যবীৰ্য্য বিফল হইয়া গেল, তাহা-ঐক্য। মোগলেরা এদেশে আসিয়া যে শুধু পাঠান ও ভূঞা রাজগণের প্রতিপক্ষতা নির্ধারণ BBtLBOBBO KD DODDSS SsBKKDB DBDB BDD DYBDDB g B LD DLDDLLEtS ttt DtL লইয়া তাহা মোগলদিগকে প্ৰদান করিলেন। পাঠানের তো অসন্তুষ্ট হইয়া বিদ্রোহী হইলাই, পরন্তু মোগল ওমরাগণও শ্ৰীত হইলেন না, কারণ তাহারা যে জায়গীর পাইলেন, তাহা