পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্তুগীজ WSJ, কুচবিহার-যুদ্ধ eधलूङि by'SY অযথা নিৰ্ম্মমতা করিতেন না-বশ্যতা স্বীকার করিয়া রাজস্বের শ্রেষ্ঠভাগ মোগল দরবারে পাঠাইলে তিনি কাহারও প্রতি অত্যাচার করিতেন না, শত্রুপক্ষকে বশীভুত করিবার জন্য ডাকযোগে অর্থ পাঠাইতেন । আমরা দেখিয়াছি রাজা তোদৱমল্লকে তিনি পাচলক্ষ টাকা এই জন্য পাঠাইয়াছিলেন। জাহাঙ্গীরের ন্যায়-অন্যায়বোধ অনেক সময়ে লুপ্ত হইত। নৌরজ উৎসবে আকবর মাতাল হইয়া নানারূপ দুস্কাৰ্য্য করিতেন, কিন্তু জাহাঙ্গীর যে ভাবে সের LiLYKDBD BD DBtuBO LDB BTK DBDDDBB KLKL KK SDD KBBO DDD S পাঠান-শত্ৰু-দলন, ভূঞা রাজগণের শক্তিধ্বংস এবং মোগল শিবিরের পরাক্রান্ত LDDLDLLLLLD DDDBB BK DDB BtuSDD BDD tD BBD S BBK KBD BBBBDB পূৰ্ব্বদক্ষিণ সীমান্তে মোগল সম্রাটের শক্ৰ হইয়া অত্যাচার করিয়া দেশ ছারখার করিতেছিল। ইহারা পর্তুগীজ দম্য, লৌকিক ভাষায় হাৰ্ম্মাদ ( “আরমাডিা° হইতে উদ্ভূত ) ৷ মগের শেষ সময়ে এই জল-দসু্যদের সঙ্গে যোগ দিয়া পূর্ববঙ্গে লুণ্ঠন, অপহরণ, স্ত্রীলোকের প্রতি অত্যাচার প্রভৃতি অবাধে চালাইতেছিল—এই জন্য হাৰ্ম্মাদ শব্দ প্রথমতঃ পর্তুগীজ দসু্যদিগকে বুঝাইলেও শেষে মাগদিগের প্রতিও প্ৰযুক্ত হইত। পল্লীগীতিকাসমূহে এই হাৰ্ম্মাদ দিগের সম্বন্ধে বহু স্থানে উল্লেখ আছে (চতুর্থ খণ্ড, “নসির মালুম।” দ্রষ্টব্য) । ইহাদের গায়ে লাল কুৰ্ত্তা এবং মাথায় নানা বর্ণের পাগড়ী থাকিত ( এই পাগড়ী সম্ভবতঃ মগদ, সু্যরা ব্যবহার করিভ) । ইহাদের হাতে দূরবীণ থাকত। শ্যেনপক্ষীর ন্যায় ইহারা সেই দূরবীণযোগে বহুদূর হইতে সমুদ্রগামী জাহাজ লক্ষ্য করিত, এবং অকস্মাৎ অতর্কিতভাবে বাণিজ্যদ্রব্য-বোঝাই জাহাজগুলি আক্রমণ করিয়া লুণ্ঠন করিত । কবিকঙ্কণ ষোড়শ শতাব্দীতে ইহাদের উল্লেখ করিয়াছেন । শ্ৰীমন্ত সদাগরের নাবিকেরা “রাত্ৰিদিন বাহি যায় হাৰ্ম্মাদের ডরে।” ইহারা সময়ে সময়ে সমুদ্রতীরবর্তী স্থানসমূহে অবতরণ করিয়া অকথ্য অত্যাচার করিত। চট্টগ্রামের উপকূলের বাণিজ্য-তরীগুলি ইহাদের উৎপাতে সমুদ্রে এক যাইতে সাহস করিত না । উক্তরূপ বহুসংখ্যক জাহাজ একত্ৰ হইয়া মিছিল বাধিয়া যাইত। এই তরণীর মিছিলকে “বহর” বলিত, ইহাদের সঙ্গে যুদ্ধের নানা বিষাক্ত অস্ত্রশস্ত্ৰ থাকিত, এবং বহরের মধ্যে যিনি রণপণ্ডিত থাকিতেন। তঁহারই নির্দেশে জাহাজের গতি-বিধি এবং নাঙ্গর প্রভৃতি নিয়ন্ত্রিত হইত। এই প্ৰধান ব্যক্তির উপাধি ছিল “বহরদার” । তৎকালে সমুদ্রতীরবর্তী লোকদের সাহস ও বীৰ্য্যবিত্তা একেবারে লুপ্ত হয় নাই। হাৰ্ম্মাদদের সঙ্গে মাঝে মাঝে অধিবাসীদের লড়াই চলিত । একটি পল্লীগীতিতে দেখিতে পাই-জেলেরা একত্র হইয়া তাহদের বৃদ্ধ দলপতির পরামর্শ অনুসারে হঠাৎ পশ্চাৎ দিক হইতে আসিয়া হাৰ্ম্মাদদের প্রত্যেকের চক্ষে মুষ্টি মুষ্টি লঙ্কার গুড়া নিক্ষেপ করিয়া তাহাদিগকে পালাইয়া যাইতে বাধ্য করিতেছে। হাৰ্ম্মাদের ছোট ছোট ক্ষিপ্ৰগতি ডিজিতে আসিয়া মধুর মাছি বা পঙ্গপালের ন্যায় বণিকদের জাহাজ ঘিরিয়া ধরিত। পল্লীগ্রামে ইহারা ষে লুণ্ঠনকাৰ্য্য চালাইত, তাহা দেশবাসীদের অসহ্য হইয়াছিল। সুন্দরী গৃহস্থ-বধূদের দুর্দশাসম্বন্ধে আমরা অনেক পাটীগাথা পাইয়াছি। কোন কোনটিতে বৰ্ণিত আছে-হৃত রমণী তাহার স্বামীকে পৰ্ত্তগীজ জলদসু্য। “হার্পাদ”।