পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্তুগীজ দন্ত্র্য, কুচবিহার-যুদ্ধ প্ৰভৃতি b”»ሕs BBgO DBDBDD DBSS S BBDDtS LBBSBD LuDDDuB LBDDDDD DBDDS DBBDBDS LEL করিয়াছেন । দৃষ্টা স্থস্বরূপ বলা যাইতে পারে, ঢাকার ফৌজদার মহম্মদ আলি মহারাজ রূপনারায়ণের (১৬৮৪-১৭৬৩ খৃঃ) সঙ্গে যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া রংপুরে পালাইয়া গিয়া প্ৰাণ রক্ষা করিয়াছিলেন, একথা মুসলমানেরা কোন ইতিহাসে উল্লেখ করিয়াছেন বলিয়া জানা নাই। ১৬৮৪-৮৬ খৃষ্টাব্দের মধ্যে বাঙ্গলার নবার জবরদস্ত খ্যার সহিত মহারাজ রূপনারায়ণের এক সন্ধি হইয়াছিল । মহারাজ হারিয়া গিয়া এই সন্ধিভে দস্তখত করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । পরে ঢাকাতে ছিলেন নবাব জবরদস্ত খা, ঠাহার সহিত সন্ধি করিলেন, চাকুলে বোদা ও চাকলে পাটগ্রাম ও চাকুলে পূৰ্ব্বভাগ মহারাজের অধিকারে থাকিবেক সুবাকে কিছু কয় দিবেন। ছত্ৰধারী - গাজসিকার রাজা, অন্যকে কর দেওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। এমতে শান্তনারায়ণ নাজির দেও বানামে ইজারা লিখিয়া ঐ নামে কর দিতেছিলেন।” কিন্তু সুবোজাতের সেরেস্তাতে শান্তনারায়ণের মারফৎ চাক্‌লে বোদা ও গয়রহ তরফ রূপনারায়ণ মহারাজা বেহার এই প্রকার লেখা হইত। ১১১৮ সনে ( ১৭১০ খৃঃ) এই প্ৰকার বন্দোবস্ত হইল। তখনও মহারাজ নি জনামাঙ্কিত মুদ্র চালাইতেন ও ছত্ৰদণ্ডধারী ছিলেন, অপরকে রাজকর দেওয়া অকৰ্ত্তব্য মনে করিতেন । ষ্টুয়ার্ট সাহেব সম্ভবতঃ এই সন্ধির কথাই মুৱসিদ কুলি খাঁর কুচবিহারের স্বাধীনতা-লোপের নিদর্শন মনে করিয়াছেন । মিরজুমলা ১৬৬১ খৃঃ অব্দে কুচবিহার জয় করিয়া উহার নাম দিয়াছিলেন “ আলমগীর নগর”-( ষ্টুয়ার্ট, ৩১৮ পৃঃ ) এই উক্তির কোন ভিত্তি নাই । এই নাম হয়ত মুসলমান সময়কার সরকারের দলিলপত্রেই ছিল । এই সময়ে কুচবিহারের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্ৰহ চলিতেছিল, এই যুদ্ধে মিরজুমলা যে কিছুতেই পারিয়া উঠিতেছিলেন না, তাহা স্টুয়ার্ট সাহেব লিখিযাছেন, যদিও মুসলমান-লিখিত ইতিহাসের উপর অতিরিক্ত নির্ভর করাতে তিনি সাময়িক সন্ধি বা জয়, যাহা মুসলমানের পক্ষে গৌরবজনক, তাহারই উপর জোর দিয়াছেন। জয়নাথ ঘোষ এই সকল বিষয়ে অকপটে সত্য লিখিয়া গিয়াছেন। তঁহার ইতিহাসখানি খুব মূল্যবান। আমার নিকট যে পাণ্ডুলিপি আছে তাহ ৪৬৯ পৃষ্ঠা ব্যাপক ( ফুলস্কেপ কোয়াটো সাইজ) । বস্তুতঃ মোগলেরা সময়ে সময়ে কুচবিহারের রাজস্ব ও বশ্য তার নিদর্শন পাইলেও এই রাজ্য সম্পূর্ণ বশীভুত করিতে পারেন নাই। মহারাজ ধরেন্দ্রনারায়ণ ভুটিয়াদের দ্বারা উৎপীড়িত হইয়া ইংরাজের শরণাপন্ন হন। পারলিঙ্গ ( Mr. Parling) সাহেবের অধীনে কতকগুলি সিপাহী কুচবিহারের সৈন্যসহ মিলিত হইয়া ভুটিয়াদিগকে পরাস্ত করে। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে কুচবিহারের যে সর্ত হয়, তাহাতে রাজসরকার হইতে বৎসর বৎসর লক্ষটাকার কিঞ্চিৎ নৃন রাজস্ব দেওয়া এবং অপরাপর কথা নিৰ্দ্ধারিত হইয়া রাজ্য ইংরেজদের felte TAft আসামের দৈর্ঘ্য ১৬৩৮ খৃষ্টাব্দে বঙ্গদেশে আসিয়া ব্ৰহ্মপুত্র পার হইয়া বঙ্গের অনেক পল্লী ও নগর ஒழ்வு করে। তাহারা সুবৃহৎ ৫০ ০ রণতরী লইয়া আগমন করে । ইসলাম খা ইহাদিগকে পরাস্ত করিয়া পলায়নপর রাজসৈন্তের পশ্চাদ্ধাবনপুর্বক আসামে প্ৰবেশ করেন