পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোগলাধিকারে বঙ্গীয় শাসনকর্তৃগণ Ե"R@ দেখিলেন, তঁহার প্রাপ্য যশ অন্যে লইয়া যায়, তিনি অগ্রসর হইয়া বলিলেন, “ব্যান্ত্রের যে বল ভগবান দিয়াছেন, আমাদেরও তাঁহাই দিয়াছেন। নিরস্ত্র অবস্থায় কে যাইতে পারেন ?” ওমরাগণ এ প্ৰস্তাবে বিমুখ হইলেন, তখন সের আফগান নিরস্ত্ৰ হইয়া স্বয়ং ব্যান্ত্রের সহিত যুদ্ধ করিতে অনুমতি চাহিলেন । সম্রাট বাহ অনিচ্ছা দেখাইয়া দুএকবার নিষেধ করিয়া শেষে মনে মনে আনন্দের সহিত অনুমতি দিলেন । রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষতদেহে সের আফগান ব্যান্ত্রিটিকে হত্যা করিয়া সম্রাটু-শিবিরে ফিরিলেন । অসম্ভব সম্ভব হইল এবং সের আফগানের বীরত্বখ্যাতি সমস্ত সহরে মুখে মুখে ধবনিত হইতে লাগিল । কিন্তু জাহাঙ্গীর পুনরায় চক্রান্ত করিলেন । তঁহার একটা প্ৰকাণ্ড হাতীর মাহতের উপর গোপনে আদেশ হইল যে, কোন ক্ষুদ্র আলিগলির ভিতর দিয়া যখন সের আফগান যাইবেন, তখন ‘হাতীটা পাগল হইয়াছে’ এই ভাব দেখাইয়া সের আফগানকে উহার পদতলে ফেলিয়া মারিতে হইবে । কিন্তু সের আফগানের কি অপূৰ্ব্ব বীরত্ব ! তিনি হাতীটার শুডের মূলে এমনই জোরে খড়গাঘাত করিলেন যে, শুড় ছিন্ন হইয়া মাটীতে পড়িয়া গেল এবং হস্তী পঞ্চােত্ব প্ৰাপ্ত হইল । জাহাঙ্গীর প্লাজপ্ৰসাদের এক জানাল দিয়া উদগ্রীব হইয়া দেখিতেছিলেন ; তিনি স্তম্ভিত হইয়া গেলেন । হয়ত এই মহামনা বীরের প্ৰতি এরূপ নীতিবিরুদ্ধ দুষ্ট ব্যবহারে অনুতপ্ত হইয়া সমাট ছয়মাস নিবাস্ত ছিলেন । ইহার পরে সের আফগান বঙ্গদেশে ফিরিয়া আসিলেন । এবার কুতুবুদ্দিন যিনি নাকি জাহাঙ্গীরকে ক্ৰমাগত উস্কাইয়া দিতেছিলেন, তিনিই বঙ্গের শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হইলেন ; সম্ভবতঃ তাহার বঙ্গের মসনদ পাওয়ার একটা সৰ্ত্ত ছিল, সের আফগানকে বধ করা । সু্যের আফগান রাত্রে অস্ত্ৰধারী কোন দেহরক্ষক রাখিতেন না, দরজা খুলিয়া রাত্ৰে শুইয়া থাকিতেন, তাহার আবাসগৃহে একটি বৃদ্ধ চাকর থাকিত, অপরাপর যা, সদাসীরা সন্ধ্যার পর যার যার বাটীতে চলিয়৷ যাইত ।। ৪০ জন অস্ত্ৰধারী লোক এক রাত্রে ঘুমন্ত সেরের গৃহে প্ৰবেশ করে, তন্মধ্যে একজন বৃদ্ধ সৈনিক বলিয়া উঠিল, “ঘুমের মানুষকে शाaिcड नादें।” उ२भ ऊँश्घ्रि शूराः ভাঙ্গিয়াছে, – তিনি বৃদ্ধ সৈনিককে ধন্যবাদ দিয়া সিংহ বিক্রমে এই ৪০ জন সশস্ত্ৰ লোককে আক্রমণ করিলেন, অনেকে হত্য হইল, অনেকে আহত হইল, এবং জীবিতদের মধ্যে সকলেই পালাইয়া গেল। কুতুবুদ্দিনের ষড়যন্ত্র বিফল হইল। কিন্তু এই ঘটনায় সের আফগানের খ্যাতি অসম্ভব রূপে বাড়িয়া গেল । তিনি যে পথ দিয়া যাইতেন তঁহাকে দেখিবার জন্য রাস্তায় ভিড় হইত। রাজধানী নিরাপদ মনে না করিয়া সের আফগান বৰ্দ্ধমানে চলিয়া আসিলেন,--ইচ্ছা মেহেরুন্নেসাকে লইয়া বাকী জীবন নিশ্চিন্তভাবে কাটাইয়া দিবেন। তাহার অপূর্ব সফলতার সম্ভাবনা, ভাবী জীবনের উন্নতি ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা- এ সব বিসর্জন দিয়া নির্বিবন্ত্র দাম্পত্যজীবনের শান্তির জন্য লালায়িত হইয়া তিনি বৰ্দ্ধমানে আসিলেন । কিন্তু নিষ্ঠুর, নীতিবিগৰ্হিত, ষড়যন্ত্রকারী কুতুব নিরস্ত হইলেন না। আকবর হইলে এরূপ অসাধু DtBBB TDB BBKDBD DDt DBDBD DBO DS SLBDDD u DBBBB DT তিনি প্ৰকাশ্যভাবে বলিতেন, সের আফগানকে নিহত করাই তাহার প্রধান উদ্দেশ্য। সহজ