পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե"S) o বৃহৎ বঙ্গ হারিলেন)। সুজা মুঙ্গেরের দুৰ্গে আশ্ৰয় লইলেন, মীরজুমা এবং আরঙ্গজেবের পুত্ৰ মহম্মদ তাহার অনুসরণ করিতে লাগিলেন। এখানে সুজা পুনরায় যুদ্ধের প্রচুর আয়োজন করিতেছিলেন এবং ছয়দিন পৰ্য্যন্ত মুঙ্গের দুর্গ রক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু শেষে অবস্থা সুবিধাজনক না বুঝিয়ে রাজমহলে চলিয়া আসিলেন । সঙ্গে পরিবারবর্গ ও বিশ্বাস্ত সৈন্তগণ ছিলেন । কিন্তু এই সময়ে বর্যায়। ভয়ানক দুৰ্য্যোগ বৃদ্ধি পাওয়াতে সম্রাটের বাহিনী ঠাহাকে আর অনুসরণ করিতে পারে নাই। এই সময়ে একটি আশ্চৰ্য্য ঘটনা ঘটিয়াছিল । আরঙ্গজেবের পুত্ৰ মহম্মদের সঙ্গে সুজার এক কন্যার বিবাহ-প্ৰস্তাব বহুদিন পূর্ব হইতে স্থির ছিল । কন্যা বাগদত্ত ছিলেন । পিতার এই বিপদের সময়ে কন্যা রাজকুমার মহম্মদকে তাহার ভালবাসা এবং বিবাহের কথা স্মরণ করা হয় এক পত্ৰ লিখিলেন । ইহাতে তিনি তঁহার অদৃষ্টকে নিন্দা করিয়া যাহাকে তিনি মনে মনে স্বামিপদে বরণ করিয়াছিলেন, তাহার সঙ্গে চিরবিচ্ছেদের আশঙ্কায় অনেক মৰ্ম্মান্তিক দুঃখ জ্ঞাপন করিলেন । এই পরমসুন্দরী রূপসীর পত্ৰ পাইয়া মহম্মদের সুচিরপোষিত ভালবাসা জাগিয়া উঠিল । তিনি আরঙ্গজেবের পক্ষ ত্যাগ করিয়া সুজার সঙ্গে মিলিত হইলেন। তঁহার অদৃষ্ট যাহাঁই থাকুক, তিনি র্তাহার বাগদত্ত স্ত্রীকে ত্যাগ করিবেন না, এই পণ করিলেন এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় সুজা বাদশাহ নিরতিশয় সুখী হইয়া খুব ধূমধামের সহিত কন্যার বিবাহ দিtলন । আরঙ্গজেব এই সময়ে এক অমোঘ চাতুরী খেলিয়া এই প্রতির সম্বন্ধ ভেদ করিয়াছিলেন। তিনি মহম্মদকে একখানি চিঠি লিখিলেন-যেন উহ্য রাজকুমারের পত্রের উত্তর । তাহাতে লিখিত ছিল, “তুমি যে অনুতপ্ত হইয়া আমাদের দরবারে আত্মসমপণ করিতে চাহিয়াছ এবং ঈশ্বরের নাম করিয়া ক্ষমা চাহিতেছ- এজন্য ক্ষমা পাইবে । আমরা মনে করিয়াছিলাম তুমি তোমার প্ৰতিশ্রুতি অনুসারে সুজা বাদশাহের শিবিরে বন্ধুভাবে যাইয়া তাহাকে কৌশলে বন্দী করিয়া আনিবো-কিন্তু দেখিতেছি। তুমি রূপের জালে ধরা পড়িয়াছ এবং স্ত্রীর হাসিমুখ দেখিয়া কৰ্ত্তব্যের পথ ভুলিয়াছ।” পত্ৰখানি আরঙ্গজেব গোপনে পাঠাইলেন, কিন্তু যাহাতে সুষ্ঠা বাদশাহের গুপ্তচরদের হাতে তাহ ধরা পড়ে এরূপ কৌশল ও ব্যবস্থা ছিল। যথাসময়ে পত্ৰখানি ধৃত হইয়া সুজার হাতে পড়িল, তাহাতে আরঙ্গজেবের রাজকীয় শীলমোহর ছিল এবং পত্রের ভাষা এরূপ সরল ও নিপুণ ছিল যে উহার ব্যাপাের্থ্য সম্বন্ধে কাহারো কোন সন্দেহ থাকিতেই পারে না। যুবরাজ মহম্মদ ঈশ্বর সাক্ষী করিয়া শপথ করিলেন, তিনি কোন পত্র তাহার পিতাকে লিখেন নাই,- এই তথাকথিত প্ৰত্যুত্তর পিতার চালাবাজি মাত্র। কিন্তু কিছুতেই সুজার মনে আর জামাতার উপর বিশ্বাস ফিরিয়া আসিল না, তঁহার অমাত্যগণও একবাক্যে বলিলেন এই পত্ৰ জাল বলিয়া বোধ হয় না । সুজা জামাতাকে কোন শাস্তি দিলেন না । তঁহাকে কন্যাসহ ধনরত্ন দিয়া স্বশিবিব ভাইতে বিদায্য করিয়া দিলেন । কন্যা ও জামাত কঁাদিতে কঁাদিতে সেস্থান পরিত্যাগ করিলেন । পিতার নিকট ফিরিয়া আসিলে হতভাগ্য পুত্ৰকে ত্রুর ও নিৰ্ম্মম পিতা বন্দী করিয়া BBDtDDSDD BB DBDDS LLDBBDS SBBDD S DBDBDS ggB DBBBBD DDB SLS