পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোগলাধিকারে বঙ্গীয় শাসনকর্তৃগণ b”ሏeዕS ধাৰ্য্য হয় -কিন্তু পরে ইহাকে ২০,০০০ সেনার অধিনায়কত্বে নিযুক্ত করা হয়। ১৬৭৬ খৃঃ অব্দে ইনি কিস্তবারের রাজার কন্যাকে বিবাহ করেন এবং ১৬৭৮ খৃঃ অব্দে ইহার মৃত্যু হয়। ১৬৫০ খৃঃ অব্দে সুজা সুতি নামক স্থানে পুনরায় মীরজুম্মার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। বহু বাঙ্গালী সৈন্য নিহত হয় এবং সুজা তাহার অবশিষ্ট ১,৫০০ অশ্বারোঙ্গী সৈন্যকে বিদায় করিয়া চট্টগ্রামে পালাইয়া যান। এইখান হইতে তিনি আরবে যাইয়া অবশিষ্ট জীবন মক্কায় যাপন করিতে সঙ্কল্প করেন । কিন্তু সে বৎসর অত্যা শূন্ত দুৰ্য্যোগ হওয়াতে আরব যাত্রী একখানি জাহাজও পাওয়া যায় নাই। অগত্য তিনি ষ্টাচার সমস্ত অনুচরবর্গ বিদায় দিয়া শুধু পরিবারবর্গ ও দাসদাসী সমেত আরাকানের দিকে যাত্ৰা করেন । ১৬৬১ খৃঃ নাক নদী উত্তীর্ণ হইয়া তিনি স্থলপথে আরাকানের সীমান্তে উপস্থিত হন । তাহার এক দূত পূর্বেই তথাকার রাজাকে তাহার আগমনের কথা জানাইয়াছিল । রাজা ঠাঁহার এক প্ৰধান কৰ্ম্মচারী পাঠাইয়া সেই সীমান্ত প্ৰদেশ হইতে তাহাকে সংবদ্ধিত কি দেিয় স্বীয় রাজধানীতে লইয়া আসেন । সুজা আরাকানের রাজার আতিথ্যে কিছু কাল সুখ স্বাচ্চন্দ্যে ছিলেন । কিন্তু সহসা রাজার ভাবের পরিবর্তন হইল। হযত বঙ্গের প্লাজ-প্রতিনিধির উৎকোচে বশীভূত হইয়া নতুবা কতকগুলি গুজবে বিশ্বাস করিয়া সুজার সহিত শ শ বৎ ব্যবহার করিতে লাগিলেন এবং নানা রূপে পৃষ্ঠাহাকে অপদস্থ করিয়! এক কড়া হুকুম জারি করিলেন যে, অবিলম্বে তিনি তঁহার রাজ্য হইতে চলিয়া যাউন । সুজা বলিলেন যে, সে সময়ে ঘোর বর্ষা, জাহাজ পাওয়া যাইবে না, যদি তিনি এই বর্ষা ঋতু পৰ্য্যন্ত সেখানে থাকার অনুমতি পান, তবে আব্বা কানি-রাজের সৌজন্যের প্রতিদান ও মূল্য তিনি দিবেন । ( *াহার হাতে তখন অনেক DttteBD Di BB DBSS KDDtJBBBDS StuBDB S DBBDD SDYYDS DDDD S DBBBD চাহিলেন । তাইমুরের বংশায় দিল্লীগরের পরিব** পুং ৫ কন্যা दिक्षौ शत्र-व्रख्द्र छi८ङ cफ़्&ग्र- এত বড় একটা অপমানজনক প্ৰস্তাব সুজা ঘুণার সহিত প্ৰত্যাখ্যান করিলেন । রাজা তখন, সুজা আরাকান অধিকার কপ্লিবেন এইরূপ ষড়যন্ত্র করিতেছেন- এই একটা অভিযোগ দিয়া সুজার বিরুদ্ধে প্ৰকাশ্যভাবে চক্রান্ত করিতে লাগিলেন । আমরা কবি আলোয়ালের লিখিত আত্মচারিত হইতে জানিতে পারি যে, কবি সুজার এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন—মৃজ নামক সাক্ষীর এই মিথ্যা অভিযোগে আরাকানরাজ তাহাকে সাতবৎসরের জন্য কারাগারে নিক্ষিপ্ত করিয়াছিলেন । সুজা তঁহার পরিবারবর্গ ও পরিকরদিগকে বলিলেন, “তোমরা ভারতবর্ষে ফিরিয়া গিয়া আরঙ্গজেবের শরণাপন্ন হও । আমি এখানে নিহত হইলে আরঙ্গজেব খুব সম্ভব তোমাদের প্রতি কৃপাপরবশ হইবেন।” কিন্তু তােহাৱা কোন্তই সুজাকে এই বিপংকালে ফেলিয়া যাইতে সম্মত হইলেন না। একটা ক্ষুদ্র যুদ্ধ হইয়াছিল। মুষ্টিমেয় মোগল অগণিত আরাকানবাসীর বিরুদ্ধে কি করিবে ? অনেকেই নিহত হইলেন, সুজা বাদশাহ ও তাহার পরিবারবর্গ আহত হইয়া ধৃত হইলেন । সুজার পরম সুন্দরী কন্যা পরীবানু, যিনি সঙ্গীতবিদ্যা, নৰ্ত্তন, চিত্রাঙ্কন ও অপুর্ব সৌন্দৰ্য্যে মোগল অন্তঃপুরের সেরা রমণী ছিলেন, তাহাকে জোর করিয়া আরাকানরাজ বিবাহ করিতে চেষ্টা পাইলেন।