পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোগলাধিকারে বঙ্গীয় শাসনকর্তৃগণ r26 BBD BDD KuBD DBDDSS DBDKBD DBD DDBu DDD DBDBB BDELB অস্তিত্বের কথা লিখিয়াছেন, আমরা তাহার দুইটি প্ৰকাশিত করিয়াছি। সুধৰ্ম্মার কন্যাকে যে সুজা বাদশাহ বিবাহ করিয়াছিলেন এ কথা তাহাতে নাই। উহা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন বলিয়া মনে হয়। এই গাথা দুইটিতে দৃষ্ট হয়-(১) সুজা ও তঁাহার পত্নী সমুদ্রে পড়িয়া মারা যান, (২) তঁহাদের সঙ্গে বহুমূল্য ধন ও মণিমুক্ত ছিল, তাহ আরাকান-রাজ লুণ্ঠন করেন, (৩) পরীবানু সুধৰ্ম্মার অন্তঃপুরে নীত হন, “নাপ্পী” খাইতে যাইয়া তাহার। ঘূণায় সর্বদেহ কণ্টকিত হইয়া যায়, সোণার “নাধং” কাণে পরাইতে যাইয়া দশজন সহচরী। তাহাকে জালাতন করে, (৪) ব্ৰহ্মদেশের পোষাক তাহার অসহ্য হয়, তিনি তঁাহাদের পাচিকার রান্না খাইতে স্বীকৃত হন না। এই গীতিকায় ব্ৰহ্মদেশবাসীদের আচার-ব্যবহারের প্রতি একটু কটাক্ষ আছে। কিন্তু মূলতঃ এগুলি বড়ই করুণ, পরীবানুর দুঃখে আৰ্দ্ধ হইয়া গ্ৰাম্য কবিরা উহ্য রচনা করিয়াছিলেন। ইয়ার্টের বিবরণ অনুসারে পরীবানু সুধৰ্ম্মাকে হত্যা করিতে অসমর্থ হইয়া নিজে আত্মঘাতী হন। এই গাথা দুইটিতে র্তাহার মনোভাবের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তাহাতে ঐ রূপ করা তাহার পক্ষে স্বাভাবিক ছিল। ষ্টুয়ার্ট মুসলমানদিগের ইতিহাসের উপর নির্ভর করিয়া লিখিয়াছেন-সুজা চট্টগ্রাম হইতে স্থলপথে আয়াকান মাজ্যে প্ৰবেশ করেন, কিন্তু বারনিয়ার বলেন, তিনি একখানি জাহাজে আরাকান গিয়াছিলেন। ষ্টুয়ার্টের কথাই সত্য। চট্টগ্রামের ভূতপূৰ্ব্ব কমিশনার মিঃ লুইন, যে স্থানটিতে আরাকান-রাজের প্রতিনিধি সুজাকে সংবৰ্দ্ধনা করিয়াছিলেন, তাহা নির্দেশ করিতে পারিয়াছেন। উহা নাফ নদীর তীরে। সুজার মৃত্যুর বহু পরেও আরঙ্গজেব তঁাহার সম্বন্ধে নানারূপ। গল্প শুনিয়া অনিদ্র রজনী যাপন করিতেন । কেহ কেহ বলিত, সুজা কনষ্ট্যান্টিনোপলে গিয়াছেন, তথা হইতে বহু সৈন্য লইয়া দিল্লী আক্রমণ করিবেন। সম্রাট কখনও শুনিতেন, সুজা পারশ্যদেশ পৰ্য্যন্ত অভিযান করিয়া আরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে আসিতেছেন, আর একটি জ-? রব রাটিয়াছিল যে, সুজা পেগু এবং শু্যামদেশের রাজাদের দত্ত দুইটি সশস্ত্র সৈনিকপূর্ণ বৃহৎ রণতরী লইয়া রওনা হইয়াছেন; তাহার खांश छद्म निशान् ब्रद्धयाँ। কিন্তু কয়েক দিন পরে তঁাহার পুত্ৰকন্যাসহ সমূলে নিধনের কথা সৰ্ব্বত্র প্রচারিত হইল। বন্দী সাজাহান রাজা এই সংবাদ শুনিয়া সাশ্রনেত্ৰে বলিয়াছিলেন, “হতভাগ্যের একটি বংশধরও প্ৰাণ রক্ষা করিতে পারিল না যে, সেই বর্বর রাজাটার প্রতিশোধ লাইতে পারিত ” भौद्भक्षूभव्l->४७°->७७8 श्ः ইনি পারশ্য্যবাসী ছিলেন । ইনি তেলিঙ্গনার ( দাক্ষিণাত্যে )। রাজার অধীনে সেনানায়ক হইয়া গোলকুণ্ডায় খনিলন্ধ বহু অর্থের মালিক হন । কিন্তু ইহার পুত্র মীর মহম্মদ আসীন অহঙ্কত ও মদ্যপায়ী হইয়া যথেচ্ছ ব্যবহার করেন । কথিত আছে মদ খাইয়া একদিন তিনি রাজার শয্যায় শুইয়াছিলেন। নানারূপ দুর্ঘটনার পর মীরজুমলা আরঙ্গজেবের আশ্ৰয় লাভ করেন। সুজা বাদশাহের পর ইনিই বাজলার গদি অধিকার করেন । ইহার সময়কার