পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোগলাধিকারে বঙ্গীয় শাসনকর্তৃগণ b'8y উপর পড়িল । ১৭১২ খৃঃ অব্দে তাহাব মৃত্যু হইল। আজিম ওস্মানেব ব্যবহারে আমিব উল ওমরা প্ৰভৃতি মন্ত্রীরা চটিয়া গিয়াছিলেন, তাহাবা তাহার তিন ভ্ৰাতা মযজদ্দিন, জিনসাহ এবং রাফ হুসেনেব সঙ্গে যোগ দিলেন। আবাব সিংহাসন লইয়া যুদ্ধ বাধিল । ভীষণ আহিবে আজিম ওস্মানেব আহত হস্তী ক্ষিপ্ত হইখ রবি নদীতে বাপাইরাস পড়িল, সেই সঙ্গে আজিম, ওস্মানেব জীবনলীলা শেষ হইল। ময় জাদিন, “জাহান্দাধ ১, {হ” উপাধি লইয়া অ| গ্লাব তত্তে বসিলেন । भूद्धनित कूनि श्री-»१०१-»१२१ शू: S SSS gS S BBBBS BBBD BBDS BDBBDBD DBBBtBBS K BBB SBDB Bi fছ লে:-” ”আবঙ্গজেবের মৃত্যুব পর আজিম ওস্মান আগ্রার যুদ্ধবিগ্রহ এবং তৎপবে রাজকাৰ্য্যে নিপূক্ত ছিলেন ; তিনি বঙ্গ, বিহবি ও উডিষ্ট্যাব নামে মাত্র সুলতান হইয়া এদিকে বেশী মনোযোগ দিতে পারেন নাই, মুবাসিন্দকুলিই প্ৰকৃত শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন। ১৭১২ খৃষ্টাব্দে অজিম ওস্ম নেব মৃত্যু হুইলে মূরিসিদকুলিই নবাব হন। তিনি মুরাসিন্দাবাদ রাজধানীই তাহার স্থাযী বাসস্থানে পাবণত কবেন । ভূপতি বায় এবং কেশরী বায নামক দুইটি ব্রাহ্মণ যুবককে সম্ভবতঃ তাহার আত্মীয়) তাহাব বিশ্বস্ত সহকারিস্বরূপ নিযুক্ত করেন। তিনি হিন্দুজমিদাবদেৰ প্ৰতি ভীষণ অত্যাচার কবেন । ক্রমাগত রাজস্ব বৃদ্ধি করিয়া তিনি ইতিপূৰ্ব্বে হিন্দু জমিদারদিগকে হয়রান কবিয়াছিলেন। এখন নবাব হইয়া তাঁহাদের জমিজমা একরূপ কা৬িযা লইলেন । সমস্ত জমির মাপ হইল। প্ৰজার সঙ্গে কোন সম্পর্কই জমিদারের রহিল না, নবাব সরকারেব লোকের রাজস্ব প্ৰজাদের হাত হইতে আদাষ করিতে লাগিল, যাহা কিছু সামান্য জমি তাহদের রহিল, ক্রমাগত রাজস্ব বৃদ্ধি করিধ্যা তাঙ্গার উপস্বত্ব ভোগ কারাব অধিকার লুপ্ত করা হইল। রাজকৰ্ম্মচারীবা রাজ বা আদায়ের জন্য জমিদারদিগকে লাঞ্ছনা ও কষ্টজনক চরম শাস্তির ব্যবস্থা করিতেন । এই জাতীয় কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান ছিলেন নাজির আহম্মদ ও বেজা খা । নাজিব আহম্মদ জমিদারদিগকে ধবিধা আনিয়া কখনও তাহাদিগকে পা বাধিয়া ঝুলাইয়া, কখনও বা কেঁাড়া প্ৰহারে নিৰ্য্যাতন করিতেন। গ্রীষ্মকালে বৌদ্রে খাড়া করিয়া রাখা এবং শীতকালে শীতল জলে নিমজ্জন প্রভৃতিব কথাও শোনা যায়। তিনি পুৱীষ্যাদি।পূর্ণ এক খাতের নাম রাখিয়াছিলেন “বৈকুণ্ঠ” এবং উহাতে জমিদাবদিগকে নিমজ্জিত করা হইত—সেই ভয়ে তাহারা সৰ্ব্বদাই কম্পান্বিত থাকিতেন। ( যশোর খুলনার ইতিহাস, ৫৮১ পৃঃ ) । মুরসিদকুলি খাঁ হিন্দুদিগের প্রতি এরূপ অত্যাচাবি করিয়াও রাজভাণ্ডার বাড়াইয়াছিলেন, এজন্য রাজসভায় তাহার এত প্ৰতিষ্ঠা। ব্ৰাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াও ইনি হিন্দুদের প্রতি এরূপ ব্যবহার করিতে পারিতেন বলিয়াই বোধ হব। আবঙ্গজেবের তিনি এত প্ৰিয় হইয়াছিলেন । * তাহার শাসন যে খুব কড়া ছিল তদ্বিষযে কোন সন্দেহ নাই, যেহেতু তাহার নিয়ম লঙ্ঘন করিবার দরুন তিনি স্বীয় পুত্রকে হত্যা করিয়াছিলেন। র্তাহার বাজ্যে হিন্দুদিগের প্রতি কিরূপ সদ্বিচার করা হইত, তাহার একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি ।