পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৪

bዖ8ቑ বৃহৎ বঙ্গ চুনাখালির জমিদার বৃন্দাবনের নিকট এক মুসলমান ফকির সাহায্য চাহিতে আসে। ইহার ব্যবহার অত্যন্ত গৰ্ব্বিত ও বিরক্তিকর দেখিয়া জমিদার তাহাকে কিছু না দিয়া তাড়াইয়া দেন। ফকির কতকগুলি ইট সংগ্ৰহ করিয়া একটা ছোট মসজিদের মত ঘর তৈরী করে। বৃন্দাবনের বাড়ীর কাছে এই কাণ্ডটা করে। ঐখানে দাড়াইয়া ফকির বিকট চীৎকার করিয়া লোকজনকে নমাজ পড়িতে আহবান করিত। বৃন্দাবন ঐ পথে যাইবার সময়ই ফকির বিশেষ করিয়া ঐ রূপ। চীৎকাব করিত। বিরক্ত হইয়া বৃন্দাবন খানকয়েক ইট ফেলিয়া দিয়া ঐ ফকিরকে তাড়াইয়া দেন। ফকির মুরসিদকুলি খার নিকট নালিশ করে। কাজি মহম্মদ শৰীফ এবং অপর একজন আইনজ্ঞ মুসলমান বিচারক এই মোকদ্দমার বিচাবেব ভাব গ্রহণ করেন। কাজি মহম্মদ শরীফ প্ৰাণদণ্ডের আদেশ দিয়া স্বহস্তে বৃন্দাবনকে বধ করেন। সদয়হীদয মুরসিদকুলি নাকি বৃন্দাবনের পক্ষে চেষ্টা করিয়াছিলেন । কিন্তু কাজি ফকিরের প্রতি এত বড় গহিত অত্যাচারের মার্জনা করিতে কিছুতেই সন্মত হন নাই। কুমা বিকা হইতে হিমাদ্রি পৰ্যন্ত শত শত সুবৰ্ণমণ্ডিত দেব-মন্দির ভাঙ্গ যাহাদের নিত্যকৰ্ম্ম ছিল, তাহদের মসজিদ-নামধেয় ইষ্টকস্কুপের একখানি ইট সরাইলে সে অপবাধের মার্জনা ছিল না। স্বয়ং আজিম ওস্মান যখন এই সংবাদটা আরঙ্গজেবের নিকট জানাইলেন, তখন আরঙ্গজেব লিখিলেন, “কাজি যাহা করিয়াছেন, তাহা ঈশ্বরানুমোদিত।” যখন এই কাজি শবীফ বাৰ্দ্ধক্যের জন্য অবসর প্রার্থনা করিলেন, তখন এই সদ্বিচারককে রাখিবার জন্য সরকার হইতে বিশেষেৈচষ্টা করা হইয়াছিল। 2jes's Plfs Ce="f রাজা সীতারাম রায় মুৱসিন্দকুলি খ্যার রাজত্বের প্রধান ঘটনা-সীতারামের অভু্যদয় ও পতন। সীতারামের পূৰ্বপুরুষ রামদাস খাঁ গজদানী বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। ইহার কায়স্থ দাস, কাশ্যপগোত্রীয়। রামদাস খাঁ এত বড় লোক ছিলেন যে তঁহার পিতৃশ্ৰাদ্ধে স্বয়ং বাজা গণেশ ও যদু উপস্থিত হইয়াছিলেন। কান্দী মহুকুমার কুলিয়া গ্রামে ইহার বাস ছিল। তথায় ইহার নিৰ্ম্মিত দীঘি ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এখনও আছে। অনস্তারাম এই রামদাসের পুত্র। অনন্তবামের দুই পুত্রের মধ্যে সীতারাম ধরাধারের ধারায় জন্মগ্রহণ করেন। অনন্তরাম হইতে ষষ্ঠস্থানীয় হিমকর দাসের পুত্ৰ শ্ৰীরামদাস মুসলমান সরকার হইতে “খা বিশ্বাস” উপাধি প্ৰাপ্ত হন