পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झाख्छ। औऊiब्राभ झझि br'8N) সীতারাম “খা বিশ্বাস” মহাশয়ের প্রপৌত্র ও উদয়নারায়ণের পুত্র। ইহারা উচ্চকুলে জন্মগ্রহণ করেন নাই। রামদাস গজদানীর পর হইতে ইহাদের অবস্থার কতকটা অবনতি হইয়াছিল। সীতারামের পিতামহ হরিশ্চন্দ্ৰ মোগল সরকারে কাজ করিয়া “রায় রায়া” উপাধি লাভ করেন, তখন হইতে আবার এই পরিবারের অবস্থার উন্নতি আরম্ভ হয়। বারা ভূঞার অন্যতম ভূষণার রাজা মুকুন্দ রায় ও তৎপুত্র সত্ৰাজিতের মোগলদিগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও নিহত হওয়ার কথা আমরা পূর্বেই বর্ণনা করিয়াছি। সত্ৰাজিতের মৃত্যুর পর উক্ত পরগনা তথাকার ফৌজদারের হাতে পড়ে। তখন মোগল সরকারের এক বিশ্বস্ত ক্ষত্ৰিয় সেনাপতি সংগ্ৰামসিংহ ভূষণার উপস্বত্ব ভোগ করিয়া রাজানুগ্রহে প্ৰবল হইয়া উঠেন । ইনি জোব করিয়া পূর্ববঙ্গের বৈদ্য-সমাজে মিশিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। যাহাঁদের পুত্ৰ-কন্যা ইনি জোর কবিয গ্ৰহণ করেন, তাহার “হাম বৈদ্য” নামক এক পৃথক থািক হইয়া বৈদ্যসমাজে কলঙ্কলাঞ্ছিত হইয়া আছেন |* মোগল সরকারে উদয়নারায়ণের বেশ প্ৰতিপত্তি হইয়াছিল। তিনি ভূষণার কতকাংশ জমা লইয়া তথায় সুপ্রতিষ্ঠিত হন। সংগ্ৰামসিংহের মৃত্যুর পর র্তাহার বংশে তেমন কেহ ছিলেন না। এখনও নালিয়া, মথুরাপুরী প্ৰভৃতি স্থানে সংগ্রামসিংহের অনেক মন্দির দৃষ্ট হয়। এই সময়ে মগ, পাঠান ও পর্তুগীজ দসু্যগণের দ্বারা ভুষণা বিপৰ্য্যস্ত হইয় পড়ে। অনুমান ১৬৫৮-৬০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে কোন সময়ে উদয়নারায়ণের ঔরসে দয়াময়ীর গর্ভে সীতারামের জন্ম হয় । উদয়নারায়ণ তহসিলদারের কাৰ্য্য করিতেন, সীতারাম বাল্যকাল হইতে লেখাপড়ায় অনুরাগী ছিলেন, কিন্তু অস্ত্রশস্ত্ৰ লইয়া খেলা শিক্ষা করাই তাহার প্রধান কাৰ্য্য ছিল। প্ৰতিভা চাপ থাকে না। তাহার অসাধারণ সাহস ও বিক্রমের কথা শীঘ্রই প্ৰচারিত হইল । তখন ভূষণ পরগনায় একদিকে মগদ্যসু্য, অপরদিকে পাঠানবিদ্রোহী সীতারামের নিকট পরাভূত হইয়াছিল। সায়েস্তা র্যা প্রীত হইয়া সীতাবামকে ভুষণার অন্তর্গত নলদি পরগনা জায়গীর দিলেন । এই পরগনা খুব বড় ছিল, কিন্তু দাসু্যতস্করের অত্যাচারে ইহা একরূপ জনশূন্য হইয়া গিয়াছিল। সীতারাম ইহার শ্ৰী একেবারে ফিরাইয়া দিলেন। মুকুন্দরায় ও সত্ৰাজিতের পর ভূষণা প্রাচীন কীর্কির ধ্বংসাবশেষপূর্ণ জঙ্গলে পরিণত হইয়াছিল। সীতারাম দসু্যতস্করের যমস্বরূপ ছিলেন । সে দেশের এক বড় দম্য ছিল--তঁাহার নাম বক্তার খ্যা ; এই দমুয্যপতিকে পরাস্ত করিয়া সীতারাম যশস্বী হইলেন। বক্তার খ্যা সীতারামের সাহস ও অমিতবিক্রম দেখিয়া এতই মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, তিনি স্বীয় দলবল লইয়া সীতারামের ” সৈন্যশ্রেণীভুক্ত হইলেন। অন্যান্য দসু্যরা সীতারামের ভয়ে দূর দূরান্তরে চলিয়া গেল। নলদি পরগনায় শত শত লোক আসিয়া বাস করিতে লাগিল। সীতারাম বহু দীঘি খনন

  • কণিত আছে, বঙ্গদেশে আসিয়া ইনি জিজ্ঞাসা করেন, “এদেশে ব্রাহ্মণের পরে কোন জাতি জেষ্ঠ ?” উত্তরে শুনিলেন- “বৈদ্যজাতি”। তখন নিজ পরিচয়-স্থলে ইনি বলিলেন, "হাম বৈদি।”