পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ክዖ8b” বৃহৎ বঙ্গ হয নাই, নৰ্ত্তন, গান, স্ত্রীলোকদের সঙ্গে আমোদপ্রমোদজনিত ক্ষণিক সুখভোগে তখনকাব বড়লোকের নৈতিক বিভীষিকা দেখিতেন না । ‘সুখসাগব’ ছাড “কৃষ্ণসাগর’ ও অন্যান্য দীঘিও এই মহাপ্ৰাণ ব্যক্তিব্য সাধারণেব হিতকামনাব নিদর্শনস্বরূপ বহিযাছে। সীতারামেব রাজসভা বহুপণ্ডিতমুখবিত ছিল। তাহাব বাজ্যে বােবইখালি, নালিয়া, নহাটা, বাটাজোর প্রভৃতি স্থান বৈদিক ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতদেব কেন্দ্ৰস্থান ছিল । পলিতা নহাটার প্রসিদ্ধ ভাস্কবানন্দ আগমবাগীশ, বৈষ্ণবচূড়ামণি কৃষ্ণবল্লভ গোস্বামী প্ৰভৃতি পণ্ডিতেরা DBBDBB DBDBDBDS KBDBDBDBS BDBBBDBS BDDBDBBK DBDBBB JDBBBYS BBDBBD BDD BBB লিখিয়াছিলেন ; “ভাস্কবে উদযাভাস, উদয়না বাৰ্মাণ দাস, তনয় রাজেন্দ্ৰ সীতাবাম । গুণেন্দ্ৰ, দেবেন্দ্ৰ তথি, ভূ-অধিপতি, ভূষণে ভূষিত গুণগ্ৰাম৷ ” “বৈদ্যাকুল-প্ৰদীপ” অভিরাম কবীন্দ্রKBB S BBBYS BBBBB SBDB BBBDBDBBB OuBkBB SS KBKBBD S KBS BDB S YY SYBS বাজার নিকট হইতে “মহোপাধ্যায়” উপাধি পাই যাছিলেন । সতীশবাবু, ৫ ৬৮ পূঃ ) { “অভিরামঃ কবীন্দ্রে হিসেী সীতাবামাদ্ধি ভূপতেঃ । মহোপাধ্যায়পদবীং মহৎ পূৰ্ব্বামবাপ্তবান” ( রামতনু হাড়-কালপঞ্জী ) { সীতারামেব সভাখ দর্শন, সাহিত্য, ন্যান্য প্ৰভৃতি শাস্ত্ৰেীব সর্বদ। আলোচনা চলিত । “তিনি মুসলমান প্রজাদেব শিক্ষাব্য জন্য মৌলভী-দ্বারা বহুসংখ্যক মক্তব খুলিয়াছিলেন” (সতীশবাবু, ৫৬৯ পৃ: ) ; সীতারামেব “দোলমঞ্চ”, “দশভুজাব মন্দিব”, “কৃষ্ণজীব মন্দিব”, “রামচন্দ্ৰ বাট”, “পঞ্চরত্ন” প্রভৃতির ভগ্নাবশেষ এখনও দৃষ্ট হয । তাহাব মালদী গ্রামের প্রসিদ্ধ দুৰ্গ, কালিকাপুৰোব গড়, এমন কি মহম্মদপুরের দুর্গ এখন ঢিপিতে পরিণত । একটি দাবিদ্র বালক সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে স্বীয প্ৰতিভাবলে আদর্শ হিন্দুসাম্রাজ্য গডিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছিল। প্রথম জীবনে তাহার দুই অন্তবঙ্গ সহচর ছিলেন, রামজীবন ও রামকম্প ( মেনা হাতী), উতাবা তাহাব আজীবন-সঙ্গী | কত গভীব রজনীব পরামর্শ, কত উদ্যোগ, কত জীবন-পাণ যুদ্ধ, মৃগা-পাঠান-হিন্দু-দসু্যাব সহিত সংঘয, কত কৃচ্ছ ও বিপৎসস্কুল অভিযান ও বিলবেষ্টিত স্থানে দুৰ্গম রাজধানীতে কামান-নিৰ্ম্মাণ, দীঘিখননোপলক্ষে দুৰ্দ্ধৰ্ষ বাঙ্গালী সৈন্যের সৃষ্টি -একটা অজ্ঞাত অবণ্যপ্ৰদেশকে সহসা যাদুমন্ত্রপ্ৰভাবে যেন বত্ন-মেখলা সৌধকিৰীটিনী লঙ্কার মত কবিয়া গড়া এবং বিদ্যা, শিল্প, ভাস্কৰ্য্য ও স্থাপত্যের প্রতিষ্ঠা এবং বাণিজ্যের বিলাসক্ষেত্রেরূপে গাডিয়া তোলা-প্ৰজাদিগকে রামরাজ্যের স্বপ্ন সফল করিয়া প্ৰদৰ্শন-১৬৯০ খৃঃ হইতে ১৭১২ খৃঃ-এই স্বল্প দ্বাবিংশতিবর্ষব্যাপী অধ্যবসায়ে “দিল্লীশ্ববো বা জগদীশ্বরে বা”-সেই সাহান সা সম্রাটেব্য বিরুদ্ধে অটল প্রতিজ্ঞায় দাড়ানাে- এভাবে এতটা বড় স্বপ্ন আর কোন বাঙ্গালী গত চাবিশত বৎসরের মধ্যে এতটা সফলতার দিকে আনিতে পারিয়াছেন ? হিন্দু-মুসলমানে এই প্রীতি, জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে গুণগ্ৰাহিতা, কায়স্থ হইয়া বৈদ্য পণ্ডিতকে “মহোপাধ্যায়” উপাধি প্ৰদান, মন্দিব ও মসজিদ, চতুষ্পাঠী ও মক্তব একত্র প্রতিষ্ঠা, জয়দেব ও চণ্ডীদাসের গীতি শুনিয়নিষ্কর জমিদানি, শিল্পের প্ৰাণপ্ৰতিষ্ঠা এবং রাজধানীর “মহম্মদপুর” নামকরণ-এমনভাবে প্রতাপাদিত্যের পরে আর কে