পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bዖውS বৃহৎ বঙ্গ কোরান আবৃত্তি করিতেন। মুসলমানী উৎসবগুলি তিনি খুব জঁাকজমকের সহিত সম্পাদন করিতেন। কথিত আছে, তিনি একান্ত্রী-নিষ্ঠ ছিলেন, আহারে, বিহারে ও পরিচ্ছদে সংযত ছিলেন-কথা বলিযা তিনি কখনই তাহা লঙ্ঘন করেন নাই। মুসলমান লেখকেরা তাহার খুবই প্ৰশংসা করিয়া থাকেন। কিন্তু তাহাব সদগুণগুলি একমাত্ৰ গোড়াদলই বেশী দেখিতে পাইতেন,-বাহিরের লোক-বিশেষতঃ হিন্দুবা তাহার উদ্ভাবিত ‘বৈকুণ্ঠ” নামক নবক ও শত প্ৰকার অপমান ও যন্ত্রণাদায়ক বিধানের ভযে সশঙ্ক পাকিতেন । কাফেরের দুঃখ দুঃখ নয়— কাফেব্য ও বলির পশুব চীৎকার উপেক্ষিণীয়-উহারা প্ৰকৃত ধৰ্ম্মপরায়ণের হাতে নিহত হইলে অক্ষয় স্বৰ্গলোক পাইবে—সুতরাং তহ্যদেব জন্য যাহাবা দুঃখ করে-- তাহাব বুদ্ধিহীন - এই সকল গোড়া মুসলমানের ধৰ্ম্মবিশ্বাসগুলির পাশ্বে হাফেজের এই উক্তি সোণা দিয়া লিখিযা রাখা উচিত—“মদ খাও, কোরান পুড়াইয়া ফেল, কাবা-মন্দিবে আগুন ধরাইযা দাও, পৌত্তলিকেবা যেখানে বাস কবে সেইখানে যাইবা গৃহ নিৰ্ম্মাণ কর—কিন্তু ভাই মানুষের মনে ব্যথা দিও না”—সকল মন্দির, সকল মসজিদেব চুডা ডিঙ্গাইযা এই কথাগুলি স্বর্গেব তোবণের উপর লিখিত হওয়ার যোগ্য । নবাব মুরসিদকুলি খাঁ ১৭২৫ খৃঃ আন্দে প্ৰাণত্যাগ কবেন । সুজা উদ্দীন গী—১৭২৫-১৭৩৯ খৃঃ সুজা উদ্দীন আির্থা মীরজুমলাব এক মাত্ৰ কন্যা জিয়াতন্নেসাকে বিবাহ করি যাছিলেন । মৃত নবাবেব ইচ্ছা ছিল তাঙ্গার দৌহিত্র সব ফরাজ খা নবাব হন । কিন্তু সম্রাটের আদেশে সুজা' উদ্দীন নবাব হইলেন । সুজা উদ্দীন নবাধ হইয়া বন্দী হিন্দু জমিদারদিগকে মুক্তি দিলেন। ১৭৩৩ খৃষ্টাব্দে ত্রিপুরার রাজকুমাব নির্বাসিত হইয়া নবাবে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এই সুযোগে নবাবসৈন্য অতর্কিতভাবে আগরতলায় প্রবেশ কবিয়া রাজাকে রাজ্যচ্যুত করেন, আশ্রিত রামে ; মাব মোগলসম্রাটের বশ্যতা স্বীকার করিয়া বাজপদে প্রতিষ্ঠিত হন। ষ্টুয়ার্ট সাহেব এই কথা লিখিয়ছেন । এই সময়ে জাম্মানের নবাবের সনন্দ পাইয়া ওয়েষ্টেণ্ড কোম্পানির নামে বাকিবাজারে ( কলিকাতা হইতে ১৫ মাইল দূরে )। তাহাদেব এক বিস্তৃত কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন । কিন্তু ডাচ ও ইংরেজগণ ইহাদেব বিপক্ষতা করিয়া নবাবের কৰ্ম্মচারীদিগকে উৎকোচ দিয়া বশীভূত করাইয়া জাৰ্ম্মানদের নামে মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত করেন । ফলে নবাব-সৈন্যদল বাকিবাজারের কাবখানাটি ধ্বংস কবিয়া বঙ্গদেশে জাৰ্ম্মান বাণিজ্যের অন্ত্যেষ্টি-ক্রিয়া সম্পাদনা করেন । এই নবাব বঙ্গের রাজস্ব এক বৎসরের মধ্যে এক কূেট (এশ লক্ষ টাকা হইতে এক কোটি আটচল্লিশ লক্ষ টাকায় পরিণত কবেন । জমিদারদের প্রতি ভূতপূর্ব নবাবের কড়া শাসনে যাহা হয় নাই-সুজা উদ্দীনের উদাবনীতির ফলে তাহ হইল : ইনি মীরজুমলাব অত্যাচারের সঙ্গায় নাজিব আহাম্মদ ও মোরাদ এই ওমরাহদ্বয়কে দোষী সাব্যস্ত করিয়া প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেন । ইহার ৫০০ রাজকৰ্ম্মচারীর