পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gr বৃহৎ বঙ্গ জানেন মারহাট্টাব্দে বা ইহাব মধ্যেই আত্মকলহ উপস্থিত হইয়াছিল। বেরার অঞ্চলের নেতা ছিলেন রঘুজী ভেঁাসলা এবং পুনার নিকটবৰ্ত্তী স্থানগুলি বালাজীর অধিকৃত ছিল। যখন রঘুজী ভেঁাসলা আলিবদীর বিরুদ্ধে আগমন করেন, সেই সময়ে বালাজীও নবাবের নিকট হইতে সমাটুপ্রিদত্ত সনন্দের বলে এগাব লক্ষ টাকা চৌথের দাবী কবিয়া বৃহৎ সৈন্যের সহিত বঙ্গদেশে উপস্থিত হন । এই দুই দলের লুণ্ঠনাদিব্যাপারে সোণার বাঙ্গলা ছারখার হইবার দশায় উপস্থিত হইল, এবং 'আলিবাদী দুই দলকে সামলাইতে না পারিয়া বালাজীকে তাহার প্ৰাৰ্থিত দাবী মিটাইয়া দিয়া তাহার সহিত সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হইলেন, এই সন্ধিসূত্রে বালাজী নবাবকে রঘুজীর বিরুদ্ধে সাহায্য করিতে স্বীকৃত হইলেন, এবং শত্রুশিবিরেব লুণ্ঠনলব্ধ ধনরত্বের অৰ্দ্ধেকটা তাঙ্গাব হইবে, আলিবর্দী এই প্রতিশ্রুতি পাইলেন। রঘুজী এই দুই শত্রুর হাত হইতে নিরাপদ হইবার মানসে তৃতীয পস্থা অর্থাৎ পলাযনাবৃত্তি অবলম্বন করিলেন । যদিও যুদ্ধে নবাবের জয় হইল, তথাপি বগী কর্তৃক লুণ্ঠনের ফলে তাহার রাজস্বের বিস্তাব ক্ষতি হইল। এই মহারাষ্ট্র হাঙ্গামার সময়ে মুস্তাফা র্গ আলিবর্দীর দক্ষিণহস্তস্বৰূপ ছিলেন। প্ৰধানতঃ র্তাহাবই বাবত্ব ও সাহসে 'আলিবর্দী জয়ী হইয়াছিলেন, এজন্য নবাব কৃতজ্ঞ ছিলেন, কিন্তু মুস্তাফা খাঁর আস্পদ্ধ ক্ৰমশঃ বাডিয়া উঠিল। বিহার প্রদেশের যুদ্ধে ইহাব নিকট পূর্ব ঋণ স্মরণ করিয়া তিনি সেই দেশ ও তাঁহাকে দিতে মনন করিয়াছিলেন। কিন্তু মুস্তাফা খাঁ তাহার অধীন থাকিতে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করিয়া তথাকার স্বাধীন নৃপতি বলিয়া স্বীকৃত হওয়াব দাবী করিলেন । ইহার পাব এই ব্যক্তি বাঙ্গলাদেশ ও দখল করিতে চাহিতে পারে।--এই আশঙ্কায় নবাব ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। ইহাকে খুন্সী করিবার জন্য নবাব অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন। যে সকল জমিদাবের প্রতি তিনি প্ৰতিকুল আদেশ দিতেন, মুস্তাফা খাঁ। তাহাদের নিকট প্রচুর উৎকোচ পাইয়া নবাবকে তাহার আদেশ পরিবর্তন করিতে অনুরোধ করিতেন । নবাব সমস্ত জানিয়া শুনিয়া শুধু খাঁ। সাহেবকে সন্তুষ্ট কবিবােব জন্য নিজের হুকুম বদলাইয়া ফেলিতেন । কিন্তু শেষে উভয়পক্ষই পরস্পরকে সন্দেহ করিতে লাগিলেন এবং কতকগুলি কারণে তিনি মনে করিলেন, নবাব তাহাকে হত্যা করিতে ষড়যন্ত্র করিতেছেন। তিনি নবাবকে প্রকাশ্যভাবে অভিযুক্ত করিয়া বেহারেব শাসনকর্তৃত্বের দাবী ছাড়িযা দিলেন এবং নানারূপ হিসাব দেখাইয়া নবাবের নিকট সতের লক্ষ টাকা দাবী করিলেন, এবং প্রকাশ করিলেন যে ইহা পাইলেই তিনি নবাবের চাকুরীতে ইস্তফা দিয়া চলিয়া যাইবেন। এই প্ৰস্তাবে নবাব মনে মনে খুশী হইয়া তখনই হিসাব না দেখিয়া তাহাকে সেই দাবীর টাকা মিটাইয়া দিলেন। কিন্তু মুস্তাফা খা । নবাবের পাঠান সেনাপতি সমসের র্থ ও রহিম খাকে লোভ দেখাইলেন যে, আলিবন্দীকে সিংহাসনচ্যুত কবিয়া পুনবায় বাঙ্গলাদেশ °{ाठेiन्मझि2igक দেওয়াইবেন, তাহারা যদি যোগ দিয়া মুস্তাফার সঙ্গে মিলিত হন। তঁহার এ প্রস্তাবে সন্মত হইলেন। মুস্তাফা বগাদেব সঙ্গে একযোগে আলিবর্দীর বিরুদ্ধে অভিযান করিবেন, এই ষড়যন্ত্র চলিতে লাগিল । মুস্তাফা খাঁর দাবী।