পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরবর্তী বাদসাহগণ কৰ্ম্মচারী বলিলেন, খোলা জায়গায় বন্দীদিগকে রাখা নিরাপদ নহে, আর কোন স্থান আছে কিনা খুজিয়া দেখ, অধীন কৰ্ম্মচারীরা বলিল, “দুরন্ত কয়েদীদের জন্য একটা কামরা আছে|” প্ৰধান কৰ্ম্মচারী না দেখিয়াই বলিলেন, “বেশ, সেইখানেই রাখা হউক।” এই ঘরটিই ইতিহাসবিশ্রুত অন্ধকূপ । ইহার সংবাদ সিরাজউদ্দৌলা দূরে থাকুক, তাহার ওমরাহদের কেহও জানিতেন না। এখানে যে গ্রীষ্মকালে তৃষ্ণা ও গরমে আৰ্ত্ত হইয়া সাহেবেরা প্ৰাণত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহা ইংরেজদের প্রাথমিক রিপোটে লিখিত হয় নাই। সুতরাং এই ঘটনা যুদ্ধের আনুষঙ্গিক একটা অতি ক্ষুদ্র ঘটনা বলিয়া ধরা হইয়াছিল। যুদ্ধবিগ্ৰহ তো মৃত্যুর শয্যা পাতিয়াই রাখিয়াছে—রণক্ষেত্রে, কি যুদ্ধের পরীক্ষণেই অবরোধ-গৃহে মৃত্যুটা খুব একট অস্বাভাবিক ব্যাপার নহে। অনেকেই প্ৰমাণ করিয়াছেন যে স্বল্পপরিসর গৃহে, যতগুলি লোক মরিয়াছে বলিয়া ধরা হইয়াছে—তাহ সম্ভবপর নহে, তাহ প্ৰথমতঃ বঙ্গবাসীর সম্পাদক ৬/বিহারীলাল এবং পরে ৬/অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় মহাশয় প্ৰমাণ করিয়া দেখাইয়াছেন। ঘটনাটি নিশ্চয়ই খুব অতিরঞ্জিত করিয়া শেষে বৰ্ণিত হইয়াছে। এখন এদেশী লোকের অপরাধে পতিত এক বিন্দু ইংরেজরক্তের যতটা মূল্য-যুদ্ধসম্পকিত ব্যাপারে তখন সেই রক্ত তত মহামূল্য ছিল না। এখনকার পাশ্চাত্ত্য মাপকাঠির দ্বারা এই বিষয়ের ওজন নিরিখ করা ঠিক হইবে না। এ বিষযে কাহারও কোন ইচ্ছাকৃত নিষ্ঠুরতা হয় নাই। নিম কৰ্ম্মচারীদের eynirisis (see aë Strafft vitrife ("The prisoners were at first ordered to draw up in the Veraudah, but the officer commanding the guard, thinking that they would not be sufficiently secure there--inquired where was the prison of the fort.' (Stewart, p. 539.) সেটা ইংরেজদিগেরই দুৰ্গ এবং সেই বন্দীখানার একটি গৃহে তাহদের ধান করা হইয়াছিল। অধ্যক্ষ মহাশয় without examining the extent of the apartment”-crè (as at: Se Pir না কবিয়াই সেখানে তাহদের স্থান নির্দেশ করিয়াছিলেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে ইংরেজদিগের প্রাথমিক ঘটনার বিবরণীতে ইহার উল্লেখ নাই। রাজীবলোচনের মত ইংরেজের ভক্ত এবং সিরাজউদৌলার বিপক্ষপক্ষীয় লেখকও ইহার উল্লেখ করেন নাই। এমন কি গোলাম হুসেন, যিনি সিরাজউদৌলা তাহার পরিবারবর্গকে নির্বাসিত করিয়াছিলেন- এই অভিযোগ দিয়া যেখানে-সেখানে উক্ত নবাবের নিন্দাবাদ ও সাহেবদের সুখ্যাতি করিতেন, তিনি র্তাহার। মুতীক্ষরিনের মত সিরাজের রাজত্বের সুবিস্তৃত ইতিহাসে এই অন্ধকূপ হত্যার উল্লেখমাত্র করেন নাই । সুতরাং এবিষয়ের জন্য নবাবকে দায়ী করা কতটা ন্যায়-সঙ্গত তাহা বিবেচনা করা উচিত । মন্ত্রীরা সকলেই সিয়াজউদ্দৌলার উপর অত্যন্ত বিরক্ত হইয়াছিলেন । মীরজাফর আলিবর্দীর সময় হইতে বিদ্বেষভাব পোষণ করিয়া মাঝে মাঝে লাঞ্ছিত হইয়াছেন। কিন্তু দয়ার সাগর বৃদ্ধ নবাব তাহাকে তাড়াইতে যাইয়াও তাড়ান নাই। সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফরকে ও প্ৰধান DD DiuDBDBD DBDD DBDDBB D BDBDDBBDBD BBBB DBDBBB DHBDSDDBDBB