পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৭

क्षि-ौकाद्भ कथं এইরূপ বহুস্থানে ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হুসেন সাহ মসজিদ, তোরণ ও কুপ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। তঁহার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া তাহার ওমরাহ ও অধীন লোক ও আত্মীয়বৰ্গও অনেক মসজিদ ও সমাধিমন্দিরাদি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। স্বৰ্গীয় রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাহার বঙ্গের ইতিহাসের দ্বিতীয় ভাগে ২৫২ হইতে ২৬৩ পৃষ্ঠা পৰ্য্যন্ত এই দেশব্যাপী স্থাপত্যের নিদর্শনগুলির উল্লেখ করিয়াছেন। অনেক নষ্ট হইয়া গিয়াছে ; কিন্তু যে কয়েকটির উল্লেখ আছে তাহাতেই প্ৰায় দশটি পৃষ্ঠা ভরিয়া গিয়াছে। গৌড়, পাণ্ডুয়া ও মালদহই এই স্থাপত্যের প্রধান ক্ষেত্র ছিল । সারন ও বিহার হইতে কামরূপ পৰ্য্যন্ত হুসেন সাহের এই উদ্যম সর্বত্র দৃষ্ট হইতেছে। হুসেন সাহ ছাড়া পাঠানদের মধ্যে শের সাহের মসজিদ, সমাধি ও রাস্তা প্ৰভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য । শের সাহের সমাধি-মন্দিরে স্থাপত্যের সেরা সৌন্দৰ্য্য দৃষ্ট হয়। তিনি সুন্নি ছিলেন, এজন্য তদীয় স্মৃতি-চিহ্নে পার্শ্ববৰ্ত্তী মোগল বাদশাহ হুমায়ুনের সমাধির আড়ম্বরপূর্ণ জাকালো ভাবটি নাই। একটি কৃত্রিম হ্রদের মধ্যবৰ্ত্তী এই সমাধি স্বীয় মহিমান্বিত স্বাতন্ত্র্য প্ৰকটিত করিয়া দেখাইতেছে। উহা অনেকটা তাহার স্বীয় মহান চরিত্রের ন্যায়। চারিদিকের সমতলভূমি ও জলরাশির মধ্যে থাকিয়া উহা সেই উন্নত সুদৃঢ় চরিত্রের মহিমায় ঐন্দ্ৰজালিক প্রভাব প্ৰকটিত করিতেছে। ইহাতে সুন্ম কারুকাৰ্য্য বেশী নাই, কারণ সুন্নিরা সহজ নিরাভরণ, সতেজ সারল্য বেশী পছন্দ করিতেন। কিন্তু উহাতে ইরানী প্রভাব কিছুই নাই, উহা ভারতবর্ষের বৌদ্ধ স্তুপগুলির অমল: ধবল শারদ জ্যোৎস্নার মত প্রভা-দ্যোতক। হাভেল সাহেব লিখিয়াছেন, “ইনি সুন্নিদের নিষেধাত্মক বিধি মানিয়া হিন্দু কারিগরদিগকে এই মন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ করিতে আদেশ করিয়াছিলেন । এজন্য সেই সকল শিল্পী। ইহা কারুকাৰ্য্যে অলস্কৃত করে নাই, এই সমাধিমন্দিরও। সর্বাংশে ভারতীয় । এই সমাধিতে প্ৰাচীন আৰ্য্যাবর্তের সমাধি-মন্দির ও বৌদ্ধস্তুপেরই পঞ্চদশ শতাব্দীর বিকাশ দৃষ্ট হয়” ( He set Hindu craftsmen to work in carrying oui, his building projects in con (its rigg riff formity with the Sunni prescriptions; just as the Indian mosque is always Indian so is the tomb of the great Pathan : it is the fifteenth century development of the Indo-Aryan heroes' tomb-the Buddhist silpa'-(A Handbook of Indian Art, Havell, p. 115). Aerts ex-fistfi et g : বৌদ্ধস্তুপগুলি গোলাকৃতি সুদৃঢ় আকৃতিতে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া ধীরে ধীরে ভারতীয় শিল্প-কলার সুচিরাগত আদর্শে পদ্মাকৃতি হইয়া আসিতেছিল। মসজিদের গম্বুজগুলি এই পরিবৰ্ত্তিত ভাবের দ্যোতনা করিতেছে। কি ইরানে, কি আরবে, কি ভারতবর্ষে, মসজিদের গম্বুজগুলি ভারতীয় বৌদ্ধস্তপের অনুকৃতি। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধশিল্প অৰ্দ্ধজগৎ ছাইয়া ফেলিয়াছিল। সুন্নিরা মূৰ্ত্তি বাদ দিয়াও সেই প্রভাব এড়াইতে পারেন নাই। পাঠানের সময়ে এদেশের হিন্দু ও মুসলমান-কীৰ্ত্তি সমস্তই বাঙ্গালী হিন্দু কারিগরের হাতের। হিন্দুধৰ্ম্মের জটিল নিষেধবিধি কতক পরিমাণে এড়াইয়া এবং ইসলামের সহজ ও সরল আদর্শের অনুবর্তী