পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎ বঙ্গ مOما\ দরবারে পেশ করিলেন । তাহাতে তিনি বলিলেন, তিনি তাহার পিতার পদোচিত মৰ্য্যাদা রক্ষা করিয়া যাহাতে জীবনযাপন করিতে পারেন। তদুচিত ব্যবস্থা তিনি করিবেন। উত্তরে সম্রাটু বলিলেন, শের ভাল লোক নহেন, যেহেতু তিনি পিতাব বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিতেছেন। কিন্তু অল্পদিন পরেই শেরের পিতৃবিয়োগ হইল এবং শের পৈতৃক বিষয়ের অধিকার-প্ৰাপ্ত হইলেন । বিষয়সম্পত্তির অধিকার লইয়া শেরের সঙ্গে ওঁহার বৈমাত্ৰ ভ্ৰাতার কলহ চলিতে লাগিল-এসম্বন্ধে বেহাবের অধিপতি সুলতান মহম্মদের মধ্যস্থতায় কোন ফলোদয় হয় নাই। সুলতান মহম্মদ বিরক্ত হইয়া সাদি নামক এক সেনাপতিকে সৈন্যসহ যাইয়া শেরের অধিকৃত সমস্ত সম্পত্তি কড়িয়া লইয়া সোলেমানকে দিতে আদেশ করিলেন । সের সাহ সহসা আক্রান্ত হইয়া পরাস্ত হইলেন । এই দুর্ঘটনার পর শের সাহ কুড়া ও মাণিকপুরের শাসনকৰ্ত্ত জুনৈদ ববলাসের নিকট বহুমূল্য উপঢৌকন পাঠাইয়া তাহার সাহায্যলাভে সমর্থ হইলেন। বাবলাস নুতন, মোগল বাদসহ বাবরের বশ্যতা স্বীকার করিয়াছিলেন । তঁহার সাহায্যে তিনি সুলতান মহম্মদকে পরাস্ত করিলেন এবং আগ্ৰা যাইয়া সমাটের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করিলেন। বাবর শেরের দক্ষতাসম্বন্ধে নিঃসন্দিগ্ধ হইলেও তাহার অকপটতা সম্বন্ধে সন্দিগ্ধ ছিলেন । কথিত আছে, তিনি একদিন ওমবাহদের সঙ্গে শেরকে ভোজনে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন। একটা শক্ত মাংসখণ্ড শেরের পাতে পড়িয়াছিল, কিন্তু সমাটের গোপনীয় আদেশ অনুসারে তঁহাকে একখানি মাত্ৰ চামচ দেওয়া হইযাছিল, ছুবি দেওয়া হয় নাই। মাংসখণ্ড শের আয়ত্ত করিতে অসমর্থ হহঁয তৃত্যদিগেব নিকট একখানি ছুরি চাহিলেন, কিন্তু সম্রাটেব গুপ্ত আদেশে তাহারা চুরি দিতে বিলম্ব করিতে লাগিল। শের বিলম্বে 'অসহিষ্ণু হইয কোষ হইতে তরবারি খুলিয়া তাহ দিয়া অনায়াসে মাংস কাটিয়া খাইতে লাগিলেন , সমাট আমির খলিফা নামক এক মন্ত্রীর দিকে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন-"এই শের খ্যা আসগান তুচ্ছ করিবার মত লোক নহেন। ইনি কালে বড়লোক হইবেন।” কিন্তু শের খাঁ বুঝিলেন, সম্রাটু-দরবারে থাকা তাহার পক্ষে নিরাপদ নাহে । তিনি জোয়ানপুরে ফিরিয়া আসিলেন। এই সময়ে সুলতান মহম্মদেব মৃত্যু হওয়াতে তিনি তৰুণ বাজকুমাব জেলালের অভিভাবক স্বরূপ সেই রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন। জেলাল বড় হইয়া শেরকে আর পূর্বের মত শ্রদ্ধাভক্তিব চক্ষে দেখিতে পারিলেন না ; এক সময় তিনি শের সাহের কাছে লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন, এখন শেবের ক্রমবৰ্দ্ধিষ্ণু ক্ষমতায় আতঙ্কিত হইয়া তাহার হত্যা পৰ্য্যন্ত কল্পনা করিতে লাগিলেন । এই ষড়যন্ত্র ধরা পড়িল, জেলাল পলাইয়া গৌড়ে যাইয়া মহম্মদ সাহর নিকট সেরকে পিতৃরাজ্য হইতে দূৱ করিয়া দিবার জন্য প্রার্থনা করিলেন! জেলালের পলায়নের পর শের সমস্ত বিহার দখল করিয়া ফেলিলেন, এই সময় চুলারের শাসনকর্তা তাজি অতি পথাক্রান্ত লোক ছিলেন । তঁহার স্ত্রী লোদি মেল্লিকি পরম সুন্দরী দিল্পীর বহুদৰ্শিতা । अफ़्राक्षाला तांत्रि। भ२िन ze