পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা বঁাশবেড়িয়া। পাগল নাখী ও গোবরা সম্প্রদায়ের উক্ত নামধেয় নেতৃত্বয়ও মুসলমান ছিলেন। প্রথমোক্তের বাড়ী মুরাদপুর এবং দ্বিতীয়টার নিবাস ছিল নাগাদ গ্রামে। রামবল্লভী-সম্প্রদায় জাতিভেদ অগ্ৰাহ করিয়াছেন; তা ছাড়া প্ৰায় এক শতাব্দী পূর্বে র্তাহারা সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয়ের কতকটা চেষ্টা করিয়াছিলেন। তঁহাদের একটি গান এইরূপ “কালী-কৃষ্ণ-গন্ড-খোদা, কোন DD DBB BBBS BDD BBDu BES LLLDB BBD DSS DD DDS DBBDSDBDSDDLL DBB 0S ইহারও পূর্বে বঙ্গের ভক্ত কবি গাহিয়াছিলেন, “মগে বলে ফারা, তারা, ‘গড়’ বলে ফিরিঙ্গী যারা খোদা বলে ডাকে তোমায় মোগল পাঠান সৈয়দ কাজি ।” নিয়শ্রেণীর মধ্যে ঔদাৰ্য্য এবং সম্পূর্ণরূপে সংস্কারশূন্যতা দেখিলে আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হয়। একদিকে সমাজের স্কন্ধারূঢ় হইয়া বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ যেরূপ সামাজিক শাসন অতি উৎকট ভাবে কড়া করিয়া গড়িতেছিলেন, অপরদিকে নিয়শ্রেণীর লোকেরা শাস্ত্ৰ না জানিয়া শাস্ত্রের প্রকৃত মৰ্ম্ম বুঝিয়া দলের পর দল গঠন করিয়াছেন । ইহারাই সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধনীতির সারোদ্ধার করিয়া বাঙ্গলার সমস্ত দ্বারগুলি সুখকর – -স্বাস্থ্যদায়ী অনাবিল ভাবপ্রবেশের জন্য মুক্ত করিয়া রাখিয়াছিলেন। ১৭৮৫ খৃঃ অব্দে মালাপাড়া গ্রামে বলরাম হাড়ী-কুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্ৰথম জীবনে চৌকিদারী করিতেন। কিন্তু একসময়ে তিনি চৌৰ্য্য অপরাধে অভিযুক্ত হন, মেহেরপুরের ( নদীয়া জেলায় ) মল্লিক। বাবুদের সরকারে ইনি কাজ করিতেন। অভিযোগ টিকিল না-কারণ বলরাম নির্দোষ ছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগের পর তিনি ঘূণায় চাকুরী ছাড়িয়া দিলেন। বহুবৎসব তিনি ভারতবর্ষের নানাস্থানে ঘুরিয়া যখন দেশে আসিলেন, তখন লোকে তঁহাকে সাক্ষাৎ ভগবান বলিয়া মানিতে লাগিল । তিনি পাগলের মত থাকিতেন, কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সকল কথা বলিতেন - যাহা লোকের মৰ্ম্মে তীরের মতন যাইয়া প্ৰৱেশ করিত ; ব্রাহ্মণেরা পৰ্য্যন্ত তঁহার ধৰ্ম্মসম্বন্ধে গভীর তত্ত্বকথা শুনিতে যাতায়াত করিতে লাগিলেন। একদা কয়েকজন ব্ৰাহ্মণ নদীতীরে দাড়াইয়া তৰ্পণ করিতেছিলেন, তাহারা জল নদীতে নিক্ষেপ করিতেছিলেন। ঐ সময়ে বলরাম গঙ্গার জল লইয়া নদীর পাড়ের দিকে চুড়িয়া ফেলিতে লাগিলেন ; এরূপ করার অর্থ কি জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলিলেন, “তোমাদের তর্পণের জল যদি তোমাদের পূর্বপুরুষেরা পাইতে পারেন, তবে আমার নিক্ষিপ্ত জলই বা আমার শাকসব্জীর বাগানে যাইবে না কেন, উহাতো মাত্র কয়েক ক্রোশ দূর বই নয়।” খুলী বিশ্বাসী দলের নেতা মুসলমান ছিলেন, তিনি বলিতেন “তোমরা কষ্টে পড়িলে আমাকে প্রার্থনা জানাইও, আমার যদি কেহ থাকে। তবে আমি তাহাকে জানাইব৷ ” এই সহজিয়া সম্প্রদায়গুলির মধ্যে অন্যতম প্ৰধান দলের স্থাপয়িতা বাবা আউল ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দে নীচকুলে জন্মগ্রহণ করেন । ইহার ২২ জন শিন্য ছিল। তাহদের মধ্যে রামশরণা পাল, নিতাই ঘোষ প্ৰভৃতি প্ৰধান। ইহার সম্বন্ধে এই সম্প্রদায়ে একটি চলিত গান আছে, তাহা এই “এভাবের মানুষ কোথা হইতে এলো । এর নাহিক রোষ, সদাই তোষ, মুখে বলে সত্য বল ৷ এর সঙ্গে বাইশজন, সবার একমন, জয়কর্তা বলি, বলয়াম হাড়ী। बांब ठांप्रेक्षा ।