পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা S9 eA পুনঃসংস্কার করিয়া শেষে বসন্তরায়ের কন্যাদের নামে উহাদের পরিচয় হইয়াছে। পদ্মাতীরে সুপ্ৰসিদ্ধ রাজবাড়ীর মঠ, যাহা সেদিনমাত্র উক্ত নদীর কবলিত হইয়াছে।--তাহার ভিত হইতে সমস্তই বৌদ্ধস্থাপত্যের নিদর্শন, অথচ উহা কেদার রায়ের নামের সঙ্গে জড়িত হইয়াছে। সম্ভবতঃ কেদার রায় উহা সংস্কার করিয়া উহাতে কোন দেবতা স্থাপনা করিয়া থাকিবেন। সরসুনোর দীঘিও এইভাবে নাম পরিগ্ৰহ করিয়া থাকিবে। প্ৰাচীনের বলিয়া থাকেন। ভগ্ন রাজবাড়ীর সঙ্গে গঙ্গার যোগ করিয়া তথায় একটা বৃহৎ সুড়ঙ্গ-পথ ছিল। কিন্তু দুই হাজার বৎসর পূর্বের ভগ্নাবশেষ অনেকস্থলেই মৃত্তিকার উপরে থাকে না। তাহা খুঁড়িয়া বাহির করিতে হয়। বসন্তরায় যে গ্রামে প্ৰাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, সে গ্রাম পূর্ব হইতেই সমৃদ্ধ ও ভদ্রনিবাস ছিল, নতুবা তিনি সেখানে বাড়ী করিতে যাইবেন কেন ? তিনি ঐ গ্রাম স্থাপন করেন নাই। গ্রামটা দেখিলেই খুব প্ৰাচীন বলিয়া মনে হয়। বোধ হয় এক কালে বাসুদেবপুর, বেহালা, বড়িষা প্ৰভৃতি অনেক গ্ৰাম লইয়া “সরসুনো একটা পরগনার মত ছিল, এজন্য টলেমি উহার আয়তন এত বড় করিয়া দেখাইয়াছেন । “সাবার” যে ঢাকা জেলার প্রসিদ্ধ “সাভার”-তাহাতে সন্দেহ করিবার কারণ দেখিতে পাই নাই, ঐ অঞ্চলটা ভীমসেনের পুত্র ধীমন্ত সেন কিরাতদের হাত হইতে কাড়িয়া লইয়াছিলেন ( সপ্তম শতাব্দীতে ) । হরিশ্চন্দ্র এবং তাহার পুত্রপৌত্ৰাদি তথায় রাজত্ব করিয়াছিলেন। আমরা ২৭৭-৭৮ পৃষ্ঠায় এই বৌদ্ধ নৃপতিবর্গের উল্লেখ করিয়াছি। “দাসরা” সাভার হইতে অনতিদূরে । টলেমির সংস্থাপনানুসারেও তাঁহাই দৃষ্ট হয়। দাসর গ্রাম এক কালে কুলীন বৈদ্যগণের ২৭টি সমাজের মধ্যে অন্যতম ছিল। ছয় সাত শত বৎসর পূর্বে এই সকল সমাজ স্থাপিত হইয়াছিল। তিন-চারি শত বৎসর পূর্বের কুলজি গ্ৰন্থসমূহ এই গ্রামের পুনঃ পুনঃ উল্লেখ দৃষ্ট হয়। এই গ্রামের সন্নিহিত “শিববাড়ী’ বহু প্ৰাচীন, তথায় শিব একটি বৃহৎ অসম পাথর রূপে গভীৰ্থ কুপের মধ্যে বিরাজিত। শিববাড়ীতে যে সকল প্রাচীন প্রস্তরমূৰ্ত্তি রক্ষিত আছে, তাহদের মধ্যে বাশুলী অতি প্ৰাচীন, নবম-দশম শতাব্দীর বাসুদেব মূৰ্ত্তিও তথায় দৃষ্ট হয়। দাসরার খালেব ধাবে একটি প্রাচীন কালীবাড়ী ছিল। ১০/১২ বৎসর পূর্বে সেই স্থানটির একাংশে পুষ্করিণী করিতে ইচ্ছুক হইয়া মালিক খুড়িয়াছিলেন। প্রায় একুশ হাত নিম্নে একটি প্রস্তরস্তম্ভ তন্মধ্যে পাওয়া গিয়াছে। উহাতে হস্তীর উপরে সিংহমূৰ্ত্তি ও অপরাপর কারুসৌষ্ঠবের চিহ্ন আছে। উহা গুপ্তযুগের শেষের দিকের বলিয়া মনে হয়। সম্ভবতঃ ঐ স্তম্ভটি কোন দেবমন্দিরের ছিল । আমাদের দেশে যেখানে কোন মন্দির থাকে, যুগ যুগ ধরিয়া সেই খানটায় নব নব মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে। সেই যে নবম শতাব্দীতে তথায় মন্দির ছিল, সেদিমকার কালীবাড়ী এতকাল পরেও সেই স্থানটির সূচনা করিতেছে। uDu BDB BBD DBDDD DBDBD giuB BB DBBDD DBuuD BBS uDD শিবলিঙ্গ বলিয়া পুরোহিত পূজা করিবার আয়োজন করিতেছিলেন। পুর্ণবাবু আমার শিক্ষক ও আত্মীয় ; তিনি উহা আমাকে দিয়াছেন। অধুনা উহা আমাদের বাড়ীর