পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aod N, বৃহৎ বঙ্গ বাস করিয়া গৌড় দেশের ও সে দেশের অনেক লোককে পড়াইতে পড়াইতে র্তাহার সুখ্যাতি অতিশয় বাড়িলে সেখানকার সকল লোকে তাহাকে অধ্যাপকের ন্যায় নিমন্ত্রণ করিতেন । এবং তিনি সভায় আসিয়া সকল লোকের সহিত বিচার করিতেন” (৩৭৮, পৃষ্ঠা ) { এই পুস্তকে আরও লিখিত আছে : “ফরিদপুর কোটালী পাডা গ্রামের শ্যামাসুন্দরী নামে এক বৈদিক ব্ৰাহ্মণের স্ত্ৰী ব্যাকরণাদি পাঠ সমাপ্ত করিয়া ন্যায়-দর্শনেব শেষ পৰ্য্যন্ত S0DuBBBDS DDBB SBBBB SBKKBDS SBBBBLk0BSS BB BDD O0BDB SBDBkB BD ভট্টাচাৰ্য্যের দুই কন্যা বাৰ্ত্তা-বিদ্যা ও গোত্ৰ-বিদ্যা শিখিযা পাবে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ পাঠ করিয়া পণ্ডিত হইয়াছিলেন, ইহা সকলেই জানেন ।।” ( ৩৭ পূঃ ) আমরা আনন্দময়ী দেবীব কথা উল্লেখ করিয়াছি, ইহাব আত্মীয়া গঙ্গামণি দেবীর রচিত অনেক গান বিক্রমপুব অঞ্চলে প্ৰচলিত আছে । ইনি হরিলীলা কাব্য নকল করিয়াছিলেন, ইহাব হস্তক্ষে বা বা ৬ সুন্দব ছিল। পাৰ্ব্বতী দাসী নামী অব এক জন মহিলার হস্তাক্ষরেব নমুনা ও অমাবা বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে উদ্ধৃত করিখা দিয়াছি । ইনি একখানি বৈষ্ণব পুথি নকল করিয়াছিলেন, হস্তাক্ষর মুক্তাব ন্যায় সুন্দর। ফরিদপুর জেলায় সুন্দাবী দেবী নাম্নী এক ব্ৰাহ্মণ-বৰ্মণী এক শতাব্দী পূর্বে ন্যায়শাস্ত্ৰে অসাধারণ পাণ্ডিত্য লাভ কবিযাছিলেন। লঙ সাহেবেব ক্যাটালগো ইহাব উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বৈদ্যবংশীয় অনেক রমণী গৃহে বসিয়া চিকিৎসা কপিতেন, আমরা জানিতে পারিয়াছি। তাহাবা ‘আয়ুৰ্বেদ পাঠ কবিয়া কৃতী হইতেন, কিন্তু গাছগাছড়া ও অমোঘ মুষ্টিযোগ সাহায্যে দুঃসাধ্য ব্যাধি আরাম করিতে বেশ পটু ছিলেন। তঁহাদের খ্যাতি বহুদূর ব্যাপী হইত। এবং তঁহাদের গৃহদ্বারে প্রত্যহ বািঢ় বোগীর-বিশেষ মহিলা-বোগীব ভিড় হইত। আমরা পূর্বেই লিখিয়াছি এক চাকার রগ চলে না। সংসারে বর্মণী ও পুৰুষদের তুল্যরূপই কাজ ছিল। গৃহলক্ষ্মী না হইলে একদিনেব জন্য গৃষ্ঠ চলিত না। গৃঙ্গ খানি তঁাহারা অতি যত্নে প্রদর্শনীর মত সাজাইতেন । তাহাদের প্রাভেয় মৃৎ ভাণ্ডের উপর নানা রূপ বং-বিরঙ্গের কাজ, শিকায় বিচিত্র কারুকাৰ্য্য, শয্যা বাধিয়া রাখিবার জন্য নানারূপ নিপুণ কারুখচিত দডি-দড়, কারুকাৰ্য্য ও চিত্রমণ্ডিত সাজি ও কুলা, পান ও পানের বাটা রাখিবার সুন্ম সুচৗকাৰ্য্যে সম্পাদিত বটুয়া ও বস্ত্রাববণ, বালিসের খোল, বসিবার আসন, লাঠি, বরণ-ডালা, ও পাখাবি বিচিত্ৰ পাতিব কাৰ্য্যেৰ শিল্পকলা, চিত্ৰিত পীড়ি, দেযালের চিত্র, ছেলেদের খেলিবাব সোলা ও মাটীব পুতুল—এমন কি কাঠের উপর বিচিত্ৰ মূৰ্ত্তি, পাশা ও দাবা খেলিবার ছক্‌ ইত্যাদি কত জিনিষ যে আমরা দেখিয়াছি, তাহার অবধি নাই। শ্ৰীহট্টের মেয়ের কাঠের ঘোড়া ও কাঠের হাতী এখনও নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকেন। স্ত্রীলোকেরা এদেশে দেবী ছিলেন, তঁহাদের যুদ্ধবিদ্যায় কৃতিত্বের নমুনা আমরা দিয়াছি ; চৌধুরীর লড়াই নামক গীতি-কথায় যে বিবরণ পাওয়া যায়, তাহা সত্য ঘটনা-মূলক। আমাদের দেশে যে কালী, ছিন্নমস্তা, ভৈরবী, দশভূজা প্ৰভৃতি শক্তিমূৰ্ত্তির পূজা হয়, তাহার মূল উপকরণ এইদেশের অন্তঃপুরে বিদ্যমান । এই মহিলারা প্রেমের জন্য না করিতে