পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS 8 বৃহৎ বঙ্গ --তোমার সেই অন্তিম বিবাহের জ্যোতিঃ-সূত্রময় অনন্ত পট্ৰ-বসনখানিকে আমরা প্ৰত্যহ প্ৰণাম করিব। সেই অগ্নিশিখা তোমার উদ্যত বাহুরূপে আমাদের প্রত্যেককে আশীৰ্ব্বাদ করুক। মৃত্যু যে কত সহজ, কত উজ্জল, কত উন্নত, হে চিরনীরব স্বৰ্গবাসিনি। অগ্নি আমাদের গৃহ-প্ৰাঙ্গণে তোমার নিকট হইতে সেই বার্তা বহন করিয়া অভয় ঘোষণা করুক।” অবশ্য অল্পসংখ্যক স্থানে যে জোর-জবরদস্তি না চলিত তাহা নহে, কিন্তু এই ব্যাপক পদ্ধতির মূলকথা ছিল প্রেমার্থে আত্মবিসর্জন । র্যাহারা বাঙ্গলার পল্লীগীতিগুলি পড়িবেন, তাহারা ইহার প্রকৃত ব্যাখ্যা করিতে পরিবেন। বঙ্গের মহিলাদের সর্বস্ব দেওয়া প্রেমের প্রকৃত দৃশ্যের দ্বার উদঘাটন করিয়াছেন-বঙ্গের মৰ্ম্মকথা বলিতে সুদক্ষ পল্লী-কবিরা। একদিকে স্বামীর চিন্তানলে প্ৰাণ বিস পুর্ন না, অপরদিকে জীবনে প্রেমের জন্য সমস্ত দুঃখ ও মৃত্যু বরণ করিয়া লইয়া এই নায়িকারা সে ভাবে আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছেন—তাহাতে এই উভয় ব্যাপারেরই মৰ্ম্মকথা প্ৰকাশ হইয়া পড়িবে। এ সম্বন্ধে সুপ্ৰসিদ্ধ ইংরেজ আভিধানিক জি, সি, হটন তাহার বাঙ্গলা ও ইংরাজী শব্দের নির্ঘণ্টে (A Glossary of Bengali and English-l825 A.D.) fiftface, “To crown all, the matchless constancy and fearless indifference of death in the Indian widow, who voluntarily mounts the funeral pile in the expectation of accom panying her husband to a region of bliss." 19(es (1s प्रुडेीख, श्छूि বিধবার অতুলনীয় নিষ্ঠা এবং মৃত্যুর প্রতি ভ্ৰক্ষেপহীন উপেক্ষার ভাব, যাহাতে র্তাহারা স্বামীর চিন্তানলে প্ৰাণ বিসৰ্জন করেন । ] এক সময়ে বঙ্গের মহিলাদিগের চিকিৎসার ভার পল্লীর মেয়েদের হাতেই ছিল বলিয়া মনে হয়। চণ্ডীদাস লিখিয়াছেন, কৃষ্ণলীলার অভিনয় দেখিতে দেখিতে যখন রাধিক মুস্থিত হইয়। পড়িলেন, তখন রাজধানীর এক প্রাচীন আহিরিনীকেই চিকিৎসার জন্য BDBD DBSDD DDBSBDYS DDBBDB Bigg DBBDD DDD DBBB iBD BBBD অভিজ্ঞ ছিলেন। যখন রাজকন্যার চিকিৎসার জন্য এইরূপ মহিলা-চিকিৎসকের আহবান হইল, তখন মনে করিতে পারা যায়, মেয়েদের চিকিৎসার জন্য মেয়ে-চিকিৎসকই ডাকা DDDS BBD rBBB DD DDBSBDBBS DDB S BB BDDBSDKL DDSDBDDB DDD দিয়া আমরা সমসাময়িক সামাজিক অবস্থার আভাস পাইতে পারি।-এই হিসাবে ইতিহাসের পৃষ্ঠায়ও তাহদের স্থান আছে। কবিকঙ্কণ চণ্ডী প্ৰভৃতি বহু প্ৰাচীন কাব্যে বাঙ্গলাদেশের তাৎকালীন প্ৰসিদ্ধ দেবমন্দিরগুলির উল্লেখ আছে। অজ্ঞ পুথিলেখকগণের দোষে সেই স্থানগুলির নাম অনেক পরিবৰ্ত্তিত ও বিকৃত হইয়াছে, দেববিগ্রহগুলির নাম ও তাহদের ভৌগোলিক সংস্থান লইয়া আলোচনা চলিতে পারে। হয়ত পঞ্চদশ, ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে বাঙ্গলার যে সকল তীৰ্থস্থান ছিল, তাহার কতকগুলি এখনও বিদ্যমান আছে। সেই দেবতাগুলির কোন কোনটির পূজা হয়ত বৌদ্ধযুগ, কিংবা তৎপুর্ব হইতেও চলিয়া আসিয়াছে। দেবতত্ত্ব জানিতে হইলে স্বয়ং