পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বৃহৎ বঙ্গ মহামাণিক্য বলিয়া সরলপ্রকৃতি গ্ৰাম্য লোকদিগের নিকট বিক্রয় করিতেছে (Folk Literature of Bengal দুষ্টব্য) । কবিকঙ্কণ মুরারি শীলের যে চিত্ৰ আঁকিয়াছেন তাহা একান্ত ধূৰ্ত্ত, সদসদঙ্গানবর্জিত ঠক বণিকের । সমাজে বহু মুরারি শীল না থাকিলে হয়ত কবি কাল্পনিক মুরারি শীলের এরূপ জীবন্ত চিত্ৰ আঁকিতে পারিতেন না। বঙ্গ দেশের বিপুল বাণিজ্য যে নষ্ট হইয়া গেল তাহা দুনীতির ফল বলিয়াই মনে হয়। যে পৰ্য্যন্ত কোন শ্রেণীর লোক সুনীতিপরায়ণ ও ধাৰ্ম্মিক থাকে, ততদিন তাহদের পতন হয় না । এক সময়ে বাঙ্গালী বণিকের নাম ছিল “সাধু”। এই “সাধু শব্দের অপভ্রংশ ‘সাউ” (শাহ, সাহ )। নৈতিক জগতেও এই সাধুদের চরিত্ৰ-ভ্ৰংশ হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় । বঙ্গদেশের বিস্তৃত বাণিজ্য-সম্বন্ধে উল্লেখ অনেক প্রাচীন বাঙ্গলা পুথি ও গীতিকায় পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে জাহাজগুলির আকার ও আয়তনাদি সম্বন্ধে অনেক পুস্তকে উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বংশীদাসের (১৫৭৫ খৃঃ) মনসামঙ্গলে জাহাজ-নিৰ্ম্মাণের একটা উৎসাহিত বিবরণ আছে । কবিকঙ্কণের তদ্রুপ বৰ্ণনায় অত্যধিক অতিরঞ্জন প্ৰবেশ করিয়াছে। জাহাজগুলি এক যুগে খুব বৃহৎ হইত, সেই সংস্কার অতিরঞ্জিত করিয়া কবিরা যে চিত্ৰ আঁকিয়াছেন, তাহা অশ্রদ্ধেয় । “কোষ” নামক ডিঙ্গিয় উল্লেখ পল্লী-গাথার অনেক স্থলে পাওয়া যায়। ইশা খার গীতিতে এই কোষার এক অতিরঞ্জিত বৰ্ণনা আছে। এখনও ঢাকা অঞ্চলে “কোষ” নৌকার ব্যবহার প্রচলিত আছে। জাহাজগুলির মধ্যে যেটিতে স্বয়ং সদাগর থাকিতেন এবং যাহা বিশেষ সুসজ্জিত হইত, তাহা ‘মধুকর” নামে অভিহিত হইত। আমরা কাব্যগুলিতে জাহাজের বহু নাম পাইয়াছি, তাহার কোন কোনটি বেশ কবিত্বময়, যথা-“রাজবল্লভ,” “রাজহংস,” “সমুদ্রফেনা,” “শঙ্খচুড়,” “উদয়তারা,” “গঙ্গাপ্ৰসাদ,” “দুৰ্গাব্বর” । কোন কোন নাম প্ৰাকৃত-যুগের, যথা—“ণ্ডয়ারোখী,” “টিয়াচুটি,” “ভাড়ার-পটুয়া,” “বিজু সুজু” (বিজয় গুপ্ত )। ইহারা পুরাকালে যে খুব বৃহদাকৃতি হইত, তাহাতে সন্দেহ নাই। কাব্যের অতিরঞ্জনের মুলে কিছু না কিছু সত্য আছে। সমুদ্রযাত্রা নিষিদ্ধ হওয়ায় যুগযুগান্ত পরে যে সকল সংস্কার ছিল, তাহা ক্রমশঃ পাড়া গেয়ে কবিরা বাড়াইয়া অশ্রদ্ধেয় করিয়া ফেলিয়াছেন। চাদ সদাগরের একটি জাহাজের মাস্তুল এত উচু ছিল বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে যে তাহার উপর উঠিলে বাঙ্গলা দেশ হইতে রাবণের লঙ্কা দেখা যাইত। কোন কোন বৃহৎ জাহাজে চাদ সদাগর হাট বসাইতেন ; তামিলদেশীয় নৰ্ত্তকীরা কোন কোনটিতে নৃত্য করিত। এই জাহাজের বহর এত বড়-দীর্ঘ ছিল যে, একদিকের নৌকায় যখন রৌদ্র খেলিত, সেই সময়েই অপরদিকের নৌকার উপর বৃষ্টি হইত। ( “তার পিছু বাওয়াইল ডিঙ্গা নামে উদয়DBLL SS BBBDB BB BDDS DD BBDD DDD EESJDKSLLLL S SYBD BYD YLYLS BDDB BuYKS DDDBSS D DBDLBB0 BB Du TiTB DDD S D DD BBBLL ৮০ গজ জল ভাঙ্গিয়া যাইত। কোন জাহাজ এত বড় ছিল যে তাহা একদিকে ঝুঁকিলে নদীর পাড় ধ্বসিয়া পড়িত ও নিম্ন ভূমিতে আটকাইয়া যাইত, তখন, তাহাকে চালাইবার aft-fits